A
লিসবন
B
কনস্টান্টিনোপল
C
প্যারিস
D
ভিয়েনা
উত্তরের বিবরণ
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য (Byzantine Empire)
-
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য প্রায় ৩৯৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল।
-
১৫শ শতকে অটোমান তুর্কি আক্রমণের ফলে এটি ধ্বংসের মুখে পড়ে।
-
রাজধানী ছিল কনস্টান্টিনোপল, যা বর্তমানে ইস্তাম্বুল, তুরস্ক নামে পরিচিত।
-
সাম্রাজ্যটির অঞ্চল বিস্তৃত ছিল ভূমধ্যসাগরের চারপাশের দেশগুলোতে, যেমন: ইতালি, গ্রীস, তুরস্ক এবং উত্তর আফ্রিকা।
রোম ও রোমান সাম্রাজ্য সম্পর্কিত তথ্য:
-
খ্রিস্টপূর্ব ৭৫৩ সালে রোম নগরী স্থাপিত হয় টাইবার নদীর তীরে, প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দুই ভাই রোমুলাস ও রেমাস।
-
প্রথমে রোম ছিল একটি বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
-
খ্রিস্টীয় গ্রিক সভ্যতার পতনের (৪৭৬ খ্রিস্টাব্দ) পর, রোম পুরো ইতালি ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল দখল করে বৃহৎ রোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে।
কনস্টান্টিনোপলের গুরুত্ব:
-
রোমান সম্রাট কনস্টান্টাইন কৃষ্ণসাগরের তীরে বাইজান্টিয়াম নামে একটি দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপন করেন।
-
শহরটির নামকরণ করা হয়েছিল সম্রাট কনস্টান্টাইনের নামানুসারে।
উৎস: History.com

0
Updated: 1 day ago
কোন সংকটকে কেন্দ্র করে ১৯৫০ সালে 'শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাব' জাতিসংঘের মাধ্যমে পেশ করা হয়?
Created: 1 week ago
A
ভিয়েতনাম সংকট
B
সাইপ্রাস সংকটন
C
কোরিয়া সংকট
D
প্যালেস্টাইন সংকট
কোরিয়ার যুদ্ধ ও জাতিসংঘের উদ্যোগ (১৯৫০–১৯৫৩)
কোরিয়া উপদ্বীপ ইতিহাসে দীর্ঘকাল জাপানের অধীনে ছিল (১৯১০–দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত)। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান পরাজিত হওয়ার ফলে ১৯৪৫ সালে কোরিয়াকে দুই অংশে ভাগ করা হয়:
-
উত্তর কোরিয়া: সোভিয়েত ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণে
-
দক্ষিণ কোরিয়া: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে
এর ফলে ৩৮° উত্তর অক্ষাংশ বরাবর দুটি দেশের সীমান্ত স্থাপিত হয়। ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উভয় দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয়। শুরু থেকেই উত্তরের ও দক্ষিণের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করেছিল। এই যুদ্ধকে ইতিহাসে প্রায়ই “The Forgotten War” বলা হয়।
যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
সময়কাল: ১৯৫০–১৯৫৩
-
বিবাদমান পক্ষ:
-
উত্তর কোরিয়া (সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের সমর্থন)
-
দক্ষিণ কোরিয়া (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সমর্থন)
-
-
জাতিসংঘের পদক্ষেপ: কোরিয়ার সংঘাত উত্তেজনা প্রশমনের জন্য ১৯৫০ সালের ৩ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘Uniting for Peace’ (শান্তির জন্য ঐক্য) প্রস্তাবটি অনুমোদন করে।
-
যুদ্ধের সমাপ্তি: ২৭ জুলাই, ১৯৫৩
উৎস: UN ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago
১৯৯৫ সালটিকে কোন সংস্থাটির গোল্ডেন জুবিলি হিসেবে পালিত হয়?
Created: 3 days ago
A
UNO
B
NAM
C
GATT
D
ASEAN
জাতিসংঘ (United Nations Organization)
-
জাতিসংঘ বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা।
-
এটি জাতিপুঞ্জের (League of Nations) উত্তরসূরী।
-
জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষরিত হয়: ২৬ জুন ১৯৪৫, স্থান: যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো।
-
কার্যক্রম শুরু হয়: ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫ → এ দিনটিই জাতিসংঘ দিবস।
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিল ৫১টি রাষ্ট্র, বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ১৯৩টি।
-
সর্বশেষ যোগ দেওয়া দেশ: দক্ষিণ সুদান।
-
বর্তমান মহাসচিব: আন্তোনিও গুতেরেস।
-
সদর দপ্তর: ম্যানহাটন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।
ভাষা
-
দাপ্তরিক ভাষা: ৬টি → ইংরেজি, ফরাসি, চীনা, রুশ, স্প্যানিশ ও আরবি।
-
কার্যকরী ভাষা: ইংরেজি ও ফরাসি।
বিশেষ তথ্য
-
স্থায়ী পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র: ভ্যাটিকান সিটি ও ফিলিস্তিন।
-
মূল অঙ্গসংস্থা: ৬টি (সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত, সচিবালয়, ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল)।
-
১৯৯৫ সালে জাতিসংঘ তার ৫০ বছর পূর্তি বা গোল্ডেন জুবিলি উদযাপন করে।
উৎস: জাতিসংঘের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 3 days ago
মাদার তেরেসা কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেন?
Created: 1 week ago
A
ভারত
B
আলজেরিয়া
C
আলবেনিয়া
D
ফ্রান্স
মাদার তেরেসা
-
মাদার তেরেসার আসল নাম অ্যাগনেস গন্কজা বোজাহিউ (Agnes Gonxha Bojaxhiu)।
-
তিনি একজন আলবেনীয় বংশোদ্ভুত ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী ও ধর্মপ্রচারক।
-
জন্ম: ২৭ আগস্ট ১৯১০, আলবেনিয়ার স্কপিয়ে শহরে (বর্তমানে উত্তর মেসিডোনিয়ার অংশ)।
-
১৯২৮ সালে তিনি কলকাতায় আসেন।
-
কলকাতায় তিনি অর্ডার স্কুলে ১৭ বছর শিক্ষকতা করেছেন।
-
মৃত্যু: ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি:
-
১৯৬২: পদ্মশ্রী
-
১৯৭১: পোপ জন শান্তি পুরস্কার
-
১৯৭২: জওহরলাল নেহরু পুরস্কার
-
১৯৭৯: নোবেল শান্তি পুরস্কার (দুঃস্থ মানুষের সেবায় অবদান)
-
১৯৮০: ভাররত্ন
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 week ago