'জিজীবিষা' শব্দটি দিয়ে বোঝায়-
A
জয়ের ইচ্ছা
B
হত্যার ইচ্ছা
C
বেঁচে থাকার ইচ্ছা
D
শোনার ইচ্ছা
উত্তরের বিবরণ
এক কথায় ইচ্ছার প্রকাশ
-
বেঁচে থাকার ইচ্ছা → জিজীবিষা
-
জয়ের ইচ্ছা → জিগীষা
-
হনন (হত্যা) করার ইচ্ছা → জিঘাংসা
-
শ্রবণ (শোনা) করার ইচ্ছা → শ্রবণেচ্ছা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলা একাডেমী অভিধান; বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৮ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 month ago
’মনসাবিজয়’ কাব্যগ্রন্থের লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
বিপ্রদাস পিপিলাই
B
কবি দ্বিজমাধব
C
বিজয়গুপ্ত
D
কেতকা দাস
বিপ্রদাস পিপিলাই ছিলেন ১৫শ শতকের মনসামঙ্গল কাব্যধারার একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি। তিনি ১৪১৭ শকাব্দে (১৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দে) তাঁর মনসাবিজয় কাব্য রচনা করেন, যা মনসামঙ্গল ধারার উল্লেখযোগ্য কাব্য।
-
তাঁর মনসাবিজয় কাব্যের প্রাপ্ত পুথিগুলির মধ্যে দুটি কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিতে, একটি বর্ধমান সাহিত্যসভায় এবং একটি বিশ্বভারতীর পুথিশালায় সংরক্ষিত আছে।
-
কাব্যে কবির আত্মপরিচয় থেকে জানা যায় যে তিনি পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বাদুড়্যা-বটগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
-
তাঁর পিতার নাম ছিল মুকুন্দ পণ্ডিত।
-
বিপ্রদাসের কাব্যে মনসা দেবীর চরিত্রকে তুলনামূলকভাবে নমনীয়, স্নেহময়ী ও করুণারসসম্পৃক্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
তাঁর কাব্যের আখ্যানধারা সরল, ভাষা সাবলীল এবং চরিত্রচিত্রণে সংযম ও পরিচ্ছন্ন রুচির প্রকাশ ঘটেছে।
-
এই কাব্যে চাঁদ সওদাগরের বাণিজ্যযাত্রার প্রসঙ্গে সপ্তগ্রামের একটি বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।
উৎস:

0
Updated: 1 month ago
বাংলার আদি জনগোষ্ঠী কোন ভাষাভাষী ছিল?
Created: 1 month ago
A
বৈদিক
B
অস্ট্রিক
C
পালি
D
ধ্রুপদী
বাংলা ভাষার উৎপত্তি
-
ভাষা পরিবার: বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-গোষ্ঠীর সদস্য।
-
উৎপত্তি: ইন্দো-ইরানীয় শাখাভুক্ত নব্য-ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে।
-
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দুটি শাখা: কেন্তম এবং শতম। বাংলা ভাষা শতম শাখা থেকে উদ্ভূত।
-
-
আদি জনগোষ্ঠী: অস্ট্রিক ভাষাভাষী।
প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় প্রভাব
-
ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক ভাষার মূল উৎস অনার্য ভাষা।
-
আর্যদের ভাষা: বৈদিক ভাষা।
-
বৈদিক ভাষার সংস্কারজাত নতুন ভাষা: সংস্কৃত।
-
শব্দ “সংস্কৃত” প্রথম উল্লেখ: মহাকাব্য ‘রামায়ণ’।
-
-
বাংলা ভাষার নিকটতম আত্মীয়: অহমিয়া ও ওড়িয়া।
-
ধ্রুপদী সংস্কৃতি ও পালি ভাষার সঙ্গে বাংলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ: গৌড়ি প্রাকৃত → গৌড়ি অপভ্রংশ → বঙ্গ-কামরুপি → বাংলা।
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়: মাগধী প্রাকৃত → মাগধী অপভ্রংশ → বাংলা।
-
ভাষাবিদরা ড. শহীদুল্লাহর মতামতকে অধিক গ্রহণযোগ্য মনে করেন।
বাংলা ভাষার ঐতিহাসিক পর্যায়
১. প্রাচীন বাংলা: ৯০০/১০০০ – ১৩৫০
-
উল্লেখযোগ্য লিখিত নিদর্শন: চর্যাগীতিকাগুলি
২. মধ্যবাংলা: ১৩৫০ – ১৮০০
৩. আধুনিক বাংলা: ১৮০০ পরবর্তী
উৎস:
-
বাংলা একাডেমি, প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (দ্বিতীয় খণ্ড)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
B
তৎসম শব্দবহুল।
C
সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে।
D
বক্তৃতা ও আলাপ-আলোচনার উপযোগী।
সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য নয়— বক্তৃতা ও আলাপ-আলোচনার উপযোগী হওয়া। সাধু রীতি মূলত লেখ্য ভাষায় ব্যবহার হয় এবং এর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
সাধু রীতি
-
বাংলা লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
-
এ রীতি গুরুগম্ভীর এবং তৎসম শব্দবহুল।
-
সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য অনুপযোগী।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
চলিত রীতি
-
চলিত রীতি পরিবর্তনশীল। একশ বছর আগে যে চলিত রীতি শিষ্ট ও ভদ্রজনের কথ্য ভাষা হিসেবে প্রচলিত ছিল, বর্তমানে তা পরিবর্তিত রূপ লাভ করেছে।
-
এ রীতি তদ্ভব শব্দবহুল।
-
চলিত রীতি সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য। বক্তৃতা, আলাপ-আলোচনা ও নাট্যসংলাপের জন্য এটি বেশি উপযোগী।
-
সাধু রীতির সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত হয়ে সহজতর রূপ গ্রহণ করে। বহু বিশেষ্য ও বিশেষণেও একই রকম পরিবর্তন ঘটে।
উৎস:

0
Updated: 1 month ago