A
৫০
B
৫১
C
৪৮
D
৪৯
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘ (United Nations Organization)
জাতিসংঘ হলো বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা জাতিপুঞ্জের (League of Nations) উত্তরসূরী।
-
সনদ স্বাক্ষর: ২৬ জুন, ১৯৪৫
-
প্রতিষ্ঠা: ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫
-
স্বাক্ষরের স্থান: সান ফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য: ৫১টি দেশ (পোল্যান্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে)
-
বিশেষ তথ্য: পোল্যান্ড সান ফ্রান্সিসকো সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না, তবে ১৫ অক্টোবর সনদে স্বাক্ষর করায় প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে গণ্য।
-
-
বর্তমান সদস্য: ১৯৩টি দেশ
-
সর্বশেষ সদস্য: দক্ষিণ সুদান
-
মহাসচিব: আন্তোনিও গুতেরেস
-
সদর দপ্তর: ম্যানহাটন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
-
দাপ্তরিক ভাষা: ৬টি (ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, চীনা, রুশ, স্প্যানিশ, আরবি)
-
কার্যকরী ভাষা: ২টি (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ)
-
স্থায়ী পর্যবেক্ষক: ২টি (ভ্যাটিকান সিটি ও ফিলিস্তিন)
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
১৯৪৫ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সান ফ্রান্সিসকো সম্মেলনে ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করেন। সনদ কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ গঠিত হয়। পোল্যান্ডসহ প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সংখ্যা ছিল ৫১টি।
উৎস: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 day ago
বর্তমান বিশ্বে 'নিউ সিল্ক রোড' এর প্রবক্তা-
Created: 2 weeks ago
A
জাপান
B
ভারত
C
আফগানিস্তান
D
চীন
নিউ সিল্ক রোড এবং এর প্রবর্তক
-
প্রবর্তক দেশ: চীন
-
নিউ সিল্ক রোড কি?
চীন মূলত বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য 'নিউ সিল্ক রোড' বা 'বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' শুরু করেছে। এটি একটি আধুনিক বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত পথ, যা প্রাচীন সিল্ক রোডের ধারাবাহিকতা বহন করে। -
প্রাচীন সিল্ক রোড:
প্রাচীনকালে চীনের রেশম ও রেশমী কাপড় মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকায় পৌঁছাত। এই বাণিজ্য পথকে 'সিল্ক রোড' বলা হতো।-
খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে চীনের হান রাজবংশ সময়ে এটি গড়ে উঠেছিল।
-
দশম শতাব্দীতে সং রাজবংশ সময়ে এই বাণিজ্য পথের ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
-
-
আধুনিক উদ্যোগ:
১৯৩০ সালে যুক্তরাজ্য প্রাচীন সিল্ক রোড চালুর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি। এরপর ২০১৪ সালে চীন আধুনিক নিউ সিল্ক রোড চালুর উদ্যোগ নেয়।
তথ্যসূত্র: Britannica.com

0
Updated: 2 weeks ago
কোন দেশের জাতীয় সংসদ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট?
Created: 1 day ago
A
মিয়ানমার
B
চীন
C
সিঙ্গাপুর
D
ব্রুনাই
মিয়ানমার (বার্মা)
-
রাজধানী: নেপিদো
-
মুদ্রা: কিয়াট
-
প্রধান ভাষা: বার্মিজ
-
বর্তমান প্রেসিডেন্ট: মিন্ট সোয়ে
-
সীমান্ত রক্ষী বাহিনী: বর্ডার গার্ড পুলিশ (BGP)
-
আইনসভা: দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট
সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক ইতিহাস:
মিয়ানমার ১৯৬২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত প্রায় ৪৭ বছর ধরে জান্তা শাসনের অধীনে ছিল। ২০১১ সালে সামরিক বাহিনী সীমিত ক্ষমতা দিয়ে বেসামরিক সরকারের হাতে নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে। ২০১৫ সালে অং সাং সু চি’র নেতৃত্বে এনএলডি দল নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সাং সু চি ও তার সরকার উৎখাত হয়।
আইনসভা কাঠামো:
মিয়ানমারের আইনসভা দুই কক্ষে বিভক্ত:
-
নিম্নকক্ষ: পিথু হুততাও
-
উচ্চকক্ষ: অ্যামিয়োথা হুততাও
তুলনামূলক তথ্য:
চীন, সিঙ্গাপুর, ও ব্রুনাই-এর আইনসভা এককক্ষ বিশিষ্ট।
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 day ago
'Black Lives Matter' কি?
Created: 1 week ago
A
একটি গ্রন্থের নাম
B
একটি পানীয়
C
বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন
D
একটি NGO
Black Lives Matter (BLM)
‘Black Lives Matter’ একটি বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন যা মূলত অনলাইনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য বন্ধ করা এবং তাদের সাথে সমান আচরণ নিশ্চিত করা।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সামাজিক মাধ্যমে BLM আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালে।
-
এর উৎপত্তি ঘটে আমেরিকার আফ্রো-আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে, শ্বেতাঙ্গদের সহিংস আচরণের প্রতিবাদ হিসেবে।
-
এই আন্দোলনের সূচনা ঘটে ত্রয়ী মহিলা সক্রিয়দের মাধ্যমে: অ্যালিসিয়া গারজা, প্যাট্রিস কুলারস এবং ওপাল টোমেটি।
-
আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে ২০১২ সালে ট্রেভন মার্টিনের হত্যাকাণ্ডের পর, যেখানে ১৭ বছর বয়সী নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ট্রেভনকে প্রতিবেশী ওয়াচ ভলান্টিয়ার জর্জ জিমারম্যান গুলি করে হত্যা করেছিলেন।
-
আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হলো:
-
পুলিশি বর্বরতা বন্ধ করা
-
কৃষ্ণাঙ্গদের সাথে সমান আচরণ নিশ্চিত করা
-
মানসিক স্বাস্থ্য, এলজিবিটি সম্প্রদায়ের অধিকার এবং ভোটাধিকার সুরক্ষা করা
-
পরবর্তীতে, যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন সময়ে এই আন্দোলন বড় ধরনের আন্দোলন ও প্রতিবাদের রূপ নিয়েছে।
উৎস: Encyclopaedia Britannica

0
Updated: 1 week ago