জাতীয় সংসদে 'কাস্টিং ভোট' প্রদান করে -
A
স্পিকার
B
প্রধানমন্ত্রী
C
রাষ্ট্রপতি
D
চিফ হুইপ
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় সংসদে কাস্টিং ভোট
সংসদে কোনো বিষয়ে ভোটাভুটির সময় পক্ষে ও বিপক্ষে সমান ভোট হলে সংসদ অচলাবস্থায় পড়ে।
এ অবস্থায় স্পিকার তার ভোট প্রদান করে অচলাবস্থা দূর করেন।
এই নির্ণায়ক ভোটকেই বলা হয় কাস্টিং ভোট।
অন্য কোনো পরিস্থিতিতে স্পিকার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না।
সংবিধান অনুযায়ী:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, অনুচ্ছেদ ৭৫(১):
“উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংসদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্র ব্যতীত সভাপতি (স্পিকার) ভোটদান করিবেন না এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে তিনি নির্ণায়ক (casting) ভোট প্রদান করিবেন।”
তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশের সংবিধান
আরিফ খান, বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 month ago
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ নির্বাচিত হন কোন পদ্ধতিতে?
Created: 2 months ago
A
স্পিকারের মাধ্যমে
B
প্রত্যক্ষ নির্বাচনে
C
পরোক্ষ নির্বাচনে
D
বিচারপতির মাধ্যমে
সংরক্ষিত সংসদীয় আসন
-
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ৩৫০টি আসন নিয়ে গঠিত।
-
এর মধ্যে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত আসন সংখ্যা ৩০০টি।
-
মহিলাদের জন্য সংসদে সংরক্ষিত আসন ৫০টি।
উল্লেখ্য:
-
সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে বিজয়ী হয়ে শপথ গ্রহণ করা সাংসদদের ভোটের মাধ্যমে।
-
অর্থাৎ, সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হন।
সূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হয়?
Created: 2 months ago
A
৭ মার্চ ১৯৭৩
B
৫ মার্চ ১৯৭৩
C
৬ এপ্রিল ১৯৭৩
D
১১ এপ্রিল ১৯৭৩
প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
-
১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
এই নির্বাচন হয় ৭ই মার্চ, ১৯৭৩ সালে।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে গঠিত মুজিবনগর সরকার দেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলো। এরপরই সরকার গঠনের জন্য এই নির্বাচন করা হয়।
-
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন শুরু করেন।
-
দেশের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়নের গুরুত্ব তখন বিশেষ হয়ে উঠে।
-
মাত্র নয় মাসের মধ্যে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে দেশের সংবিধান গৃহীত হয়।
-
বিচারপতি এম ইদ্রিসকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়।
-
এরপর নতুন সংবিধানের আলোকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়।
নির্বাচন পরিচালনা
-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ৭ই মার্চ, ১৯৭৩ তারিখে দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
মোট ৩০০ আসনের জন্য ১৪টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।
-
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ১০৮৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া, পৌরনীতি ও সুশাসন, দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
সংসদ কর্তৃক গৃহীত কোন বিলে কে সম্মতি দান করলে বিলটি আইনে পরিণত হয়?
Created: 1 month ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
স্পিকার
D
ডেপুটি স্পিকার
সংসদ কর্তৃৎ গৃহীত বিলের প্রক্রিয়া বাংলাদেশের সংবিধানের ৮০ নং অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়। সংসদ যখন কোনো বিল প্রণীত করে তা রাষ্ট্রপতির নিকট প্রেরণ করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতি দেবেন বা সংসদের পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠাবেন। যদি রাষ্ট্রপতি ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতি প্রদান না করেন, তবে বিলটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাষ্ট্রপতির সম্মতি রয়েছে বলে গণ্য করা হয়। রাষ্ট্রপতি যদি বিলটি সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতীত ফেরত পাঠান, তবে সংসদ তা পুনর্বিবেচনা করে এবং পুনরায় বিলটি রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপন করলে রাষ্ট্রপতি ৭ দিনের মধ্যে বিলটিতে সম্মতি প্রদান করবেন; না করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইনে পরিণত হয়। সংসদ কর্তৃক গৃহীত বিলটি রাষ্ট্রপতির সম্মতিদান প্রাপ্ত বা গণ্য হলে তা আইনে রূপান্তরিত হয় এবং সংসদের আইন হিসেবে পরিচিত হয়।
-
সংসদ কর্তৃৎ গৃহীত বিলের জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন আবশ্যক।
-
বিলটি রাষ্ট্রপতির নিকট ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতির জন্য প্রেরণ করা হয়।
-
১৫ দিনের মধ্যে যদি রাষ্ট্রপতি সম্মতি দেন না, তবে বিলটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্মতি ধরা হয়।
-
রাষ্ট্রপতি যদি বিল ফেরত পাঠান, সংসদ তা পুনর্বিবেচনা করে সংশোধনীসহ বা ব্যতীত পুনরায় প্রেরণ করবে।
-
পুনরায় প্রেরণের ৭ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সম্মতি প্রদান করবেন; না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্মতিদান ধরা হবে।
-
রাষ্ট্রপতির সম্মতিদান প্রাপ্ত বা গণ্য হলে বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হয় এবং সংসদের আইন হিসেবে স্বীকৃত হয়।

0
Updated: 1 month ago