বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবার ন্যূনতম বয়স কত?
A
৩৫ বছর
B
২৫ বছর
C
২০ বছর
D
৩০ বছর
উত্তরের বিবরণ
প্রধানমন্ত্রী
-
প্রধানমন্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের প্রধান।
-
সংবিধানের ৫৫ ও ৫৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের নেতৃত্ব দেন।
-
প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নিয়োগ করেন।
-
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ২৫ বছর।
-
সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা।
-
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মনোনীত ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
-
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পরিচালনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন।
সংবিধান অনুযায়ী যোগ্যতা:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম ভাগ, ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
১) একজন ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয় এবং বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হয়, তবে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে এবং সংসদে থাকার যোগ্য হবেন। -
যেহেতু প্রধানমন্ত্রী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সদস্য হতে হয়, তাই ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন (দ্বিতীয় পত্র), এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
বর্তমান ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতার পরিমাণ জনপ্রতি মাসে -
Created: 3 weeks ago
A
৬০০ টাকা
B
৬৫০ টাকা
C
৭০০ টাকা
D
৭৫০ টাকা
বয়স্ক ভাতা (Old Age Allowance)
-
প্রবর্তন: ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর
-
উদ্দেশ্য: দেশের দুস্থ ও স্বল্প উপার্জনক্ষম অথবা উপার্জনে অক্ষম বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বিধান এবং পরিবার ও সমাজে তাঁদের মর্যাদা বৃদ্ধি।
প্রাথমিক ধাপ
-
প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলাসহ মোট ১০ জন দরিদ্র বয়োজ্যেষ্ঠকে প্রতিমাসে ১০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হতো।
-
পরে সকল পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন এ কর্মসূচির আওতায় আসে।
বর্তমান অবস্থা (২০২৫-২৬ অর্থবছর)
-
উপকারভোগীর সংখ্যা: ৬১ লক্ষ জন
-
জনপ্রতি মাসিক ভাতা: ৬৫০ টাকা
-
বাজেট বরাদ্দ: ৪৭৯১.৩১ কোটি টাকা
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
-
বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান।
-
পরিবার ও সমাজে তাঁদের মর্যাদা বৃদ্ধি।
-
আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে মনোবল জোরদার।
-
চিকিৎসা ও পুষ্টি সরবরাহ বৃদ্ধিতে সহায়তা।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভাতাভোগীর মাসিক ভাতা (তুলনামূলক)
-
বয়স্ক ভাতা: ৬৫০ টাকা
-
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা: ৬৫০ টাকা
-
অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা: ৯০০ টাকা
-
অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ভাতা: ৬৫০ টাকা
-
মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি: ৮৫০ টাকা

0
Updated: 3 weeks ago
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে শীর্ষ দেশ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
সৌদি আরব
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
কুয়েত
D
সংযুক্ত আরব আমিরাত
২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রাপ্তি
-
মোট প্রাপ্তি: প্রায় ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৬.৪২ বিলিয়ন ডলার (২৬.৮%) বেশি।
-
সর্বাধিক উৎস দেশ: যুক্তরাষ্ট্র।
-
শীর্ষ ৫ রেমিট্যান্স প্রেরক দেশ (২০২৪-২৫):
১. যুক্তরাষ্ট্র
২. সৌদি আরব
৩. সংযুক্ত আরব আমিরাত
৪. যুক্তরাজ্য
৫. মালয়েশিয়া

0
Updated: 3 weeks ago
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?
Created: 1 month ago
A
নওয়াব আবদুল লতিফ
B
স্যার সৈয়দ আহমেদ
C
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ
D
খাজা নাজিমুদ্দিন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহর অবদান:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ বিশেষ ভূমিকা রাখেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঢাকার রমনা এলাকায় নিজের জমি দান করেছিলেন।
বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপট:
১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পর ঢাকায় ‘সর্বভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন’ এবং ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক শিক্ষা সমিতির’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি আরও জোরদার করে।
সরকারের প্রতি দাবি:
নওয়াব সলিমুল্লাহ ১৯০৫ সাল থেকেই সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চাপ দিয়ে আসছিলেন।
লর্ড হার্ডিঞ্জের সফর:
১৯১২ সালের ২৯ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় তিন দিনের জন্য আসেন। ৩১ জানুয়ারি নওয়াব সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মুসলিম প্রতিনিধি দল বড়লাটের সঙ্গে দেখা করে এবং পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের স্বার্থে একটি মানপত্র পেশ করে।
সরকারি ঘোষণা:
এর পরপরই ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকার একটি ঘোষণা জারি করে, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়।
শিক্ষা কার্যক্রম শুরু:
অবশেষে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠদান শুরু হয়।
তথ্যসূত্র: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago