কোন দেশের জাতীয় সংসদ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট?
A
মিয়ানমার
B
চীন
C
সিঙ্গাপুর
D
ব্রুনাই
উত্তরের বিবরণ
মিয়ানমার (বার্মা)
-
রাজধানী: নেপিদো
-
মুদ্রা: কিয়াট
-
প্রধান ভাষা: বার্মিজ
-
বর্তমান প্রেসিডেন্ট: মিন্ট সোয়ে
-
সীমান্ত রক্ষী বাহিনী: বর্ডার গার্ড পুলিশ (BGP)
-
আইনসভা: দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট
সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক ইতিহাস:
মিয়ানমার ১৯৬২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত প্রায় ৪৭ বছর ধরে জান্তা শাসনের অধীনে ছিল। ২০১১ সালে সামরিক বাহিনী সীমিত ক্ষমতা দিয়ে বেসামরিক সরকারের হাতে নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে। ২০১৫ সালে অং সাং সু চি’র নেতৃত্বে এনএলডি দল নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সাং সু চি ও তার সরকার উৎখাত হয়।
আইনসভা কাঠামো:
মিয়ানমারের আইনসভা দুই কক্ষে বিভক্ত:
-
নিম্নকক্ষ: পিথু হুততাও
-
উচ্চকক্ষ: অ্যামিয়োথা হুততাও
তুলনামূলক তথ্য:
চীন, সিঙ্গাপুর, ও ব্রুনাই-এর আইনসভা এককক্ষ বিশিষ্ট।
উৎস: Britannica
0
Updated: 1 month ago
সর্বশেষ মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন কোন সালের কোন মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
সেপ্টেম্বর, ২০১৮
B
মার্চ, ২০১৯
C
ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (ভুল উত্তর)
D
ডিসেম্বর, ২০১৮
এটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন। এই প্রশ্নের তথ্য পরিবর্তনশীল। অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন
- মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন একটি উন্মুক্ত ফোরাম।
- এখানে নানা দেশের প্রতিনিধিরা নানা বিষয়ে মতবিনিময় ও আলোচনা করেন।
- এখানে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
- রাষ্ট্রনেতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও এ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বাণিজ্য ও অর্থনীতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য,
- আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হয় ১৯৬৩ সালে।
- তীব্র স্নায়ুযুদ্ধের কালে ১৯৬৩ সালে রাজনীতিক, গবেষক ও নাগরিক সমাজকে নিয়ে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্যোগ শুরু হয়।
- প্রথম এক দশক সে সম্মেলনে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোই অংশ নিত।
- মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের প্রধান দুই উদ্যোক্তা এভাল্ড ভন ক্লাইস্ট ও হোর্স্ট টেল্টশিক।
- স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের এভাল্ড ভন ক্লাইস্ট ও হোর্স্ট টেল্টশিক এই সম্মেলনকে বিশ্বজনীন রূপ দেওয়ার প্রয়াসে নতুন রূপরেখা তৈরি করেন।
- বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে ইউরোপের বাইরের বিভিন্ন দেশ এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
- তারপর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কেরা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিয়ে পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছেন।
⇒ ২০২৪ মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন:
- মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন সাধারণত প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে জার্মানির মিউনিখ শহরে অনুষ্ঠিত হয়।
- ২০২৪ সালে ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
- সর্বশেষ মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সালে জার্মানির মিউনিখ শহরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উৎস: Munich Security Conference ওয়েবসাইট।
0
Updated: 1 month ago
রোম সংবিধি (Rome Statute) এর ফলে কোন সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
International Court of Justice (ICJ)
B
International Criminal Court (ICC)
C
International Atomic Energy Agency (IAEA)
D
European Union (EU)
রোম সংবিধি (Rome Statute) হলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (International Criminal Court - ICC) প্রতিষ্ঠার জন্য গৃহীত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা ১৯৯৮ সালে ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত কূটনীতিক সম্মেলনের মাধ্যমে গৃহীত হয় এবং ২০০২ সালের ১ জুলাই কার্যক্রম শুরু করে।
সংবিধির মূল লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারে দেশীয় বিচারব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে কাজ করা।
-
রোম সংবিধি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালের ১৫ জুন থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কূটনৈতিক সম্মেলনের মাধ্যমে, যেখানে বিশ্বের ১২০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। সংবিধি গৃহীত হয় ১২০-৭ ভোটের ব্যবধানে।
-
২০০২ সালের ১ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কার্যকারিতা লাভ করে, যখন প্রয়োজনীয় সংখ্যক রাষ্ট্র সংবিধি অনুমোদন করে।
-
সংবিধিতে মোট ১৩টি অধ্যায় এবং ১২৮টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
সংবিধির প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ১ ও ১৭ অনুযায়ী, ICC মূলত দেশীয় বিচারব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।
ICC (International Criminal Court) সম্পর্কিত তথ্য:
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৭ জুলাই, ১৯৯৮ (রোম সংবিধির মাধ্যমে)
-
কার্যক্রম শুরু: ১ জুলাই, ২০০২
-
সদরদপ্তর: দ্য হেগ, নেদারল্যান্ডস
-
সদস্য সংখ্যা: ১২৫টি (১২৫তম সদস্য: ইউক্রেন)
-
বর্তমান প্রেসিডেন্ট: তোমোকো আকানেকে (২০২৪-২০২৭)। প্রেসিডেন্সির সদস্যরা তিন বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হন।
ICC-এর বিচার ক্ষমতা ও অপরাধ:
-
অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী চার ধরনের অপরাধের বিচার করা যায়:
-
জেনোসাইড
-
মানবতাবিরোধী অপরাধ
-
যুদ্ধাপরাধ
-
আগ্রাসনের অপরাধ
-
-
১৯৯৮ সালের মূল আইনে প্রথম তিনটি অপরাধ উল্লেখ ছিল। ২০১০ সালে রোম সংবিধিতে সংশোধনীর মাধ্যমে আগ্রাসনের অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
প্রতিটি অপরাধ প্রমাণের জন্য Elements of Crimes নামে সহায়িকা রয়েছে।
-
বিচার প্রক্রিয়ার পদ্ধতিগত দিকগুলো বিস্তারিত বলা আছে Rules of Procedure and Evidence-এ।
অন্য প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আদালত ও সংস্থা:
-
International Court of Justice (ICJ): ১৯৪৫ সালে সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, যা মূলত বিভিন্ন দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয় নিষ্পত্তি করে।
-
International Atomic Energy Agency (IAEA): ১৯৫৭ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় প্রতিষ্ঠিত।
-
European Union (EU): ১৯৯২ সালে স্বাক্ষরিত 'ম্যাসট্রিক্ট চুক্তি'র ভিত্তিতে ১৯৯৩ সালে ইউরোপীয় কমিশন থেকে রূপান্তরিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত।
0
Updated: 1 month ago
সামরিক ভাষায় 'WMD' অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
Weapons of Mass Destruction
B
Worldwide Mass Destruction
C
Weapons of Missile Defence
D
Weapons for Massive Destruction
WMD-এর পূর্ণরূপ হলো Weapons of Mass Destruction বা গণবিধ্বংসী অস্ত্র। এই শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৯৩৭ সালে বোমারু বিমানের ব্যাপক ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা বোঝাতে।
পরবর্তীতে এটি এমন সব অস্ত্রকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয় যা স্বল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ প্রাণহানি ও ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। ২০০৩ সালে ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার আশঙ্কায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট দেশটিতে আক্রমণ চালায়।
Weapons of Mass Destruction-এর অন্তর্ভুক্ত অস্ত্রগুলো হলো
-
Nuclear Weapon
-
Chemical Weapon
-
Biological Weapon
0
Updated: 1 month ago