বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কোন সালে?
A
১৯১১ সালে
B
১৯১২ সালে
C
১৯০৮ সালে
D
১৯০৯ সালে
উত্তরের বিবরণ
বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)
-
১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং তা কার্যকর হয় ১৫ অক্টোবর থেকে।
-
এটি ভারতীয় উপমহাদেশের জাতীয়তাবাদ ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
-
পূর্ববঙ্গের মুসলমান সমাজ একে আশীর্বাদ মনে করে স্বাগত জানায়।
-
কিন্তু হিন্দু সমাজ, বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতারা, একে কোনোভাবেই মেনে নেয়নি।
-
তারা নানা প্রতিবাদ, আন্দোলন ও ষড়যন্ত্র শুরু করে, যা ধীরে ধীরে সহিংস রূপ নেয়।
-
তাদের চাপের মুখে পড়ে অবশেষে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয় এবং আবার পূর্ববঙ্গকে পশ্চিমবঙ্গের সাথে একত্রিত করে।
বঙ্গভঙ্গ রদ (১৯১১)
-
১২ ডিসেম্বর ১৯১১ সালে, সম্রাট পঞ্চম জর্জ দিল্লির অভিষেক অনুষ্ঠানে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।
-
ফলে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গকে আবার একত্রিত করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদের ফলাফল
-
এর ফলে হিন্দু–মুসলমান সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং সাম্প্রদায়িকতার প্রসার ঘটে।
-
ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ জোরদার হতে শুরু করে।
-
মুসলমানদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও স্বাতন্ত্র্যবোধ বৃদ্ধি পায়।
-
তারা উপলব্ধি করে যে শুধু আপস নয়, বরং সংগ্রামের মাধ্যমেই উন্নতি ও স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব।
-
তাই মুসলমান সমাজ তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
বঙ্গভঙ্গ কালে ভারতের ভাইসরয় কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
লর্ড কার্জন
B
লর্ড মাউন্টব্যাটেন
C
লর্ড রিপন
D
লর্ড ওয়াভেল
বঙ্গভঙ্গের সময় ভারতীয় ভাইসরয় ছিলেন লর্ড কার্জন, এবং তিনি প্রধানত প্রশাসনিক সুবিধা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ১৯০৫ সালে বিশাল আয়তনের বাংলা প্রদেশকে দুটি প্রদেশে বিভক্ত করেন। এই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করে দুটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়।
-
পূর্ব বঙ্গ ও আসাম প্রদেশ:
-
পূর্ব বঙ্গের ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের সাথে জলপাইগুড়ি, পার্বত্য ত্রিপুরা, মালদাহ ও আসামকে যুক্ত করে এই নতুন প্রদেশ তৈরি করা হয়।
-
নতুন প্রদেশের আয়তন দাঁড়ায় ১০৬,৫৪০ বর্গমাইল, জনসংখ্যা ৩ কোটি ১০ লক্ষ, যার মধ্যে ১ কোটি ৮০ লক্ষ মুসলমান।
-
নতুন প্রদেশের রাজধানী করা হয় ঢাকা, এবং অনুসঙ্গী সদর দপ্তর হয় চট্টগ্রাম।
-
-
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে আরেকটি প্রদেশ গঠিত হয়, যার নামকরণ করা হয় বাংলা প্রদেশ।
-
এই প্রদেশের রাজধানী হয় কলকাতা।
-
-
মাত্র ৬ বছরের মধ্যে, ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণা করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলা কতটি?
Created: 1 month ago
A
১৭টি
B
২০টি
C
৬৪টি
D
১৯টি
বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলা
-
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় পূর্ব বাংলার মোট ১৭টি জেলা ছিল।
-
দেশভাগের আগে পূর্ব বাংলায় ১৫টি জেলা ছিল।
-
১৯৪৭ সালে নদীয়া জেলার কিছু অংশসহ বৃহত্তর কুষ্টিয়াকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে জেলার সংখ্যা হয়ে যায় ১৬টি।
-
পরবর্তীতে গণভোটের মাধ্যমে বৃহত্তর সিলেট পাকিস্তানে যোগদান করলে জেলা সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭টি।
-
পাকিস্তান শাসনাধীন সময় ১৯৬৯ সালে ঢাকা জেলা থেকে টাঙ্গাইল এবং বরিশাল জেলা থেকে পটুয়াখালী জেলা সৃষ্টি হয়। তখন স্বাধীনতার পূর্বে বৃহত্তর জেলার সংখ্যা হয় ১৯টি।
-
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ও বৃহত্তর জেলা ছিল ১৯টি।
-
পরে ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলা গঠন করা হয়, যাতে সরকারি সেবা জনগণের কাছে সহজলভ্য হয়।
এই প্রশ্নের ক্ষেত্রে যেহেতু “বাংলাদেশ” উল্লেখ আছে, তাই স্বাধীনতার সময়ের জেলা সংখ্যা ১৯টি ধরা হয়।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি), জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে-
Created: 1 month ago
A
চীন
B
ভারত
C
যুক্তরাজ্য
D
থাইল্যান্ড
বাংলাদেশের আমদানি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীন থেকে সর্বাধিক পণ্য আমদানি করা হয়। অর্থাৎ, বাংলাদেশ চীনের পণ্য সবচেয়ে বেশি কিনছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দেশভিত্তিক আমদানি (মিলিয়ন ডলার):
-
চীন: ১২,৫৫৩ (২৮.৪৬%)
-
ভারত: ৫,৯১৮ (১৩.৪২%)
-
যুক্তরাষ্ট্র: ১,৯৯০ (৪.৫১%)
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
-
টাকার পরিমাণে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় চীন থেকে, এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।
-
আমদানিতে ট্যারিফের ছয়টি ধাপ আছে; সর্বোচ্চ শুল্কহার ২৫%।
-
EU-ভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরও পরবর্তী ৩ বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়।
তথ্যসূত্র: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, অর্থনৈতিক সমীক্ষা – ২০২৪
0
Updated: 1 month ago