কোন অব্যয় বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের পরে যুক্ত হয়ে বিভক্তির কাজ করে?
A
সংযোজক
B
সমুচ্চয়ী
C
অনুকারগ
D
অনুসর্গ
উত্তরের বিবরণ
অনুসর্গ অব্যয়: যে সকল অব্যয় শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের বিভক্তির ন্যায় বসে কারকবাচকতা প্রকাশ করে, তাদের অনুসর্গ অব্যয় বলে। যেমন- ওকে দিয়ে এ কাজ হবে না।
সংযোজক অব্যয়: যে অব্যয় পদ বাক্যের সঙ্গে বাক্যের বা পদের সঙ্গে পদের সংযোগ সাধন করে, তাকেই সংযোজক অব্যয় বলে। যেমন - আমি খেলার মাঠে গিয়েছিলাম; কিন্তু তোমায় দেখতে পাইনি। বাবা এবং মায়ের কথা শোনা উচিত। সমুচ্চয়ী অব্যয়: একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যের বা বাক্যস্থিত একটি পদের সাথে অন্য একটি পদের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে সমুচ্চয়ী অব্যয় বা সম্বন্ধবাচক অব্যয় বলে। অনুকার অব্যয়: যে সকল অব্যয় কোনো শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয় তাদেরকে অনুকার অব্যয় বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে।
যেমন: শোঁ শোঁ (বাতাসের ধ্বনি), রুম্মুম্ (নূপুরের আওয়াজ), ঝম্ফম (বৃষ্টির শব্দ), বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, বজ্রের ধ্বনি কড়কড়, ইত্যাদি।

0
Updated: 1 month ago
'দেশের যত নদীর ধারা জল না, ওরা অশ্রুধারা' - এই উক্তিটি নিচের কোন পারিভাষিক অলংকার দ্বারা শোভিত?
Created: 1 month ago
A
অপহৃতি
B
যমক
C
অর্থোন্নতি
D
অভিযোজন
অপহৃতি অলঙ্কার এমন এক বিশেষ রূপ, যেখানে প্রকৃত অর্থাৎ উপমেয়কে নিষেধ বা আড়াল করে অপ্রকৃত অর্থাৎ উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সাধারণত এটি দুইভাবে প্রকাশিত হয়।
-
প্রথমত না, নহে, নয় প্রভৃতি না-সূচক অব্যয় ব্যবহারের মাধ্যমে।
-
দ্বিতীয়ত ব্যাজ, ছল, ছলনা, ছদ্ম প্রভৃতি সত্য গোপনকারী শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে।
প্রথম ক্ষেত্রে উপমান ও উপমেয় আলাদা বাক্যে থাকে, আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তারা একই বাক্যে অবস্থান করে।
উদাহরণ:
-
“মেয়ে ত নয়, হলদে পাখির ছা,” – জসীম উদ্দীন
এখানে উপমেয় ‘মেয়ে’, উপমান ‘ছা’। ‘নয়’ অব্যয় ব্যবহার করে উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই এটি অপহৃতি অলঙ্কার। -
“তারাই আজি নিঃস্ব দেশে, কাঁদছে হয়ে অন্ন হারা;
দেশের যত নদীর ধারা জল না, ওরা অশ্রু ধারা।” – কাজী নজরুল ইসলাম
এখানে উপমেয় ‘জল’, উপমান ‘অশ্রু’। কবি ‘না’ সূচক অব্যয় ব্যবহার করে উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ফলে এটি অপহৃতি অলঙ্কার। -
“নীর বিন্দু যত
দেখিতে কুসুম-দলে, হে সুধাংশু নিধি,
অভাগীর অশ্রু বিন্দু কহিনু তােমারে।” – মাইকেল মধুসূদন দত্ত
এখানে উপমেয় ‘নীর বিন্দু’, উপমান ‘অশ্রু বিন্দু’। যদিও সরাসরি ‘না’ অব্যয় নেই, তবে ব্যঞ্জনায় অস্বীকার স্পষ্ট। তাই এটিও অপহৃতি অলঙ্কার। -
“নারী নহ, কাব্য তুমি, তােমা ’পরে কবির প্রসাদ।” – বুদ্ধদেব বসু
এখানে উপমেয় ‘নারী’, উপমান ‘কাব্য’। ‘নহ’ অব্যয় দ্বারা উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই এটি অপহৃতি অলঙ্কার।

0
Updated: 1 month ago
'রোগী পথ্য সেবন করে।' - এটি কোন বাচ্যের উদাহরণ?
Created: 2 weeks ago
A
কর্মকর্তৃবাচ্য
B
ভাববাচ্য
C
কর্তৃবাচ্য
D
কর্মবাচ্য
কর্তৃবাচ্য হলো সেই ধরনের বাক্য, যেখানে কর্তার অর্থ-প্রধান্য রক্ষিত থাকে এবং ক্রিয়াপদ কর্তার অনুসারী হয়। এই ধরনের বাক্যে ক্রিয়াপদ সর্বদা কর্তার সাথে মিলিত থাকে। কর্তৃবাচ্যে সাধারণত—
-
কর্তা প্রথমা বা শূন্য বিভক্তিতে থাকে।
-
কর্ম দ্বিতীয়া, ষষ্ঠী বা শূন্য বিভক্তিতে থাকে।
উদাহরণ:
-
ছাত্ররা অঙ্ক করছে।
-
শিক্ষক ছাত্রদের পড়ান।
-
রোগী পথ্য সেবন করে।

0
Updated: 2 weeks ago
‘রজক’ এর স্ত্রীবাচক শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
রজকা
B
রজকী
C
রজকিনী
D
রজকানী
রজক শব্দের অর্থ হলো ধোপা (যিনি কাপড় ধৌত করেন)।
-
বাংলায় অনেক পুরুষবাচক শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ গঠিত হয় -িনী প্রত্যয় যোগে।
যেমন –-
ব্রাহ্মণ → ব্রাহ্মণী
-
রাজক → রাজকিনী
-
রজক → রজকিনী
-
অন্যগুলো ভুল কারণ—
-
রজকা: বাংলা ব্যাকরণে নেই।
-
রজকী: স্ত্রীবাচক রূপ হিসেবে প্রচলিত নয়।
-
রজকানী: অপ্রচলিত এবং ব্যাকরণসম্মত নয়।
তাই সঠিক উত্তর: রজকিনী।

0
Updated: 1 month ago