নিচের কোনটি নিত্য সমাস?
A
পঞ্চনদ
B
বেয়াদব
C
দেশান্তর
D
ভালমন্দ
উত্তরের বিবরণ
যে সমাসে সমস্যমান পদগুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে, ব্যাসবাক্যের দরকার হয় না, তাকে নিত্যসমাস বলে। তদর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়। যেমন: অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, কেবল দর্শন দর্শনমাত্র, অন্য গৃহ = গৃহান্তর, (বিষাক্ত) কাল (যম) তুল্য (কাল = বর্ণের নয়) সাপ = কালসাপ, তুমি আমি ও সে = আমরা, দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।
0
Updated: 1 month ago
‘চৌচালা’ কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 weeks ago
A
বহুব্রীহি
B
দ্বিগু
C
তৎপুরুষ
D
কর্মধারয়
চৌচালা - বহুব্রীহি সমাস। চৌ চাল যে ঘরের। পূর্বপদ সংখ্যাবাচক এবং পরপদ বিশেষ্য হলে এবং সমস্তপদটি বিশেষণ হলে তাকে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি বলে।
0
Updated: 2 weeks ago
'কদর্থ' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 3 weeks ago
A
দ্বন্দ্ব সমাস
B
কর্মধারয় সমাস
C
তৎপুরুষ সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
কর্মধারয় সমাস কয়েক প্রকারে সাধিত হয়।
১. দুটি বিশেষণ পদে একটি বিশেষ্য বোঝালে।
উদাহরণ: যে চালাক সেই চতুর → চালাক-চতুর
২. দুটি বিশেষ্য পদে একই ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝালে।
উদাহরণ: যিনি জজ তিনিই সাহেব → জজ সাহেব
৩. কার্যের পরম্পরা বোঝাতে দুটি কৃতান্ত বিশেষণ পদেও কর্মধারয় সমাস হয়।
উদাহরণ: আগে ধোয়া পরে মোছা → ধোয়ামোছা
৪. পূর্বপদে স্ত্রীবাচক বিশেষণ থাকলে কর্মধারয় সমাসে সেটি পুরুষবাচক হয়।
উদাহরণ: সুন্দরী যে লতা → সুন্দরলতা, মহতী যে কীর্তি → মহাকীর্তি
৫. পূর্বপদে বিশেষণবাচক মহান বা মহৎ শব্দ থাকলে 'মহৎ' বা 'মহান' স্থানে ‘মহা’ হয়।
উদাহরণ: মহৎ যে জ্ঞান → মহাজ্ঞান, মহান যে নবি → মহানবি
৬. পূর্বপদে ‘কু’ বিশেষণ থাকলে এবং পরপদের প্রথমে স্বরধ্বনি থাকলে 'কু' স্থানে ‘কৎ’ হয়।
উদাহরণ: কু যে অর্থ → কদর্থ, কু যে আচার → কদাচার
৭. পরপদে ‘রাজা’ শব্দ থাকলে কর্মধারয় সমাসে এটি ‘রাজ’ হয়।
উদাহরণ: মহান যে রাজা → মহারাজ
0
Updated: 3 weeks ago
সমাস সাধিত অশুদ্ধি ঘটেছে কোন শব্দে?
Created: 3 weeks ago
A
মহিমমণ্ডিত
B
রাজগণ
C
সুবুদ্ধি
D
যুবরাজা
বাংলা ভাষায় সমাস সাধনের ক্ষেত্রে অনেক সময় অশুদ্ধ শব্দ ব্যবহার হয়ে যায়, যা শুদ্ধ রূপে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে সংস্কৃত ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দ বাংলায় প্রথমবার একবচনে ধনী, গুণী, মানী, পাপী ইত্যাদি রূপ নেয়। কিন্তু নিঃ-উপসর্গ যোগ হয়ে সমাসবদ্ধ হলে শব্দের শেষে ঈ-কার থাকে না। তখন ধন, গুণ, মান, পাপ ইত্যাদি শব্দ সমানভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
নেই ধন যার = নির্ধন
-
নেই গুণ যার = নির্গুণ
-
নেই পাপ যার = নিষ্পাপ
অতএব, নির্ধনী, নির্গুণী, নিষ্পাপী ইত্যাদি অশুদ্ধ রূপ।
কিছু সমাস সাধিত অশুদ্ধ ও শুদ্ধ শব্দের প্রয়োগ নিচে দেওয়া হলো—
-
অশুদ্ধ: পিতাহারা → শুদ্ধ: পিতৃহারা
-
অশুদ্ধ: যুবরাজা → শুদ্ধ: যুবরাজ
-
অশুদ্ধ: মহিমামণ্ডিত → শুদ্ধ: মহিমমণ্ডিত
-
অশুদ্ধ: রাজাগণ → শুদ্ধ: রাজগণ
-
অশুদ্ধ: মাতাজাতি → শুদ্ধ: মাতৃজাতি
-
অশুদ্ধ: সুবুদ্ধিমান → শুদ্ধ: সুবুদ্ধি
-
অশুদ্ধ: নির্দোষী → শুদ্ধ: নির্দোষ
-
অশুদ্ধ: অর্ধরাত্রি → শুদ্ধ: অর্ধরাত্র
-
অশুদ্ধ: নিরভিমানী → শুদ্ধ: নিরভিমান
-
অশুদ্ধ: দিবারাত্রি → শুদ্ধ: দিবারাত্র
-
অশুদ্ধ: নীরোগী → শুদ্ধ: নীরোগ
উৎস:
0
Updated: 3 weeks ago