সংবিধান প্রস্তাবনায় কোন শাসনের উল্লেখ রয়েছে?
A
সামরিক শাসন
B
আইনের শাসন
C
একনায়কতন্ত্র
D
ধর্মীয় শাসন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান – প্রস্তাবনা
-
সংখ্যা ও ভাগ
-
সংবিধানে মোট ১টি প্রস্তাবনা রয়েছে।
-
প্রস্তাবনাটি ৫টি ভাগে বিভক্ত।
-
-
স্বাধীনতার ঘোষণা
-
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা।
-
স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত।
-
-
মূল আদর্শ ও নীতি
-
জাতীয়তাবাদ
-
সমাজতন্ত্র
-
গণতন্ত্র
-
ধর্মনিরপেক্ষতা
-
-
নাগরিকের অধিকার ও নীতি
-
আইনের শাসন
-
মৌলিক মানবাধিকার
-
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমতা
-
স্বাধীনতা ও সুবিচার
-
-
আন্তর্জাতিক দায়িত্ব ও লক্ষ্য
-
স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ
-
মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্খার সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা
-
আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতায় পূর্ণ ভূমিকা পালন
-
-
সংবিধান গ্রহণের তারিখ
-
গণপরিষদে ১৩১৯ বঙ্গাব্দের কার্তিক ১৮
-
খ্রিষ্টাব্দে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর
-
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে, মন্ত্রিসভা কার কাছে সম্মিলিতভাবে দায়ী থাকে?
Created: 2 months ago
A
রাষ্ট্রপতির কাছে
B
স্পিকারের কাছে
C
জাতীয় সংসদের কাছে
D
জনগণের কাছে
মন্ত্রিসভা ও সংসদীয় দায়বদ্ধতা
-
বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভা যৌথভাবে জাতীয় সংসদের নিকট দায়ী।
-
অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রীসহ সকল মন্ত্রী সংসদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকেন এবং তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে সংসদকে জবাবদিহি করতে হয়।
-
এটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি, যেখানে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সরকারের কর্মকাণ্ড তদারকি করে।
-
সংসদে যদি মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করা হয় এবং তা গৃহীত হয়, তাহলে মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হয়।
-
এই যৌথ দায়বদ্ধতা সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে এবং নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ রাখে।
-
ফলে, সংসদ কর্তৃক নিয়ন্ত্রণের এই ব্যবস্থা কার্যত জনগণের অধিকার ও মতামতের প্রতিফলন ঘটায়।
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ বলে রাষ্ট্র নারী, শিশু বা অনগ্রসর নাগরিকদের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান তৈরির ক্ষমতা পায়?
Created: 3 months ago
A
২৫
B
২৮
C
৪০
D
৪২
বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ ও এর গুরুত্ব
বাংলাদেশের সংবিধান মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ নিয়ে গঠিত, যেখানে দেশের মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণির সুরক্ষার জন্য বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে কারণ এটি রাষ্ট্রকে নারী, শিশু ও সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার প্রদান করে।
২৮ নম্বর অনুচ্ছেদের মূল প্রস্তাবনা:
-
২৮(১): ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, লিঙ্গ বা জন্মস্থানকে ভিত্তি করে কোনো নাগরিকের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ রাষ্ট্র করবে না।
-
২৮(২): দেশের সমস্ত স্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে।
-
২৮(৩): ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, লিঙ্গ বা জন্মস্থানের কারণে বিনোদন, বিশ্রাম বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে নাগরিকদের প্রবেশাধিকার বা সুযোগে কোনো সীমাবদ্ধতা আরোপ করা যাবে না।
-
২৮(৪): নারী, শিশু ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নতির লক্ষ্যে বিশেষ বিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে এই অনুচ্ছেদের কোনও ধারা রাষ্ট্রকে বাধা দিতে পারবে না।
এছাড়াও সংবিধানে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ রয়েছে, যেমন:
-
অনুচ্ছেদ ২৫: আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
-
অনুচ্ছেদ ৪০: পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা।
-
অনুচ্ছেদ ৪২: সম্পত্তি অধিকার সুরক্ষা।
উল্লেখ্য, ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রের কাছে একটি শক্তিশালী দায়িত্ব অর্পণ করেছে যাতে সমাজের সব শ্রেণিকে সমান সুযোগ ও ন্যায় নিশ্চিত করা যায়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান।

0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের সংবিধানের অঙ্গসজ্জা কার্যক্রমের মূল তত্ত্বাবধায়ক কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
জয়নুল আবেদীন
B
এ.কে.এম আবদুর রউফ
C
হাসেম খান
D
আবু বারাক আলভী
বাংলাদেশ সংবিধান – অঙ্গসজ্জা ও প্রস্তুতি:
-
মূল তত্ত্বাবধায়ক: শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীন
-
অঙ্গসজ্জা করেছেন: হাশেম খান
-
লিপিকার: এ. কে. এম আবদুর রউফ
-
চামড়ার কাজ করেছেন: সৈয়দ শাহ্ আবু শফি

0
Updated: 1 month ago