বাংলা আধুনিক উপন্যাস-এর প্রবর্তক ছিলেন-
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
প্যারীচাঁদ মিত্র
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের একজন প্রধান ব্যক্তিত্ব।
-
তিনি ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
বাংলা আধুনিক উপন্যাসের জনক হিসেবে তাঁকে বিবেচনা করা হয়।
-
তাঁর প্রধান ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী এবং সীতারাম।
-
বঙ্কিমচন্দ্র ‘সাম্য’ নামক প্রবন্ধ গ্রন্থও রচনা করেন।
উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
উৎস: বাংলাপিডিয়া, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
স্বভাবতই 'ষ' হয়েছে নিচের কোন শব্দে?
Created: 3 weeks ago
A
ভবিষ্যৎ
B
পরিষ্কার
C
ভূষণ
D
উৎকৃষ্ট
বাংলা বানানে ‘ষ’ ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো মূলত ধ্বনিগত ও ব্যুৎপত্তিগত কারণে গড়ে উঠেছে। নিচে সেসব নিয়ম ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হলো।
১. অ, আ ছাড়া অন্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র-এর পরে প্রত্যয়ের স → ষ হয়।
উদাহরণ: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চক্ষুষ্মান, চিকীর্ষা।
২. ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গের পরে কতগুলো ধাতুতে স → ষ হয়।
উদাহরণ: অভিষেক (অভিসেক), সুষুপ্ত (সুসুপ্ত), অনুষঙ্গ (অনুসঙ্গ), প্রতিষেধক (প্রতিসেধক), প্রতিষ্ঠান (প্রতিস্থান), অনুষ্ঠান (অনুস্থান), বিষম (বিসম), সুষমা (সুসমা)।
৩. ঋ এবং ঋ-কারের পরে স → ষ হয়।
উদাহরণ: ঋষি, কৃষক, উৎকৃষ্ট, দৃষ্টি, সৃষ্টি।
৪. তৎসম শব্দে র-এর পরে স → ষ হয়।
উদাহরণ: বর্ষা, ঘর্ষণ, বর্ষণ।
৫. র ধ্বনির পরে অ, আ ছাড়া অন্য স্বরধ্বনি থাকলে স → ষ হয়।
উদাহরণ: পরিষ্কার।
তবে র-এর পরে অ, আ থাকলে স থাকে।
উদাহরণ: পুরস্কার।
৬. ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে স → ষ হয়।
উদাহরণ: কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
৭. কিছু শব্দে স্বভাবতই ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: ষড়ঋতু, রোষ, কোষ, আষাঢ়, ভাষণ, ভাষা, ঊষা, পৌষ, কলুষ, পাষাণ, মানুষ, ঔষধ, ষড়যন্ত্র, ভূষণ, দ্বেষ।
যেসব ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয় না:
-
বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দে।
উদাহরণ: জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট। -
সংস্কৃত ‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত পদে।
উদাহরণ: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ।
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
"নৌকাটি দক্ষিণের অভিমুখে যাত্রা করল।" - এখানে 'অভিমুখে' কোন পদ?
Created: 3 weeks ago
A
বিশেষ্য
B
সর্বনাম
C
ক্রিয়াবিশেষণ
D
অনুসর্গ
“নৌকাটি দক্ষিণের অভিমুখে যাত্রা করল।” — এখানে ‘অভিমুখে’ একটি অনুসর্গ পদ।
অনুসর্গ হলো এমন শব্দ, যা কোনো শব্দের পরে বসে তাকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করে।
যেমন—
-
সে কাজ ছাড়া কিছুই বোঝে না। (‘ছাড়া’ অনুসর্গ)
-
কোন পর্যন্ত পড়েছ? (‘পর্যন্ত’ অনুসর্গ)
কিছু সাধারণ অনুসর্গের উদাহরণ—
-
অপেক্ষা, অবধি, অভিমুখে, আগে, উপরে, করে, কর্তৃক, কাছে, কারণে, ছাড়া, জন্য, তরে, চেয়ে, থেকে, দরুন, দিকে, দিয়ে, দ্বারা, ধরে, নাগাদ, নিচে, পর্যন্ত, পানে, পাশে, পিছনে, প্রতি, বদলে, বনাম, বরাবর, বাইরে, বাদে, বাবদ, বিনা, ব্যতীত, ভিতরে, মতো, মধ্যে, মাঝে, লেগে, সঙ্গে, সম্মুখে, সাথে, সামনে, হতে ইত্যাদি।
অনুসর্গকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়—
-
সাধারণ অনুসর্গ
-
ক্রিয়াজাত অনুসর্গ

0
Updated: 3 weeks ago
'রাকিবকে দিয়ে এ কাজ হবে না।' - এ বাক্যে 'দিয়ে' ধরনের অব্যয়?
Created: 2 weeks ago
A
পদান্বয়ী অব্যয়
B
সমুচ্চয়ী অব্যয়
C
অনন্বয়ী অব্যয়
D
অনুকার অব্যয়
অনুসর্গ অব্যয় হলো সেই সকল অব্যয় শব্দ যা বিশেষ্য বা সর্বনামের মতো বসে কারকবাচকতা প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: “দিয়ে” – ওকে দিয়ে এ কাজ হবে না।
-
অনুসর্গ অব্যয়কে পদান্বয়ী অব্যয় নামেও বলা হয়।
সমুচ্চয়ী অব্যয় হলো সেই অব্যয় যা একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য বাক্য বা বাক্যস্থ পদের সঙ্গে সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়।
-
এটি সম্বন্ধবাচক অব্যয় হিসেবেও পরিচিত।
অনন্বয়ী অব্যয় হলো সেই সকল অব্যয় যা বাক্যের অন্য পদের সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ না রেখে ভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ:
-
উচ্ছ্বাস প্রকাশে: মরি মরি! কী সুন্দর প্রভাতের রূপ!
-
স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি প্রকাশে: হ্যাঁ, আমি যাব। না, আমি যাব না।
-
সম্মতি প্রকাশে: আমি আজ আলবত যাব। নিশ্চয়ই পারব।
-
অনুকার অব্যয় হলো সেই অব্যয় যা অব্যক্ত রূপ, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয়, এবং ধ্বন্যাত্মক অব্যয় নামে পরিচিত।
-
উদাহরণ:
-
বজ্রের ধ্বনি: কড় কড়
-
মেঘের গর্জন: গুড় গুড়
-
বৃষ্টির তুমুল শব্দ: ঝম ঝম
-
সিংহের গর্জন: গর গর
-

0
Updated: 2 weeks ago