A
ইউএমএনও
B
বারিসান ন্যাশনাল
C
পার্টি পেরিকাতান
D
পাকাতান-হারুপান
উত্তরের বিবরণ
মাহাথির মোহাম্মদ
ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার একজন প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতা এবং আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদে আসেন। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল পাঁচবার ধারাবাহিকভাবে সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। দীর্ঘ সময়ের অবসরের পর, ৯২ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কারণে তিনি আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
রাজনীতিতে যাত্রা:
মাহাথির মোহাম্মদ ২১ বছর বয়সে ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (UMNO) বা সংক্ষেপে আমনো-তে যোগ দেন। তখন তিনি ডাক্তারি পেশায় কর্মরত ছিলেন এবং নিজ এলাকায় সাত বছর ধরে চিকিৎসা করতেন। ১৯৬৪ সালে তিনি পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন, কিন্তু ১৯৬৯ সালে তিনি আসন হারান এবং দল থেকে বরখাস্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কর্মকাণ্ড:
১৯৮১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আধুনিক রূপান্তরে তার অবদান বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়। দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৮ সালে তিনি পুনরায় নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তার রাজনৈতিক জোট ছিল পাকাতান হারাপান।
শেষ পদত্যাগ:
ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে মাহাথির মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। মোট ২৪ বছর তিনি দুই দফায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে তাকে প্রায়শই 'টাইটানিক' হিসেবে সম্বোধন করা হয়।
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 day ago
'আরব বসন্ত' বলতে কী বুঝায়?
Created: 2 weeks ago
A
আরবের বিভিন্ন দেশে গণজাগরণ
B
আরব অঞ্চলে বসন্তকাল
C
আরব রাজতন্ত্র
D
আরবীয় মহিলাদের ক্ষমতায়ন
আরব বসন্ত
আরব বসন্ত হলো আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনগণের গণজাগরণের আন্দোলন। এটি ২০১০ সালের শেষের দিকে শুরু হয়, যখন সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এই আন্দোলনের ফলে বহু দেশেই দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসকরা ক্ষমতাচ্যুত হন। আরব বসন্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং আঞ্চলিক মিডিয়ার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূচনা ও বিস্তার:
আরব বসন্তের সূচনা হয় তিউনিসিয়ায়, যা উত্তর আফ্রিকার একটি দেশ। ২০১০–২০১১ সালে এই আন্দোলনের ঢেউ মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশ হলো:
-
মিশর: প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক ক্ষমতাচ্যুত হন।
-
লিবিয়া: মুয়াম্মর আল-গাদ্দাফির শাসনকাল শেষ হয়।
-
এছাড়াও সিরিয়া, ইয়েমেন, বাহরাইন ও অন্যান্য দেশে আন্দোলন চলে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে এই আন্দোলনের প্রভাবও ছিল বড়। প্রায় পৌনে দুই বছরের মধ্যে শুধু ছয়টি দেশেই (লিবিয়া, সিরিয়া, মিশর, তিউনিসিয়া, বাহরাইন ও ইয়েমেন) মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২,০৫৬ কোটি ডলার।
উৎস: Britannica

0
Updated: 2 weeks ago
জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য:
Created: 1 week ago
A
জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র
B
ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন
C
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেন, ব্রাজিল, চীন, নাইজেরিয়া
D
উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, ভারত, ইসলায়েল, চীন
জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদ
জাতিসংঘ (United Nations, UN)
-
বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা।
-
এটি পূর্বের জাতিপুঞ্জ (League of Nations) এর উত্তরসূরী।
-
সনদ স্বাক্ষর: ২৬ জুন ১৯৪৫, স্থান: সানফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র।
-
প্রতিষ্ঠা: ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫।
-
প্রাথমিক সদস্য সংখ্যা: ৫১টি, বর্তমান সদস্য: ১৯৩টি।
-
সর্বশেষ যোগ হওয়া দেশ: দক্ষিণ সুদান।
-
সদর দপ্তর: ম্যানহাটন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।
-
বর্তমান মহাসচিব: আন্তোনিও গুতেরেস।
-
দাপ্তরিক ভাষা: ৬টি (ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, চীনা, রুশ, স্প্যানিশ, আরবি)।
-
কার্যকরী ভাষা: ২টি (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ)।
-
স্থায়ী পর্যবেক্ষক: ২টি (ভ্যাটিকান সিটি, ফিলিস্তিন)।
জাতিসংঘের প্রধান ৬টি অঙ্গসংস্থা:
-
সাধারণ পরিষদ (General Assembly)
-
নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council)
-
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (Economic and Social Council)
-
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (International Court of Justice)
-
তত্ত্বাবধায়ক পরিষদ (Trusteeship Council)
-
সচিবালয় (Secretariat)
নিরাপত্তা পরিষদ (UN Security Council)
-
মোট ১৫ সদস্য নিয়ে গঠিত।
-
স্থায়ী সদস্য: ৫টি দেশ, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী পরাশক্তি:
-
চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র।
-
এ পাঁচ দেশকে একত্রে P-৫ বলা হয়।
-
-
নিরাপত্তা পরিষদ নতুন সদস্যের জন্য সাধারণ পরিষদকে সুপারিশ করে।
-
মহাসচিব ও আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক নিয়োগেও নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ প্রয়োজন।
-
মহাসচিব নির্বাচিত হন নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে।
-
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সম্পর্কিত নিয়ম জাতিসংঘ সনদ, ২৩ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে।
অস্থায়ী সদস্য:
-
নির্বাচিত হয় ২ বছরের জন্য।
-
বর্তমান দশটি অস্থায়ী সদস্য:
-
২০২৪: ইকুয়েডর, জাপান, মাল্টা, মোজাম্বিক, সুইজারল্যান্ড
-
২০২৫: আলজেরিয়া, গায়ানা, কোরিয়া, সিয়েরা লিওন, স্লোভেনিয়া
-
উৎস: UN Security Council ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago
পিং পং এর অর্থ হচ্ছে:
Created: 3 days ago
A
ভলিবল
B
টেবিল টেনিস
C
বাস্কেট বল
D
লন টেনিস
পিং পং (Ping Pong)
পিং পং হলো টেবিল টেনিসের অন্য নাম। এটি একটি ইনডোর খেলা, যেখানে ছোট ও হালকা বল এবং ছোট ব্যাট ব্যবহার করা হয়।
পিং পং কূটনীতি (Ping Pong Diplomacy)
-
পিং পং কূটনীতির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে ২০ বছরের বৈরি সম্পর্ক শেষ হয়।
-
১৯৭১ সালে জাপানের নাগোয়াতে ৩১তম বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়।
-
ওই টুর্নামেন্টে মার্কিন টেবিল টেনিস দলকে চীন আমন্ত্রণ জানায়।
-
এটি ১৯৪৯ সালের পর মার্কিন প্রতিনিধিদের চীনে প্রথম সফর ছিল।
-
ঐতিহাসিক এই সফরের পর চীন-মার্কিন সম্পর্কের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়।
-
এর ফলস্বরূপ, ১৯৭২ সালের জুলাইতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন চীন সফরে যান।
-
এর পরই দুই দেশের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
-
এই ঘটনাকে ‘পিং পং কূটনীতি’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
-
পিং পং কূটনীতি চীনের জনগণকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উল্লেখযোগ্য: যেহেতু খেলা চীনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাই এটি বিশেষভাবে চীনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
উৎস: Britannica

0
Updated: 3 days ago