মেসোপটেমীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল কোথায়?
A
হোয়াংহো নদীর তীরে
B
ইয়াংসিকিয়াং নদীর তীরে
C
নীলনদের তীরে
D
ট্রাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরে
উত্তরের বিবরণ
মেসোপটেমিয়া সভ্যতা (Mesopotamian Civilization)
মেসোপটেমিয়া সভ্যতা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা। খ্রিস্টপূর্ব ৪,০০০ সালের দিকে মিশরে নগর সভ্যতা গড়ে উঠার সময় একই সময়ে মেসোপটেমিয়ায়ও নগর সভ্যতার উত্থান ঘটেছিল।
‘মেসোপটেমিয়া’ শব্দটি গ্রিক থেকে এসেছে, যার অর্থ “দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমি।” এটি টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যে অবস্থিত উর্বর উপত্যকা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। গ্রিক লেখকরা মূলত এই নামকরণ করেছেন।
মেসোপটেমিয়া মূলত দুই ভাগে বিভক্ত ছিল:
-
উত্তর মেসোপটেমিয়া: বর্তমান অ্যাসেরীয় অঞ্চল।
-
দক্ষিণ মেসোপটেমিয়া: মূল মেসোপটেমিয়া অঞ্চল।
আজকের দিনে প্রায় সব অঞ্চল ইরাকের ভেতরে অবস্থিত। তবে সভ্যতার কিছু অংশ সিরিয়া, তুরস্ক, ইরান এবং কুয়েতেও ছিল। মেসোপটেমিয়ার মানুষরা বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্মে বিশ্বাস করত।
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ কোনটির সদস্য নয়?
Created: 1 month ago
A
BCIM-EC
B
OAS
C
OIC
D
BIMSTEC
BIMSTEC, OIC, BCIM-EC এবং OAS সংক্রান্ত তথ্যগুলো নিম্নরূপ সংক্ষিপ্তভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। প্রতিটি সংস্থার লক্ষ্য, গঠন এবং সদস্যপদ সম্পর্কিত তথ্য উল্লেখযোগ্য।
-
BIMSTEC: এর পূর্ণরূপ হলো Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation। এটি একটি বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক জোট। এর পূর্বনাম ছিল BISTEC (Bangladesh, India, Sri Lanka, Thailand Economic Cooperation)। পরে মায়ানমার যোগদানের পর “M” যুক্ত হয়ে BIMSTEC হয় এবং নেপাল ও ভুটান যোগদানের মাধ্যমে বর্তমান নাম পায়। বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য।
-
OIC: এর পূর্ণরূপ হলো The Organisation of Islamic Cooperation। এটি একটি ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা এবং মুসলিম দেশগুলোর একটি রাজনৈতিক জোট। গঠিত হয় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালে, মরক্কোতে অনুষ্ঠিত রাবাত সম্মেলনের মাধ্যমে। এটি গঠনের মূল প্রেক্ষাপট ছিল ইসরাইল কর্তৃক আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগ। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে এর সদস্যপদ লাভ করে।
-
BCIM-EC: পূর্ণরূপ Bangladesh, China, India and Myanmar Economic Corridor। এটি চীনের Belt and Road Initiative এর অংশ এবং একটি অর্থনৈতিক করিডর। প্রস্তাবিত করিডরটি ভারতের, চীনের, বাংলাদেশের ও মায়ানমারের মধ্যে অর্থনৈতিক সংযোগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি।
-
OAS: এর পূর্ণরূপ হলো The Organization of American States, যা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর দ্বারা গঠিত সংস্থা। ১৯৪৮ সালে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটাতে এর চার্টার স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ OAS-এর সদস্য নয়।

0
Updated: 1 month ago
২০২৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কপ-২৮ এ কত সংখ্যক জাতি অংশগ্রহণ করেছিল?
Created: 1 month ago
A
১৯৩
B
১৬৮
C
১৯৯
D
১৯৬
কপ সম্মেলন (COP Conference)
-
COP-এর পূর্ণরূপ: Conference of the Parties।
-
উদ্দেশ্য: মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমানো এবং এ সংক্রান্ত অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা।
-
পটভূমি: ১৯৯২ সালে ১৫৪টি দেশ জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন (UNFCCC) স্বাক্ষর করে।
-
অনুষ্ঠান: জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক COP সম্মেলন প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর উপায়, নীতি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সাম্প্রতিক কপ-২৮ সম্মেলন
-
তারিখ ও স্থান: ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, সংযুক্ত আরব আমিরাত।
-
প্রধান আলোচনা বিষয়: পরিবেশ দূষণ কমানো ও জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা সমাধান।
-
সভাপতি: সুলতান আহমেদ আল জাবের, আবুধাবি জাতীয় তেল কোম্পানির সিইও ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিল্প ও উন্নত প্রযুক্তি মন্ত্রী।
-
অংশগ্রহণকারী দেশ: ১৯৯টি দেশ।
সূত্র: UNFCCC ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
জিরোসাম গেম (Zero-Sum Game) আন্তর্জাতিক সম্পর্কে কোন তত্ত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট?
Created: 1 month ago
A
বাস্তববাদ
B
মার্ক্সবাদ
C
গঠনবাদ
D
উদারতাবাদ
জিরো-সাম গেম (Zero-Sum Game) এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের তত্ত্ব
জিরো-সাম গেম কী?
জিরো-সাম গেম হলো গেম থিওরির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এতে বলা হয় যে, কোনো দুটি বা ততোধিক পক্ষ যখন একটি নির্দিষ্ট সম্পদ পেতে চেষ্টা করে, তখন এক পক্ষ যা জিতবে, ঠিক সেই পরিমাণ অন্য পক্ষ হারাবে। অর্থাৎ, সব পক্ষের নিট (net) লাভ-ক্ষতি মিলিয়ে ফলাফল শূন্য হবে।
জিরো-সাম গেমের মূল বৈশিষ্ট্য:
-
চাহিদার তুলনায় সম্পদের যোগান সর্বদা সীমিত থাকে।
-
সম্পদের মোট পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে; নতুন কিছু তৈরি হয় না বা নষ্ট হয় না।
-
সব পক্ষের নেট পরিবর্তন মিলিয়ে শূন্য হয়।
বাস্তববাদ (Realism) ও জিরো-সাম গেম
বাস্তববাদের মূল ধারণা
-
মানুষ স্বভাবতই স্বার্থপর এবং বিশৃঙ্খল।
-
যেহেতু মানুষ বিশৃঙ্খল, তাই রাষ্ট্রও প্রায়শই দ্বন্দ্বে জড়িত থাকে।
-
রাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য হলো জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা।
-
বাস্তববাদের দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক হলো এক ধরনের জিরো-সাম গেম, যেখানে এক পক্ষ জিতবে এবং অন্য পক্ষ হারবে।
উদাহরণ:
-
বর্তমান বিশ্বে আমেরিকার আগ্রাসী নীতি বাস্তববাদের উদাহরণ।
উদারতাবাদ (Liberalism)
উদারতাবাদের মূল ধারণা:
-
মানুষের প্রগতি ও মুক্তি নিশ্চিত করা।
-
ব্যক্তির স্বাতন্ত্র্য ও সম্ভাবনাকে বিকাশের সুযোগ দেওয়া।
-
শুধুমাত্র রাজনৈতিক জীবন নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণ এবং স্বাধীনতার জন্য কাজ করা।
উৎস: Investopedia, Zero-Sum Game Definition & Examples,

0
Updated: 1 month ago