সন্ধিতে চ ও জ এর নাসিক্য ধ্বনি কী হয়?
A
অনুস্বার
B
দ্বিত্ব
C
মহাপ্রাণ
D
তালব্য
উত্তরের বিবরণ
চ-বর্গীয় ধ্বনির আগে যদি ত- -বর্গীয় ধ্বনি আসে তাহলে, ত-বর্গীয় ধ্বনি লোপ হয় এবং চ-বর্গীয় ধ্বনির দ্বিত্ব হয়। অর্থাৎ ত-বর্গীয় ধ্বনি ও চ-বর্গীয় ধ্বনি পাশাপাশি এলে প্রথমটি লুপ্ত হয়ে পরবর্তী ধ্বনিটি দ্বিত্ব হয়। যেমন— নাত + জামাই =নাজ্জামাই (ত্ + জ, জ্জ), বদ্ + জাত =বজ্জাত, হাত + ছানি = হাচ্ছানি ইত্যাদি।

0
Updated: 1 month ago
'বুনা > বোনা' কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
পরাগত স্বরসঙ্গতি
B
প্রগত স্বরসঙ্গতি
C
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি
D
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি
স্বরসঙ্গতি হলো সেই ঘটনা যখন একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অন্য স্বরের পরিবর্তন ঘটে।
উদাহরণ
-
দেশি > দিশি
-
বিলাতি > বিলিতি
প্রকারভেদ:
-
প্রগত স্বরসঙ্গতি: আদিস্বরের প্রভাবে অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ: মুলা > মুলো, শিকা > শিকে, তুলা > তুলো -
পরাগত স্বরসঙ্গতি: অন্ত্যস্বরের প্রভাবে আদ্যস্বর পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ: বুনা > বোনা, দেশি > দিশি -
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি: আদ্য ও অন্ত্য উভয়ের প্রভাবে মধ্যস্বর পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ: বিলাতি > বিলিতি, ভিখারি > ভিখিরি -
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি: আদ্য ও অন্ত্য উভয় স্বরই পরস্পরের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ: মোজা > মুজো
উৎস:

0
Updated: 1 month ago
এক প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি সমষ্টিকে কী বলে?
Created: 2 weeks ago
A
বর্ণ
B
অক্ষর
C
শব্দ
D
লিপি
অক্ষর হলো বাগযন্ত্রের ক্ষুদ্রতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা শব্দাংশ। ইংরেজিতে এটিকে syllable বলা হয়।
-
প্রকারভেদ:
-
মুক্তাক্ষর: টানা যায় না, যেমন ক/লা।
-
বদ্ধাক্ষর: টানা যায়, যেমন দিন, রাত।
-
-
উদাহরণ: 'বাংলাদেশ' শব্দে ৩টি অক্ষর রয়েছে: বাং + লা + দেশ।
-
অক্ষর নির্ধারণের নিয়ম: শব্দে যতগুলো কার আছে এবং এক সঙ্গে উচ্চারিত শব্দাবলীর সংখ্যা মিলে অক্ষর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।

0
Updated: 2 weeks ago
ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য কোথায়?
Created: 1 week ago
A
লেখার ধরনে
B
উচ্চারনের বিশিষ্টতায়
C
সংখ্যাগত পরিমানে
D
ইন্দ্রিয় গ্রাহ্যে
ধ্বনি ও বর্ণ বাংলা ব্যাকরণে দুটি স্বতন্ত্র ধারণা, যাদের মূল পার্থক্য তাদের প্রকৃতি এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতার মধ্যে নিহিত। ধ্বনি শ্রুতিগ্রাহ্য, আর বর্ণ দৃষ্টিগ্রাহ্য। নিচে এই পার্থক্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
ধ্বনি:
-
এটি মুখ থেকে উচ্চারিত শব্দ বা কথনের একক।
-
কান দিয়ে শোনা যায়, অর্থাৎ এটি শ্রুতিগ্রাহ্য।
-
ভাষার মৌখিক রূপের অংশ এবং উচ্চারণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
-
উদাহরণ: ‘ক’ বা ‘আ’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্রুতিগোচর হয়।
-
ভাষাভেদে ধ্বনির সংখ্যা ও প্রকৃতি ভিন্ন হতে পারে।
বর্ণ:
-
এটি ধ্বনির লিখিত প্রতীক বা চিহ্ন।
-
চোখ দিয়ে দেখা যায়, অর্থাৎ এটি দৃষ্টিগ্রাহ্য।
-
বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ (অ, আ, ই) ও ব্যঞ্জনবর্ণ (ক, খ, গ) উভয়ই রয়েছে, যা ধ্বনিকে লিখিত রূপে প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: আমরা যখন ‘ক’ উচ্চারণ করি, তখন তা ধ্বনি; কিন্তু লিখলে ‘ক’ তখন তা বর্ণ।
এই বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্যের মূল ভিত্তি হলো ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা, অর্থাৎ একটির উৎস শ্রবণেন্দ্রিয় আর অন্যটির দৃষ্টিেন্দ্রিয়।

0
Updated: 1 week ago