(তৎকালীন 'সাম্প্রতিক প্রশ্ন'। তখনকার সময়ের সঠিক উত্তর এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনুগ্রহ করে ব্যাখ্যা থেকে বর্তমান তথ্য দেখে নিন) বাংলাদেশের জিডিপিতে (GDP) কৃষি খাতের (ফসল, বন, প্রাণিসম্পদ, মৎস্যসহ) অবদান কত শতাংশ?
A
১৪.৭৯ শতাংশ
B
১৬.০০ শতাংশ
C
১২.০০ শতাংশ
D
১৮.০০ শতাংশ
উত্তরের বিবরণ
[এই প্রশ্নের তথ্য পরিবর্তনশীল। অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন।]
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী,
জিডিপিতে বিভিন্ন খাতের অবদান:
- সেবা খাতের অবদান ৫১.২৪ শতাংশ।
- শিল্প খাতের অবদান ৩৭.৫৬ শতাংশ।
- কৃষি খাতের অবদান ১১.২০ শতাংশ।
- সেবা খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে,
- অর্থনীতি/জিডিপিতে কৃষিখাতে নিয়োজিত জনশক্তির পরিমাণ - ৪৫.৩৩%।
- অর্থনীতি/জিডিপিতে শিল্পখাতে নিয়োজিত জনশক্তির পরিমাণ - ১৭.০২%।
- অর্থনীতি/জিডিপিতে সেবাখাতে নিয়োজিত জনশক্তির পরিমাণ - ৩৭.৬৫%।
তথ্যসূত্র: অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩।

0
Updated: 1 day ago
বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণের সময়কালে পূর্ব পাকিস্তানে যে আন্দোলন চলছিল সেটি হলো:
Created: 1 week ago
A
ইসলামাবাদের সামরিক সরকার পদত্যাগের আন্দোলন
B
পূর্ব পাকিস্তানের অসহযোগ আন্দোলন
C
প্রেসিডেন্ট ইয়াহহিয়ার পদত্যাগ আন্দোলন
D
মার্শাল 'ল' পদত্যাগের আন্দোলন
অসহযোগ আন্দোলন (১৯৭১)
১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেন। এতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ক্ষুব্ধ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেন এবং প্রতিবাদস্বরূপ ২ মার্চ ঢাকায় ও ৩ মার্চ সারা পূর্ব পাকিস্তানে হরতালের ডাক দেন। এরপর থেকেই শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন।
👉 এ আন্দোলন চলেছিল ১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত।
👉 আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় শাসনের পরিবর্তে বাঙালির স্বশাসন প্রতিষ্ঠা।
👉 আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুসারে আন্দোলন পরিচালিত হয় এবং সর্বস্তরের মানুষ এতে যোগ দেয়।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ
৭ মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষণকে ইতিহাসে “বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ” নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ভাষণে তিনি অসহযোগ আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দেন এবং ৪ দফা দাবি উত্থাপন করেন—
-
মার্শাল ল প্রত্যাহার,
-
সেনাদের ব্যারাকে প্রত্যাবর্তন,
-
রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত,
-
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর।
এই ভাষণ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে তোলে এবং মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে দেয়।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কোন সালে?
Created: 1 day ago
A
১৯১১ সালে
B
১৯১২ সালে
C
১৯০৮ সালে
D
১৯০৯ সালে
বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)
-
১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং তা কার্যকর হয় ১৫ অক্টোবর থেকে।
-
এটি ভারতীয় উপমহাদেশের জাতীয়তাবাদ ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
-
পূর্ববঙ্গের মুসলমান সমাজ একে আশীর্বাদ মনে করে স্বাগত জানায়।
-
কিন্তু হিন্দু সমাজ, বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতারা, একে কোনোভাবেই মেনে নেয়নি।
-
তারা নানা প্রতিবাদ, আন্দোলন ও ষড়যন্ত্র শুরু করে, যা ধীরে ধীরে সহিংস রূপ নেয়।
-
তাদের চাপের মুখে পড়ে অবশেষে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয় এবং আবার পূর্ববঙ্গকে পশ্চিমবঙ্গের সাথে একত্রিত করে।
বঙ্গভঙ্গ রদ (১৯১১)
-
১২ ডিসেম্বর ১৯১১ সালে, সম্রাট পঞ্চম জর্জ দিল্লির অভিষেক অনুষ্ঠানে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।
-
ফলে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গকে আবার একত্রিত করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদের ফলাফল
-
এর ফলে হিন্দু–মুসলমান সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং সাম্প্রদায়িকতার প্রসার ঘটে।
-
ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ জোরদার হতে শুরু করে।
-
মুসলমানদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও স্বাতন্ত্র্যবোধ বৃদ্ধি পায়।
-
তারা উপলব্ধি করে যে শুধু আপস নয়, বরং সংগ্রামের মাধ্যমেই উন্নতি ও স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব।
-
তাই মুসলমান সমাজ তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 day ago
একটি দেশের মোট আয়তনের কত শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন?
Created: 1 month ago
A
১৫-২০%
B
২০-২৫%
C
৩০-৩৫%
D
৩৫-৪০%
বন: প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ
একটি দেশের মোট জমির কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা খুবই জরুরি। এর মাধ্যমে ভূমির ক্ষয় রোধ, মাটি উর্বর রাখা, জলবায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখা এবং বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়।
বাংলাদেশের বনভূমি
বাংলাদেশের বনভূমি পাঁচটি প্রধান অঞ্চলে ভাগ করা যায়:
১। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বন
২। সিলেটের বনাঞ্চল
৩। সুন্দরবন
৪। মধুপুর ও ভাওয়ালের বন
৫। দিনাজপুর ও রংপুরের বন
বাংলাদেশের বনাঞ্চলে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, কেওড়া, গর্জন, সেগুন, চাপালিস, গামারি, শিরীষ, শাল এর মতো গাছ পাওয়া যায়।
সুন্দরবনে গোলপাতা এবং সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে বাঁশ ও বেত প্রচুর পরিমাণে জন্মে।
এগুলো থেকে কাঠ সংগ্রহ করে ঘর-বাড়ি, আসবাবপত্র, নৌকা, রেলওয়ের স্লিপার, খুঁটি ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বন থেকে আমরা জ্বালানি কাঠ, মধু, মোম, গোলপাতা প্রভৃতি পেয়ে থাকি, যা অনেক মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম।
বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ
-
বাংলাদেশের মোট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।
-
সরকার নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর, যা মোট জমির প্রায় ১৫.৫৮%।
-
বন অধিদপ্তর পরিচালিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ১৬ লাখ হেক্টর, যা দেশের মোট আয়তনের প্রায় ১০.৭৪%।
-
মোট বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের মোট জমির ২২.৩৭%।
উৎস: অর্থনীতি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago