কমনওয়েলথের কোন দেশটি যুক্তরাজ্যের রাজা ও রানীকে তাদের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে স্বীকার করে?
A
অস্ট্রেলিয়া
B
কানাডা
C
সাইগ্রাস
D
মরিসাস
উত্তরের বিবরণ
কমনওয়েলথ এবং রাজতন্ত্রভুক্ত দেশসমূহ
কমনওয়েলথ একটি রাজনৈতিক জোট, যা মূলত ব্রিটেনের সাবেক উপনিবেশভুক্ত দেশসমূহ নিয়ে গঠিত। এটি ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৫৬টি। এই জোটের সিদ্ধান্তসমূহ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এর সদরদপ্তর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত মার্লবোরো হাউসে। বর্তমানে কমনওয়েলথের প্রধান হলেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস।
বাংলাদেশ ৩২তম সদস্য দেশ হিসেবে ১৮ এপ্রিল ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথে যোগদান করে।
ব্রিটেনের রাজা ও কমনওয়েলথ রাজতন্ত্রভুক্ত দেশসমূহ
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরই তার জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজা তৃতীয় চার্লস সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। তিনি কেবল যুক্তরাজ্যেরই নয়, বরং কমনওয়েলথভুক্ত ১৫টি দেশেরও রাষ্ট্রপ্রধান। এসব দেশ স্বাধীন হলেও তারা এখনও যুক্তরাজ্যের রাজাকে সাংবিধানিক রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে স্বীকার করে।
এই ১৫টি দেশ হলো:
১. যুক্তরাজ্য
২. অস্ট্রেলিয়া
৩. কানাডা
৪. নিউজিল্যান্ড
৫. পাপুয়া নিউ গিনি
৬. টুভালু
৭. সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
৮. জ্যামাইকা
৯. বেলিজ
১০. বাহামা
১১. গ্রেনাডা
১২. অ্যান্টিগা ও বারবুডা
১৩. সেন্ট লুসিয়া
১৪. সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডাইনস
১৫. সেন্ট ক্রিস্টোফার অ্যান্ড নেভিস
এই দেশগুলো সাংবিধানিকভাবে ব্রিটেনের রাজাকে তাদের প্রতীকী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মান্য করে, যদিও তাদের নিজস্ব স্বায়ত্তশাসন এবং সরকার রয়েছে।
তথ্যসূত্র:
i) Commonwealth অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
ii) The Royal Family ওয়েবসাইট
অপশনে দ্বৈত উত্তর রয়েছে

0
Updated: 3 months ago
বর্তমানে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণে শীর্ষ দেশ- [আগস্ট,২০২৫]
Created: 4 weeks ago
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
রাশিয়া
C
চীন
D
কাতার
কার্বন নির্গমনকারী দেশসমূহ
-
শীর্ষ দেশ: চীন – বিশ্বের সর্বাধিক কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনকারী দেশ
-
কারণ: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ হলো কার্বন ডাই-অক্সাইডের অতিরিক্ত নির্গমন; বিশেষ করে চীনের উচ্চ কয়লা নির্ভরতা
-
বিশ্বব্যাপী অবদান: বৈশ্বিক নির্গমনের এক-চতুর্থাংশের জন্য দায়ী চীন
-
মাথাপিছু নির্গমন: ৮.৮৯ টন
-
বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ দেশসমূহ:
-
দ্বিতীয়: যুক্তরাষ্ট্র
-
তৃতীয়: ইন্ডিয়া
-
চতুর্থ: রাশিয়া
-
-
বাকি চারটি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ): বিশ্বের বেশির ভাগ কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের জন্য দায়ী
উৎস: World Population Review [লিঙ্ক]

0
Updated: 4 weeks ago
উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠী প্রধানত কোন দেশে বসবাস করে?
Created: 3 weeks ago
A
ইরান
B
চীন
C
ইন্দোনেশিয়া
D
মিয়ানমার
উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়
-
উইঘুররা হলো অন্তর্দেশীয় এশিয়ার একটি তুর্কি ভাষাভাষী জাতিগোষ্ঠী।
-
প্রধানত বসবাস: চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।
-
পূর্বে অঞ্চলটি স্বাধীন রাষ্ট্র পূর্ব তুর্কিস্থান নামে পরিচিত ছিল।
-
১৮৮৪ সালে চীনের মাঞ্চু রাজবংশের সঙ্গে আট বছরের যুদ্ধের পর স্বাধীনতা হারায় পূর্ব তুর্কিস্তান; এরপর অঞ্চলটির নামকরণ করা হয় জিনজিয়াং।
ঐতিহাসিক ও সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট:
-
চীনের কাছে স্বাধীনতা হারানোর পর উইঘুররা ধীরে ধীরে ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য হারাতে শুরু করে।
-
১৯১১ সালে মাঞ্চু সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু হয়; ১৯৩৩–৪৪ সালে উইঘুররা দুইবার স্বাধীনতা লাভ করে।
-
এই সময় গঠন করা হয় পূর্ব তুর্কিস্তান রিপাবলিক নামে স্বাধীন দেশ।
-
১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর আবারও স্বাধীনতা হারায় উইঘুররা।
-
২০১৭ সাল থেকে উইঘুররা চীনের দমননীতি ও দমনমূলক কার্যক্রমের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে।
তথ্যসূত্র: পত্রিকা রিপোর্ট

0
Updated: 3 weeks ago
১৯৯৭ সালে এশিয়ার কোন রাষ্ট্রে 'একদেশ, দুই নীতি' চালু হবে?
Created: 3 months ago
A
লাওস
B
ভিয়েতনাম
C
মঙ্গোলিয়া
D
গণচীন
‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি
চীনে বর্তমানে চালু রয়েছে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি। এই নীতির আওতায় রয়েছে চীনের দুটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল—হংকং ও ম্যাকাও। এর মধ্যে হংকং চীনের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি সমৃদ্ধ দ্বীপ, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। হংকংকে অনেক সময় ‘চীনের প্রবেশদ্বার’ বলা হয়।
হংকংয়ের ইতিহাস ও রাজনৈতিক পটভূমি
-
খ্রিষ্টপূর্ব ২৪৩ সালে চীনের কিং সাম্রাজ্যের শাসনামলে প্রথমবারের মতো হংকং চীনের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
পরবর্তীকালে রানি ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে হংকং ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়।
-
ব্রিটিশ শাসনের সূচনায় ছিল আফিম যুদ্ধের ভূমিকা। প্রথম আফিম যুদ্ধে পরাজয়ের পর, ১৮৪১ সালে ব্রিটেন হংকং দখল করে নেয় এবং সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে।
-
১৮৪২ সালে স্বাক্ষরিত নানকিং চুক্তির মাধ্যমে হংকং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ‘ক্রাউন কলোনি’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
-
পরে, ৯৯ বছরের ইজারার চুক্তি অনুযায়ী হংকং ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে পরিচালিত হতে থাকে।
হস্তান্তর ও ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি
-
১৯৮৪ সালে বেইজিংয়ের ‘হল অব দ্য পিপল’-এ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার ও চীনা প্রধানমন্ত্রী ঝাও জিয়াং একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন, যাতে হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
চুক্তি অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই হংকংকে চীনের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে হস্তান্তর করা হয়। এই ঐতিহাসিক আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, প্রিন্স চার্লস, চীনের প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাডেলিন অলব্রাইটসহ অনেক আন্তর্জাতিক নেতা।
-
চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল—হস্তান্তরের পরবর্তী ৫০ বছর অর্থাৎ ২০৪৭ সাল পর্যন্ত হংকংকে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতির আওতায় শাসন করা হবে। এর আওতায় পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে হংকং পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা
২০৪৭ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতির বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হবে এবং হংকংকে চীনের একটি সাধারণ প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।
উৎস: Britannica

0
Updated: 3 months ago