'জোছনা' কোন শ্রেণির শব্দ?
A
যৌগিক
B
তৎসম
C
দেশি
D
অর্ধ-তৎসম
উত্তরের বিবরণ
‘জোছনা’ একটি অর্ধ-তৎসম (আধাসংস্কৃত) শব্দ।
-
এটি সংস্কৃতের ‘জ্যোৎস্না’ থেকে এসেছে।
-
অর্থ: চাঁদের আলো বা কৌমুদী।
সংজ্ঞা:
-
তৎসম শব্দ হলো সরাসরি সংস্কৃত থেকে নেওয়া শব্দ।
-
অর্ধ-তৎসম শব্দ হলো সেইসব শব্দ যা তৎসম থেকে সাধারণ উচ্চারণ বা রূপ পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলায় এসেছে।
অর্ধ-তৎসমের আরও কিছু উদাহরণ:
-
গিন্নি
-
কেষ্ট
উৎস: ভাষা শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন শব্দটি সাধু ভাষায় ব্যবহারের উপযোগী?
Created: 1 month ago
A
শুকনো
B
সাথে
C
জুতা
D
বুনো
জুতা - জুতা, সহিত - সাথে, বন্য - বুনো, শুষ্ক - শুকনো।

0
Updated: 1 month ago
'এ কাজ করতে আমি বদ্ধ পরিকর'- এখানে 'পরিকর' শব্দের অর্থ কী? [মূল প্রশ্নে 'পরিবার' লেখা ছিল]
Created: 1 week ago
A
শ্বাস
B
প্রতিজ্ঞা
C
কোমর
D
প্রতিশ্রুত
‘বদ্ধ পরিকর’ শব্দগুচ্ছটি সংস্কৃত ‘বদ্ধ’ ও ‘পরিকর’ শব্দ থেকে গঠিত। এটি একটি বিশেষণ পদ, যার অর্থ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, সংকল্পবদ্ধ বা কোনো কাজে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ব্যক্তি। এই শব্দটি ব্যবহার করা হয় এমন অবস্থায়, যখন কেউ কোনো কাজ সম্পাদনে মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত।
তথ্যসমূহ:
-
‘বদ্ধ’ শব্দের অর্থ: বাঁধা বা আবদ্ধ।
-
‘পরিকর’ শব্দের অর্থ: কটিবন্ধ বা কোমরবন্ধনী (যা কোমরে বাঁধা হয়, ইংরেজিতে belt)।
-
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী, ‘বদ্ধ পরিকর’ মানে কোমর বেঁধে প্রস্তুত হওয়া বা দৃঢ় সংকল্প করা।
-
আক্ষরিকভাবে ‘বদ্ধ পরিকর’ অর্থ দাঁড়ায় কোমর বা কটিবন্ধ বাঁধা।
-
রূপকভাবে এটি বোঝায় কোনো কাজ সম্পাদনে সম্পূর্ণ মনোযোগ ও প্রস্তুতি নেওয়া।
উদাহরণ:
বাক্য — “এ কাজ করতে আমি বদ্ধ পরিকর।”
এখানে ‘পরিকর’ শব্দের অর্থ কোমর, আর পুরো বাক্যের ভাবার্থ — “আমি এই কাজটি করতে দৃঢ়ভাবে প্রস্তুত।”
অতিরিক্ত বিশ্লেষণ:
৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন ছিল —
‘গড্ডলিকা প্রবাহ’ বাগ্ধারায় ‘গড্ডল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ভেড়া।
যেমন ‘গড্ডলিকা প্রবাহ’ মানে অন্ধভাবে অনুসরণ করা, তেমনি ‘বদ্ধ পরিকর’-এর ক্ষেত্রেও শব্দটির আক্ষরিক অর্থ (কোমর) থেকে রূপক অর্থ (দৃঢ়সংকল্প) গড়ে উঠেছে।
সঠিক উত্তর: গ) কোমর।

0
Updated: 1 week ago
‘আমার দেখা নয়াচীন’ কে লিখেছেন?
Created: 1 month ago
A
মওলানা ভাসানী
B
আবুল ফজল
C
শহীদুল্লা কায়সার
D
শেখ মুজিবুর রহমান
‘আমার দেখা নয়াচীন’ শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় গ্রন্থ, যা তিনি ১৯৫৪ সালে কারাগারে রাজবন্দি অবস্থায় স্মৃতিনির্ভরভাবে রচনা করেন। এটি মূলত ১৯৫২ সালের গণচীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা একটি ডায়েরি-ধর্মী পুস্তক,
যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকে চীনের সংস্কৃতি, প্রশাসন ও সমাজের জীবনচিত্র তুলে ধরেছেন প্রাঞ্জল ও সূক্ষ্ম ভাষায়। বইটি বঙ্গবন্ধুর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব, অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার গভীর পরিচয় প্রদান করে।
• প্রকাশের তথ্য: বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায়, যেখানে একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে বাংলা একাডেমি।
• ভূমিকা: বইটির ভূমিকা লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
• ভ্রমণের প্রেক্ষাপট: ১৯৫২ সালের ২-১২ অক্টোবর চীনের পিকিংয়ে অনুষ্ঠিত এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক শান্তি সম্মেলনে পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু যোগ দেন।
• সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য: গ্রন্থে শিল্পিত মন ও সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নবগঠিত গণচীনের শাসনব্যবস্থা ও জীবনচিত্র বর্ণনা করা হয়েছে।

0
Updated: 1 month ago