A
অপাদান
B
করণ
C
অধিকরণ
D
কর্ম
উত্তরের বিবরণ
অপাদান কারক
-
যে কারক দ্বারা কোন ক্রিয়ার উৎস বোঝানো হয়, তাকে অপাদান কারক বলা হয়। সাধারণত এই কারক ‘হতে’, ‘থেকে’ ইত্যাদি অনুসর্গের পরে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণস্বরূপ:
-
জমি থেকে ফসল পাওয়া যায়।
-
কাপটি উঁচু টেবিল থেকে পড়ে ভেঙে গেল।
-
কুকর্ম থেকে বিরত থাকো।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২১ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago
'সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিব কোথা'-এই বাক্যে 'ঔষধ' শব্দ কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
কর্ম কারকে শূন্য
B
সম্প্রদানে সপ্তমী
C
অধিকরণে শূন্য
D
কর্তৃকারকে শূন্য
কর্মকারক
কর্তা যে বস্তু বা প্রাণিকে আশ্রয় করে কাজ সম্পাদন করে, তাকে কর্মকারক বলা হয়। কর্ম দুই ধরনের হয়: মুখ্য কর্ম এবং গৌণ কর্ম।
উদাহরণস্বরূপ:
-
বাবা আমাকে (গৌণ কর্ম) একটি কলম (মুখ্য কর্ম) কিনে দিয়েছেন।
-
সাধারণত মুখ্য কর্ম হয় বস্তুবাচক, আর গৌণ কর্ম হয় প্রাণিবাচক।
-
এছাড়াও, কর্মকারকের গৌণ কর্মে সাধারণত বিভক্তি যুক্ত হয়, কিন্তু মুখ্য কর্মে বিভক্তি যুক্ত হয় না।
প্রথমা (অবিভক্তি বা শূন্য বিভক্তি)
-
ডাক্তার ডাক।
-
আমাকে একখানা বই দাও। (যেখানে দ্বিকর্মক ক্রিয়ার মুখ্য কর্ম ব্যবহৃত হয়েছে)
-
রবীন্দ্রনাথ পড়লাম, নজরুল পড়লাম — এখানে গ্রন্থবিশেষ অর্থে গ্রন্থকারের ব্যবহার করা হয়েছে।
-
সর্বাঙ্গে ব্যথা ঔষধ দিব কোথা।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 1 week ago
'দিব তোমা শ্রদ্ধা ভক্তি।' - বাক্যে 'তোমা' কোন কারক?
Created: 2 months ago
A
কর্ম
B
কর্তা
C
অধিকরণ
D
সম্প্রদান
সম্প্রদান কারক
যাকে কোনো কিছু দান বা সাহায্য করার জন্য স্বত্ব পরিত্যাগ করে কিছু দেওয়া হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলা হয়। দানের সঙ্গে সম্প্রদানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে কোনো কিছু দেওয়া হলেও যদি তা পরে ফেরত নেওয়া হয়, তাহলে সেটি আর সম্প্রদান কারক হয় না।
উদাহরণ:
-
সৎপাত্রে কন্যা দান কর।
-
সমিতিতে চাঁদা দাও।
-
অন্ধজনে দেহ আলো।
-
দিব তোমা শ্রদ্ধা ভক্তি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 2 months ago
বাক্যের অন্তর্গত শব্দের পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 4 days ago
A
সন্ধি
B
পদ
C
কাল
D
কারক
উত্তর: ঘ) কারক
সহজ ব্যাখ্যা:
বাংলা ব্যাকরণে বাক্যের শব্দগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বোঝাতে যে নিয়ম ব্যবহৃত হয়, সেটি কারক নামে পরিচিত।
কারকের মাধ্যমে বোঝা যায়, কে কাজটি করছে, কার উপর কাজটি হচ্ছে, কোথায় কাজটি ঘটছে ইত্যাদি।
উদাহরণ:
রানা বই পড়ে।
→ রানা = কর্তৃকারক (যে পড়ছে)
→ বই = কর্মকারক (যাকে পড়া হচ্ছে)
এই শব্দদুটো ক্রিয়ার (পড়ে) সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে কারকের মাধ্যমে।
বাংলা ভাষায় মোট ৬টি কারক রয়েছে:
-
কর্তৃকারক (যে কাজ করে)
-
কর্মকারক (যার উপর কাজ হয়)
-
করণকারক (যার মাধ্যমে কাজ হয়)
-
সম্প্রদান কারক (যার জন্য কিছু দেওয়া হয়)
-
অপাদান কারক (যেখান থেকে কিছু দূরে যায়)
-
অধিকরণ কারক (যেখানে কাজ ঘটে)
তাই বাক্যে শব্দের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝাতে ‘কারক’ সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তর।
অন্য অপশনগুলোর ব্যাখ্যা:
ক) সন্ধি:
দুইটি শব্দ জোড়া লাগলে যে ধ্বনিগত পরিবর্তন হয়, তাকে সন্ধি বলে। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়।
→ এটি শব্দগঠন নিয়ে কাজ করে, বাক্যের শব্দের সম্পর্ক নয়।
খ) পদ:
যখন কোনও শব্দে বিভক্তি যুক্ত হয়, তখন তাকে পদ বলে। যেমন: 'মানুষটি', 'বইয়ে'।
→ এটি শব্দের শ্রেণি নির্ধারণ করে, কিন্তু পারস্পরিক সম্পর্ক নয়।
গ) কাল:
কাল হলো কাজটি কখন হয়েছে—বর্তমানে, অতীতে না ভবিষ্যতে।
→ এটি ক্রিয়ার সময় বোঝায়, শব্দের সম্পর্ক নয়।
শব্দগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করার জন্য সঠিক উত্তর হলো ঘ) কারক।

0
Updated: 4 days ago