সাম্প্রতিক কাতার সংকটের সময় কোন দেশটি কাতারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে নাই?
A
বাহরাইন
B
সংযুক্ত আরব আমিরাত
C
মিশর
D
কুয়েত
উত্তরের বিবরণ
৫ জুন ২০১৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন রাজনৈতিক সংকট:
ছয়টি দেশ—সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন—কাতারের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়। তবে কুয়েত এই সময়ে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল।
উৎস: BBC
0
Updated: 1 month ago
কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র সঙ্কটের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
রিচার্ড এম নিক্সন
B
জন এফ কেনেডি
C
লিন্ডন বেইনস জনসন
D
হ্যারি এস ট্রুম্যান
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকতিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি গম্ভীর ৩৫ দিনের সংঘর্ষ, যা বিশ্বব্যাপী একটি বড় রাজনৈতিক সংকটের রূপ নেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও সামরিক শক্তি বিস্তারের দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
সেই সময়ের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে কিউবায় সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের প্রভাব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।
১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে এই সংকট বিশেষ মাত্রা লাভ করে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ইতালি ও তুরস্কে স্থাপনের জবাবে, সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে।
ফ্লোরিডার উপকূল থেকে মাত্র ৯০ মাইল দূরে এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে, ১৯৬২ সালের ২২ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কিউবার প্রতি নৌ অবরোধ ঘোষণা করেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। এই সংকটের ফলে ল্যাটিন আমেরিকার সমগ্র অঞ্চল যুদ্ধের উত্তেজনায় ধরা দেয় এবং বিশ্ব রাজনীতিতে একটি গুরুতর সংকট তৈরি হয়।
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট হিসেবে পরিচিত এই ঘটনা শীতল যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং পারমাণবিক সংঘাতের সম্ভাবনাকে প্রায় বাস্তব আকার দেয়।
উৎস: Britannica.
0
Updated: 2 months ago
ইরানের ফর্দো (Fordow) পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রটি কোন প্রদেশে অবস্থিত?
Created: 3 weeks ago
A
ইসফাহান
B
ইলাম (ভুল উত্তর)
C
বুমেহর
D
আলবোজ
ইরানের ফর্দো পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রটি কোম (Qom) প্রদেশে অবস্থিত এবং প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে সঠিক উত্তর না থাকায় প্রশ্নটি বাতিল করা হয়েছে।
-
ইরানের মোট প্রদেশ সংখ্যা হচ্ছে ৩১টি।
-
প্রশ্নাবলীর মধ্যে যেগুলো দেওয়া ছিল—ইস্ফাহান, ইলাম, আলবোজ, বুশেহর—এসব ফোর্দো (Fordow) কেন্দ্রের নিকটস্থ নয়; এগুলো আলাদা আলাদা প্রদেশ।
-
ফোর্দো (Fordow) পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রটির বৈশিষ্ট্য:
-
তেহরান থেকে প্রায় ১৬০ কিমি দক্ষিণে, কোম শহরের কাছে পাহাড়ের নিচে অবস্থিত।
-
প্রধান কক্ষগুলো মাটির প্রায় ৮০–৯০ মিটার নিচে নির্মিত।
-
এখানে ইউরেনিয়াম enrichment করা হয় এবং বলা হয় প্লান্টটি বিমান হামলার বিরুদ্ধে অত্যন্ত সুরক্ষিত।
-
এখানে অন্তত ৩,০০০ সেন্ট্রিফিউজ রাখার ব্যবস্থা আছে, যা ইউরেনিয়ামকে অস্ত্র-যখন প্রয়োজনীয় স্তরে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হতে পারে।
-
সেন্ট্রিফিউজ হলো এমন একটি যন্ত্র যা ইউরেনিয়ামকে সমৃদ্ধ (enrich) করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
-
ইরান ২০০৯ সালের অক্টোবরে IAEA-কে জানিয়েছিল যে সম্ভাব্য সামরিক হামলার হুমকির কারণে তাদের এই স্থাপনাটি ভূগর্ভে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল; ফোর্দোকে নাতাঞ্জ কেন্দ্রের বিকল্প হিসেবেও তৈরি করা হয়েছিল।
-
-
নাতাঞ্জ (Natanz) ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র:
-
নাতাঞ্জ ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্লান্ট (FEP) হলো ইরানের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র।
-
এটি ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কার্যক্রম শুরু করে।
-
এখানে সেন্ট্রিফিউজ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় এবং প্লান্টটির দুটি ইউনিট মাটির নিচে বিশেষ সুরক্ষা সহ নির্মিত।
-
-
খোনদাব (Khondab) হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টর (আগে আরাক):
-
এটি ইরানের মারকাজি (Markazi) প্রদেশে খোনদাব শহরের কাছে অবস্থিত।
-
রিঅ্যাক্টরটি মূলত গবেষণার উদ্দেশ্যে নির্মিত হলেও এটি প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করতে সক্ষম, যা পারমাণবিক বোমার উপাদান হতে পারে; এজন্য আন্তর্জাতিক উদ্বেগ রয়েছে।
-
-
ইস্পাহান পারমাণবিক প্রযুক্তি কেন্দ্র:
-
এখানে ইউরেনিয়ামকে প্রক্রিয়াজাত করে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লুরাইড (UF₆) তৈরি করা হয়, যা পরে নাতাঞ্জ বা ফোর্দোতে পাঠানো হয় সমৃদ্ধকরণের জন্য।
-
এ ছাড়া এখানেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি প্রস্তুত করা হয়, যার মধ্যে বুশেহর বিদ্যুৎকেন্দ্রও অন্তর্ভুক্ত।
-
-
বুশেহর (Bushehr) পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র:
-
ইরানের একমাত্র বৃহৎ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, যা বুশেহর শহরের দক্ষিণে পারস্য উপসাগরের উপকূলে অবস্থিত।
-
নির্মাণ কাজ ১৯৭৫ সালে জার্মানির সহায়তায় শুরু হয়।
-
এখানে ব্যবহৃত ইউরেনিয়াম রাশিয়া থেকে আনা হয় এবং ব্যবহৃত জ্বালানি ফের রাশিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়, যাতে তা পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে না ব্যবহার করা যায়।
-
0
Updated: 3 weeks ago
কোনটি জাতিসংঘের সহযোগী নয়?
Created: 1 month ago
A
আইএলও
B
হু (WHO)
C
ASEAN (আশিয়ান)
D
উপরের সবকটি
ASEAN
-
ASEAN এর পূর্ণরূপ: Association of Southeast Asian Nations।
-
এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জোট।
-
প্রতিষ্ঠার তারিখ: ৮ আগস্ট, ১৯৬৭।
-
সদরদপ্তর: জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া।
-
বর্তমান সদস্য দেশ সংখ্যা: ১০টি।
-
সদস্য দেশগুলো:
-
মালয়েশিয়া
-
থাইল্যান্ড
-
ফিলিপাইন
-
সিঙ্গাপুর
-
ইন্দোনেশিয়া
-
ব্রুনাই
-
ভিয়েতনাম
-
লাওস
-
মিয়ানমার
-
কম্বোডিয়া
-
-
বর্তমান ASEAN সভাপতি দেশ: ইন্দোনেশিয়া।
-
ASEAN আঞ্চলিক ফোরাম (ARF) এর সদস্য সংখ্যা: ২৭টি দেশ।
-
উল্লেখযোগ্য: বাংলাদেশ ARF-এর সদস্য।
-
অন্যান্য তথ্য:
-
ILO (International Labour Organization) এবং WHO (World Health Organization) হলো জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা।
উৎস: ASEAN অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago