নিচের কোন দুটি বাংলা উপসর্গ?
A
অজ, অতি
B
আন, অনা
C
অতি, অভি
D
অনা, অতি
উত্তরের বিবরণ
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
-
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত যেসব উপসর্গ সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ও দেশজ, তাদের খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়।
-
এ ধরনের উপসর্গ মোট ২১টি।
এই উপসর্গগুলো হলো:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
অপরদিকে,
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ হিসেবে গণ্য হয়:
অতি, অভি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 5 months ago
কোনটি বিদেশি উপসর্গ নয়?
Created: 5 months ago
A
রাম
B
নিম
C
আম
D
বর
বিদেশি উপসর্গগুলোর প্রকৃতি অনেক সময় অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয় হয়।
উদাহরণস্বরূপ:
-
আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের।
-
ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
-
উর্দু উপসর্গ: হর।
-
ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
অন্যদিকে,
খাঁটি বাংলা উপসর্গ হিসেবে রাম একটি নির্দিষ্ট উদাহরণ।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 5 months ago
প্র, পরা, অপ - কোন ধরনের উপসর্গ?
Created: 1 week ago
A
সংস্কৃত উপসর্গ
B
বাংলা উপসর্গ
C
বিদেশী উপসর্গ
D
কোনোটাই না
প্র, পরা, এবং অপ — এই উপসর্গগুলো সংস্কৃত ভাষা থেকে উদ্ভূত এবং বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বহু শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের অর্থে পরিবর্তন আনে বা নতুন শব্দ তৈরি করে। তাই এগুলোকে সংস্কৃত উপসর্গ বলা হয়। উপসর্গ হলো এমন এক ভাষাগত উপাদান যা কোনো মূল শব্দের আগে যুক্ত হয়ে তার অর্থে পরিবর্তন আনে বা নতুন ভাব প্রকাশ করে।
বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য নিচের দিকগুলো উল্লেখ করা যায়
-
উপসর্গ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘উপ’ + ‘সর্গ’ থেকে, যার অর্থ মূল শব্দের আগে যুক্ত হওয়া কোনো ধ্বনি বা শব্দাংশ।
-
বাংলা ভাষায় দুটি প্রধান ধরনের উপসর্গ দেখা যায়— সংস্কৃত উপসর্গ ও বাংলা উপসর্গ।
-
সংস্কৃত উপসর্গ হলো সেইসব উপসর্গ যা সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে এবং মূলত তৎসম বা সংস্কৃতমূল শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়।
-
প্র, পরা, ও অপ এই তিনটি উপসর্গ সংস্কৃত উৎসজাত এবং এরা বিভিন্ন শব্দের অর্থ পরিবর্তন করে বা নতুন অর্থ তৈরি করে।
-
যেমন—
-
প্র + স্থান = প্রস্থান (যাত্রা করা)
-
পরা + জ্ঞা = পরিজ্ঞা (জানাজানি বা জ্ঞান)
-
অপ + কর্ম = অপকর্ম (অসৎ কাজ)
-
-
এই উপসর্গগুলো সাধারণত গুণ, অবস্থা, ক্রিয়া বা সম্পর্ক বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
প্র উপসর্গ সাধারণত আগে, উৎকৃষ্ট, বা সূচনা বোঝায়; যেমন— প্রবেশ, প্রস্থান, প্রচার।
-
পরা উপসর্গ দ্বারা বোঝায় অন্য, উচ্চতর বা দূরের ধারণা; যেমন— পরাজয়, পরামর্শ, পরোপকার।
-
অপ উপসর্গ ব্যবহার হয় নিচু, বিপরীত বা নেতিবাচক অর্থে; যেমন— অপবিত্র, অপরাধ, অপকর্ম।
-
বাংলা উপসর্গ যেমন অতি-, অধ-, না-, বে-, অনা- ইত্যাদি তুলনামূলকভাবে বাংলা ভাষায় গঠিত বা অভিযোজিত।
-
অপরদিকে, সংস্কৃত উপসর্গ ভাষার প্রাচীন রূপের ধারক এবং সাহিত্যিক বা আনুষ্ঠানিক শব্দে বেশি ব্যবহৃত হয়।
-
এই উপসর্গগুলো বাংলা ব্যাকরণে শব্দ গঠন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা ভাষার শব্দভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে।
অতএব স্পষ্টভাবে বলা যায়, প্র, পরা, অপ — এগুলো সংস্কৃত উপসর্গ, কারণ এদের উৎস সংস্কৃত ভাষা এবং এরা মূলত তৎসম শব্দের আগে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ সৃষ্টি করে।
0
Updated: 1 week ago
বাংলা উপসর্গ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
পরা
B
অঘা
C
অপ
D
খাস
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
-
বাংলা উপসর্গ
-
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে বাংলা উপসর্গ বলা হয়
-
মোট ২১টি
-
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা
-
-
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
-
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত উপসর্গকে সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে
-
মোট ২০টি
-
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ
-
[উল্লেখ্য: বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়]
-
-
বিদেশি উপসর্গ
-
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত
-
কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু
-
উদাহরণ: আম, খাস, লা, গর, বাজে, বদ, বে, বর, ব, হেড, সাব, ফুল, হাফ
-
বিদেশি উপসর্গ সাধারণত অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, ৯ম-১০ম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago