জাতিসংঘের 'Champion of the Earth' খেতাবপ্রাপ্ত কে?
A
হিলারি ক্লীন্টন
B
থেরেসা মে
C
এঞ্জেলা মার্কেল
D
শেখ হাসিনা
উত্তরের বিবরণ
চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ
-
চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ হলো জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ বার্ষিক সম্মাননা।
-
এটি এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় যারা পরিবেশ রক্ষা ও সংরক্ষণে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
-
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (UNEP) ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে।
-
পুরস্কারটি সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়।
উদাহরণ: ২০১৫ সালে, পলিসি লিডারশীপ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মাননা অর্জন করেন।
উৎস: UNEP ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
বঙ্গবন্ধু কত সালে এবং কোন শহরে জােট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন?
Created: 1 month ago
A
১৯৭২, কায়রাে
B
১৯৭৪, নয়া দিল্লী
C
১৯৭৫, বেলগ্রেড
D
১৯৭৩, আলজিয়ার্স
NAM বা Non-Aligned Movement (জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন) হলো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিনিধিত্ব করার জন্য গঠিত।
এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময়ে পুঁজিবাদী দেশসমূহের ন্যাটো ও সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহের ওয়ারশ জোট থেকে নিরপেক্ষ থাকতে চাওয়া দেশগুলোর আন্দোলন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। NAM-এর প্রথম কনফারেন্স ১৯৬১ সালে বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত হয়।
-
NAM-এর পূর্ণরূপ: Non-Aligned Movement
-
গঠন উদ্দেশ্য: তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর স্বার্থ ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব
-
প্রতিষ্ঠার পটভূমি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্নায়ুযুদ্ধকালীন পুঁজিবাদী ও সমাজতান্ত্রিক জোট থেকে নিরপেক্ষ থাকার জন্য
-
প্রথম কনফারেন্স: বেলগ্রেড, ১–৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১
-
প্রতিষ্ঠার তারিখ: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১
-
বর্তমান সদস্য: ১২১টি দেশ
-
বর্তমান চেয়ারম্যান: ইলহাম ইলিয়েভ
-
প্রথম প্রেসিডেন্ট: ইয়োসিপ ব্রোজ টিটো (মার্শাল টিটো)
উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
-
১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ন্যাম-এর চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে আলজিয়ার্সে অংশগ্রহণ করে।
-
সম্মেলনের তারিখ: ৫–৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩
-
এতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো যোগ দিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়।
-
সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য সম্মেলনটি ছিল বহু কারণে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তিতে জোটনিরপেক্ষ দেশগুলোর সমর্থন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে।
-
বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী।

0
Updated: 1 month ago
ন্যাটো (NATO) চার্টারের কোন ধারায় সম্মিলিত প্রতিরক্ষার কথা উল্লেখ আছে?
Created: 1 month ago
A
আর্টিকেল-২
B
আর্টিকেল-৩
C
আর্টিকেল-৫
D
আর্টিকেল-৬
ন্যাটো (NATO) হলো একটি সামরিক জোট, যা মূলত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সামরিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত।
ন্যাটোর চার্টারের বিভিন্ন অনুচ্ছেদই এর কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে, যার মধ্যে অনুচ্ছেদ-৫ বিশেষভাবে সম্মিলিত প্রতিরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে।
• অনুচ্ছেদ ৫: সম্মিলিত প্রতিরক্ষা
-
যদি কোনো ন্যাটো সদস্য সশস্ত্র আক্রমণের শিকার হয়, তবে জোটের প্রতিটি সদস্য এটিকে সমস্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসাবে বিবেচনা করবে।
-
সদস্য রাষ্ট্রগুলো একে অপরকে সুরক্ষা দেবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
-
ন্যাটোর মূল ভিত্তি হিসেবে এই ধারাটিকে ধরা হয়।
-
ইতিহাসে একবার কার্যকর করা হয়েছে, ২০০১ সালের ৯/১১ টুইন টাওয়ার হামলার পর। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
• ন্যাটো চুক্তির অনুচ্ছেদসমূহ (মোট ১৪টি)
১. শান্তিপূর্ণ সমাধান
২. বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
৩. প্রতিরক্ষা সক্ষমতা
৪. পরামর্শ
৫. সম্মিলিত প্রতিরক্ষা
৬. আক্রমণের সংজ্ঞা
৭. জাতিসংঘ সনদের বাধ্যবাধকতা
৮. অ-দ্বন্দ্বমূলক সম্পৃক্ততা
৯. বাস্তবায়ন পরিষদ
১০. অতিরিক্ত পক্ষসমূহ
১১. চুক্তি অনুমোদন এবং প্রয়োগ
১২. চুক্তি পর্যালোচনা
১৩. জোটের সদস্যতা ত্যাগ
১৪. চুক্তির অন্যান্য সংস্করণের গ্রহণযোগ্যতা
• NATO সম্পর্কিত তথ্য
-
পূর্ণরূপ: North Atlantic Treaty Organisation (উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট)
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল, ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র
-
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য: ১২টি (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল)
-
বর্তমান সদস্য: ৩২টি
-
সদর দপ্তর: ব্রাসেলস, বেলজিয়াম
-
বর্তমান মহাসচিব: মার্ক রুট্টে
-
মুসলিম দেশসমূহ: আলবেনিয়া ও তুরস্ক
-
সর্বশেষ ৩২তম সদস্য: সুইডেন

0
Updated: 1 month ago
'দ্যা আইডিয়া অব জাস্টিস' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
মার্থা ন্যুসবাম
B
জোসেফ স্টিগলিটজ
C
অমর্ত্য সেন
D
জন রাউলস
অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)
-
অমর্ত্য সেন একজন ভারতীয় বাঙালি অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক, যিনি ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
-
তিনি দারিদ্র ও দুর্ভিক্ষের সমস্যা নিয়ে গভীর গবেষণার জন্য বিশ্বব্যাপী সম্মানিত।
-
অমর্ত্য সেন হার্ভার্ড সোসাইটি অফ ফেলোস, ট্রিনিটি কলেজ, অক্সফোর্ড, এবং ক্যামব্রিজের সিনিয়র ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।
-
১৯৯৮ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের মাস্টার ছিলেন।
-
তিনি ইকোনমিস্ট ফর পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি সংস্থার একজন ট্রাস্টি।
-
প্রথম ভারতীয় শিক্ষাবিদ হিসেবে তিনি একটি অক্সব্রিজ কলেজের প্রধান হন।
-
এছাড়াও তিনি প্রস্তাবিত নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।
-
২০০৬ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে ৬০ বছরের কম বয়সী ভারতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
-
২০১০ সালে তিনি বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।
লেখক ও গ্রন্থাবলি:
-
অমর্ত্য সেনের লেখা গ্রন্থাবলি ৩০টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
-
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ The Idea of Justice, যা জন রলসের A Theory of Justice (1971)-এর মূল তত্ত্বগুলোর সমালোচনা ও পরিমার্জন।
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 month ago