বিখ্যাত 'ওয়াশিংটন কনসেনসাস' (Washington Consensus) কোন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত?
A
আন্তর্জাতিক অভিবাসন নীতি
B
নয়া উদারতাবাদী অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন
C
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ
D
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমন
উত্তরের বিবরণ
ওয়াশিংটন কনসেনসাস
ওয়াশিংটন কনসেনসাস হলো একটি অর্থনৈতিক নীতির সেট যা নয়া উদারতাবাদী (Neo-liberal) নীতিমালা বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি মূলত মুক্ত-বাজার অর্থনীতি প্রবর্তনের ওপর জোর দেয়।
মূল তথ্য:
-
এই নীতিগুলোকে সমর্থন করেছে বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন IMF, বিশ্বব্যাংক এবং মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ।
-
ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন উইলিয়ামসন (John Williamson) ১৯৮৯ সালে ‘ওয়াশিংটন কনসেনসাস’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন।
-
মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক সংকটে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করা।
মূল নীতিমালা:
-
বাণিজ্যকে উদার করা
-
বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা
-
অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা
-
দক্ষ সরকারি ব্যয়ের অগ্রাধিকার দেওয়া
-
কর সংস্কার করা
-
আর্থিক খাতে উদারীকরণ (Financial liberalization)
-
প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় হার নির্ধারণ
-
বেসরকারি খাতে হস্তান্তর ও নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা
-
সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত করা
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 month ago
ন্যাটোর সর্বশেষ সদস্য রাষ্ট্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মন্টিনিগ্রো
B
লিথুয়ানিয়া
C
আলবেনিয়া
D
সুইডেন
NATO (ন্যাটো)
-
পূর্ণরূপ: North Atlantic Treaty Organisation
-
প্রকৃতি: এটি একটি আন্তঃসরকারি সামরিক জোট, যা উত্তর আটলান্টিক চুক্তির ভিত্তিতে গঠিত।
-
প্রতিষ্ঠা: ৪ এপ্রিল, ১৯৪৯
-
উদ্দেশ্য: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পশ্চিম ইউরোপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
-
প্রথম সদস্য: ১২টি দেশ
-
বর্তমান সদস্য: ৩২টি দেশ
-
সদর দপ্তর: ব্রাসেলস, বেলজিয়াম
-
বর্তমান মহাসচিব: মার্ক রুট
-
মুসলিম দেশ সদস্য: আলবেনিয়া ও তুরস্ক
-
সর্বশেষ যোগদানকারী (৩২তম): সুইডেন
-
সংযোজনীয় তথ্য:
-
৭ মার্চ ২০২৪-এ সুইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগ দেয়।
-
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর সুইডেন ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করে।
-
উৎস: NATO ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
IUCN এর কাজ হলাে বিশ্বব্যাপী-
Created: 1 month ago
A
পানি সম্পদ রক্ষা করা
B
সন্ত্রাস দমন করা
C
প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করা
D
পরিবেশ দূষণ রােধ করা
IUCN বা International Union for the Conservation of Nature হলো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা বিশ্বের জীববৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে কাজ করে। এই সংস্থার লক্ষ্য হলো প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা এবং প্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষা করা।
-
প্রতিষ্ঠা: ৫ অক্টোবর, ১৯৪৮, ফ্রান্সের ফন্টেইনব্লিউতে।
-
সদর দপ্তর: গ্লান্ড, সুইজারল্যান্ড।
-
কার্যক্রম: বিশ্বের ১৭০টির অধিক দেশে কাজ করছে।
-
উদ্দেশ্য: বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ।
-
প্রজাতির বিভাগ: IUCN প্রজাতিকে নয়টি বিভাগে ভাগ করে—মূল্যায়ন করা হয়নি, ডেটার ঘাটতি, ন্যূনতম উদ্বেগ, কাছাকাছি হুমকির মুখে, ঝুঁকিপূর্ণ, বিপন্ন, গুরুতরভাবে বিপন্ন, বন্য অঞ্চলে বিলুপ্ত এবং বিলুপ্ত।
-
প্রথম অধিবেশন: ১৯৪৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর ফ্রান্সের ফন্টেইনব্লিউতে।
-
দ্বিতীয় অধিবেশন: বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত।

0
Updated: 1 month ago
ক্রমহ্রাসমান হারে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী উপাদান বিলীনের বিষয়টি কোন চুক্তিতে বলা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
মন্ট্রিল প্রটোকল
B
ক্লোরোফ্লোরো কার্বন চুক্তি
C
IPCC চুক্তি
D
কোনোটিই নয়
মন্ট্রিল প্রটোকল (Montreal Protocol)
পূর্ণ নাম: The Montreal Protocol on Substances that Deplete the Ozone Layer
মূল উদ্দেশ্য: পৃথিবীর ওজোন স্তরকে সুরক্ষা দেওয়া।
ওজোন স্তরের অবস্থান: বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে।
চুক্তির বিষয়বস্তু:
-
ওজোন স্তর ক্ষয়কারী পদার্থ (ODS) যেমন: রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ও অ্যারোসল স্প্রে-তে ব্যবহৃত ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার ধীরে ধীরে বন্ধ বা কমানোর প্রতিশ্রুতি।
-
এসব ক্ষতিকর পদার্থকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ওজোন স্তরের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
গৃহীত হয়: ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭
কার্যকর হয়: ১ জানুয়ারি, ১৯৮৯
স্থান: মন্ট্রিল, কানাডা
👉 প্রতি বছর ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস পালিত হয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
ODS (Ozone Depleting Substances): এমন সব পদার্থ যা ওজোন স্তর ক্ষয় করে। এগুলো সাধারণত রেফ্রিজারেশন সিস্টেম, এসি, ফায়ার এক্সটিংগুইশার এবং অ্যারোসল স্প্রে-তে পাওয়া যায়।
উৎস: UNEP – United Nations Environment Programme

0
Updated: 1 month ago