A
৭টি
B
৮টি
C
৫টি
D
৬টি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তফসিলসমূহ
বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ৭টি তফসিল রয়েছে, যা সংবিধানের বিভিন্ন বিশেষ বিধান ও গুরুত্বপূর্ণ নথি উল্লেখ করে। এগুলি হলো:
-
প্রথম তফসিল: অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর থাকা আইন।
-
দ্বিতীয় তফসিল: রাষ্ট্রপতির নির্বাচন সম্পর্কিত বিধান (বর্তমানে বিলুপ্ত)।
-
তৃতীয় তফসিল: শপথ ও ঘোষণার নিয়ম।
-
চতুর্থ তফসিল: অস্থায়ী ও ক্রান্তিকালীন বিধান।
-
পঞ্চম তফসিল: ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ।
-
ষষ্ঠ তফসিল: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা।
-
সপ্তম তফসিল: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
তথ্যসূত্র: [বাংলাদেশের সংবিধান]

0
Updated: 1 day ago
আইন প্রণয়নের ক্ষমতা-
Created: 4 days ago
A
আইন মন্ত্রণালয়ের
B
রাষ্ট্রপতির
C
স্পিকারের
D
জাতীয় সংসদের
জাতীয় সংসদের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা
বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে নিয়ন্ত্রিত। সংবিধান অনুযায়ী, এটি দেশের একমাত্র আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
সংবিধান ৬৫(১) ধারায় বলা হয়েছে:
"জাতীয় সংসদ" নামে বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকবে এবং এই সংবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদের উপর থাকবে।
তবে এখানে একটি শর্তও রয়েছে: সংসদ যে আইন প্রণয়ন করে, তাতে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে যে আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন বা অন্যান্য আইনগত কার্যকর চুক্তি তৈরি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেই ক্ষমতা সংসদকে আইন প্রণয়নের দায়িত্ব থেকে মুক্ত করবে না। অর্থাৎ, সংসদ সবসময় প্রধান আইন প্রণয়নকারী থাকবে।
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান, ধারা ৬৫

0
Updated: 4 days ago
আলুর একটি জাত-
Created: 1 week ago
A
ডায়মন্ড
B
রূপালী
C
ড্রামহেড
D
ব্রিশাইল
উচ্চ ফলনশীল ফসল ও তাদের জাত
কৃষি খাতে বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত নির্বাচনের মাধ্যমে ভালো ফলন নিশ্চিত করা যায়। নিচে কয়েকটি প্রধান ফসল ও তাদের উচ্চ ফলনশীল জাতের তালিকা দেওয়া হলো:
১. আলু:
উচ্চ ফলনশীল আলুর জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
হীরা
-
আইলসা
-
ডায়মন্ড
-
কার্ডিনাল
-
চমক
-
সুন্দরী
-
কুফরী
২. তুলা:
উন্নত জাতের তুলা শস্যের একটি জনপ্রিয় জাত হলো:
-
রূপালী
৩. বাঁধাকপি:
উচ্চ ফলনশীল জাতের মধ্যে:
-
গ্রীন এক্সপ্রেস
-
ড্রামহেড
-
গোল্ডেন ক্রস
-
প্রভাতী
-
অগ্রদূত
৪. ধান:
উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতের মধ্যে রয়েছে:
-
বিপ্লব
-
ইরাটম
-
ব্রিশাইল
-
ময়না
-
চান্দিনা
-
হরিধান
-
নারিফা
-
প্রগতি
৫. অন্যান্য:
-
সরিষা: সফল
-
ভুট্টা: উত্তরণ
-
বেগুন: শুকতারা
সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস (Agricultural Information Service) ও কৃষি শিক্ষা বোর্ডবই।

0
Updated: 1 week ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন তারিখে বুদ্ধিজীবীদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়?
Created: 1 week ago
A
২৫ মার্চ ১৯৭১
B
২৬ মার্চ ১৯৭১
C
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১
D
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
মুক্তিযুদ্ধকালের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ঘটনা হলো বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয় এবং নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ড মূলত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়েছিল। হত্যার লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বহীন ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দুর্বল করে ফেলা। এই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, চিকিৎসক, লেখক, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদেরকেও হত্যার শিকার হতে হয়।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
সার্বিক নির্দেশনা: জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী (পাক সেনা, ইস্টার্ন কমান্ড)
-
সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন: মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
-
বাস্তবায়নে: ব্রিগেডিয়ার বশির, লেঃ কর্নেল হেজাজী, মেজর আসলাম, মেজর জহুর, ক্যাপ্টেন নাসের, ক্যাপ্টেন কাইউম
-
স্থানীয় সহযোগী: আলবদর ও আলশামস বাহিনী
-
আলবদর: জামাত ইসলামের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যরা
-
আলশামস: মুসলিম লীগ, জামায়েত ইসলামি ও উর্দুভাষী বিহারীদের সমন্বয়ে গঠিত
-
-
হত্যা সংঘটিত স্থান: ঢাকার মিরপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা
১৯৭১ সালের এই হত্যাকাণ্ডের স্মরণে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়, যেখানে দেশ এই মহান বীর সন্তানদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
উৎস: উচ্চমাধ্যমিক পৌরনীতি ও সুশাসন (২য় পত্র), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago