A
ফারসি
B
পর্তুগিজ
C
ওলন্দাজ
D
পাঞ্জাবি
উত্তরের বিবরণ
‘গির্জা’ শব্দের উৎস: বাংলা একাডেমীর আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে, ‘গির্জা’ শব্দটি এসেছে পর্তুগিজ ভাষা থেকে।
-
অর্থ: খ্রিষ্টধর্ম অনুসারীদের উপাসনালয় বা প্রার্থনালয়।
-
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্তুগিজ উৎসের বাংলা শব্দ:
-
আনারস, আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, বালতি ইত্যাদি।
-
উৎস: আধুনিক বাংলা অভিধান, বাংলা একাডেমি।

0
Updated: 1 day ago
দু‘টি পদের সংযোগস্থলে কি বসে?
Created: 4 days ago
A
ড্যাশ
B
হাইফেন
C
কোলন
D
কোলন ড্যাশ
দু'টি পদের সংযোগস্থলে ড্যাশ বসে।
কোলন (:): একটি অপূর্ণ বাক্যের পর অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে কোলন ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে উদাহারণ বোঝাতেও কোলন বহুল ব্যবহৃত। ড্যাস (—): যৌগিক ও মিশ্র বাক্যে পৃথক ভাবাপন্ন দুই বা তার বেশি বাক্যের সমন্বয় বা সংযোগ বোঝাতে ড্যাস বসে। কোলন ড্যাস (: -):
উদাহারণ বোঝাতে আগে কোলন ড্যাস ব্যবহৃত হত। বর্তমানে উদাহারণ বোঝাতে শুধু কোলন বহুল ব্যবহৃত। হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন (-): সমাসবদ্ধ পদগুলোকে আলাদা করে দেখানোর জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 4 days ago
'কাঁচি' কোন ধরনের শব্দ?
Created: 1 month ago
A
আরবি
B
ফারসি
C
হিন্দি
D
তুর্কি
‘কাঁচি’ শব্দটি তুর্কি ভাষা থেকে আগত।
এটি একটি ধারালো হাতিয়ার, যা মূলত কাগজ, কাপড় বা অনুরূপ বস্তু কেটে ফেলার কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি দুইটি হাতলযুক্ত ইস্পাতের ধারালো ফলা দিয়ে তৈরি, যা একসঙ্গে যুক্ত থাকে।
বাংলা ভাষায় তুর্কি ভাষার প্রভাব লক্ষণীয়।
‘কাঁচি’ ছাড়াও বাংলা ভাষায় আরও কিছু সাধারণ ব্যবহারযোগ্য শব্দ তুর্কি ভাষা থেকে এসেছে। যেমন—তোপ, চাকু, বাবা, বাবুর্চি, মুচলেকা প্রভৃতি শব্দ তুর্কি ভাষা থেকেই গৃহীত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আধুনিক বাংলা অভিধান, বাংলা একাডেমি।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি ধ্বনি-পরিবর্তনের উদাহরণ নয়?
Created: 2 weeks ago
A
প্রাতিপদিক
B
অভিশ্রুতি
C
অপিনিহিতি
D
ধ্বনি-বিপর্যয়
• 'প্রাতিপদিক' ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ নয়।
প্রাতিপদিক:
বিভক্তিহীন নাম শব্দকে প্রাতিপদিক বলে। যেমন: মুখ, পা, বই ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
উচ্চারণের সুবিধার জন্য ধ্বনি পরিবর্তন করা হয়। স্বরসঙ্গতি, অপনিহিতি এবং ব্যঞ্জন বিকৃতি ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ।
• স্বরসঙ্গতি:
একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে।
যেমন:
- দেশি > দিশি,
- বিলাতি > বিলিতি,
- শিকা > শিকে,
- মুলা > মুলো ইত্যাদি।
• অপিনিহিতি:
পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জন ধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।
যেমন:
- আজি > আইজ,
- সাধু > সাউধ,
- মারি > মাইর ইত্যাদি।
• ব্যঞ্জন বিকৃতি:
শব্দ-মধ্যে কোনাে কোনাে সময় কোনাে ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়। একে বলে ব্যঞ্জন বিকৃতি।
যেমন:
- কবাট > কপাট,
- ধােবা > ধােপা,
- ধাইমা > দাইমা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 weeks ago