যে সমাসে সমস্যমান প্রত্যেকটি পদের অর্থের সমান প্রাধান্য থাকে তাকে কোন সমাস বলে?
A
দ্বন্দ্ব
B
দ্বিগু
C
তৎপুরুষ
D
বহুব্রীহি
উত্তরের বিবরণ
যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থের সমান প্রাধান্য থাকে এবং ব্যাসবাক্যে একটি সংযোজক অব্যয় (কখনো বিয়োজক) দ্বারা যুক্ত থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: তাল ও তমাল= তাল-তমাল, যে সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক এবং সমাসটি সমাহার বা সমষ্টি অর্থ প্রকাশ করে, তাকে দ্বিগু সমাস বলা হয়। যেমনঃ পঞ্চ নদের সমাহার- পঞ্চনদ।

0
Updated: 1 month ago
”মেনিমুখো” কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
কর্মধারয় সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
দ্বন্দ্ব সমাস
• ”মেনিমুখো” মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ।
• মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি:
- বহুব্রীহি সমাসের ব্যাখ্যার জন্য ব্যবহৃত বাক্যাংশের কোনো অংশ যদি সমস্তপদে লোপ পায়, তবে তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি বলে।
যেমন:
- বিড়ালের চোখের ন্যায় চোখ যে নারীর = বিড়ালচোখী,
- হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = হাতেখড়ি।
- এমনি ভাবে ”গায়ে হলুদ”, ”মেনিমুখো” ইত্যদি।

0
Updated: 2 months ago
কোনটি নিত্য সমাসের সমস্তপদ?
Created: 2 weeks ago
A
সেতার
B
প্রত্যহ
C
গ্রামান্তর
D
সহোদর
সমাস হলো দুটি বা ততোধিক পদ একত্রে এসে নতুন অর্থবোধক পদ গঠন। সমাসের মধ্যে একটি বিশেষ ধরন হলো নিত্য সমাস।
নিত্য সমাসের বৈশিষ্ট্য
-
যেসব সমাসপদকে আবার মূল পদে ভাঙা যায় না।
-
পদগুলোর আদি রূপ লোপ পায়।
-
পদগুলোর অর্থ একত্র হয়ে নতুন অর্থ তৈরি করে।
সেতার → "সত্ + তার" থেকে এসেছে। ভাঙা যায়, তাই এটি নিত্য সমাস নয়।
-
প্রত্যহ → "প্রতি + অহ" (অহ = দিন)। এটি অব্যয়ীভাব সমাস, নিত্য সমাস নয়।
-
গ্রামান্তর → "গ্রাম + অন্তর" → অর্থ "অন্য গ্রাম"। এখানে "অন্তর" শব্দটি মূল রূপে ব্যবহৃত হয় না, অর্থ পরিবর্তিত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করেছে। এটি নিত্য সমাসের সমস্তপদ।
-
সহোদর → "সহ + উদর" (একই উদরজাত = ভাই/ভগ্নি)। এটি তৎপুরুষ সমাস।
সুতরাং, নিত্য সমাসের উদাহরণ গ্রামান্তর।

0
Updated: 2 weeks ago
'বজ্জাত' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 weeks ago
A
বহুব্রীহি সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
দ্বন্দ্ব সমাস
পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস
সংজ্ঞা:
পূর্বপদের পঞ্চমী বিভক্তি (যেমন: হতে, থেকে, চেয়ে ইত্যাদি) লোপ পেয়ে যে তৎপুরুষ সমাস গঠিত হয়, তাকে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস বলে। এই পঞ্চমী বিভক্তিগুলি সমাসের পূর্বপদের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং পরে সরাসরি নতুন সমাসপদ গঠন করে।
উদাহরণ:
-
পরানের চেয়ে প্রিয় → পরানপ্রিয়
-
বিলাত থেকে ফেরত → বিলাতফেরত
-
বদ থেকে জাত → বজ্জাত
আরও উদাহরণ:
কণ্ঠনিঃসৃত, দুখজাত, বোঁটাখসা, স্বর্গচ্যুত, ঋণমুক্ত, কারামুক্ত, কৃষিজাত, খাঁচাছাড়া, গদিচ্যুত, দলস্থাত, বৃত্তচ্যুত, লক্ষ্যচ্যুত, চাকভাঙা, জেলফেরত, দলছুট, পথভ্রষ্ট, বন্ধনমুক্ত, বিক্রয়লখ, বিদেশাগত, মেঘমুক্ত, শাপমুক্ত, রোগমুক্ত, স্কুলপালানো, স্নেহবঞ্চিত, হাতছাড়া ইত্যাদি।
বিশেষ উল্লেখ:
-
সাধারণত চ্যুত, জাত, আগত, ভীত, গৃহে, বিরত, মুক্ত, উত্তীর্ণ, পালানো, ভ্রষ্ট ইত্যাদি পরপদের সঙ্গে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস হয়।
-
কখনও কখনও ব্যাসবাক্যে 'এর', 'চেয়ে' ব্যবহার হয়। যেমন:
-
পরানের চেয়ে প্রিয় → পরানপ্রিয়
-

0
Updated: 2 weeks ago