'শ্রদ্ধাবান লভে জ্ঞান অন্যে কভু নয়।' - এখানে 'শ্রদ্ধাবান' কোন কারক?
A
করণ
B
কর্তা
C
অপাদান
D
কর্ম
উত্তরের বিবরণ
কর্তা কারক
যে ব্যক্তি বা বস্তু ক্রিয়াটি সম্পাদন করে, তাকে কর্তা কারক বলে। অর্থাৎ, বাক্যে যে কর্তা ক্রিয়ার কার্য সম্পাদন করে, সেই কর্তার দ্বারাই কর্তা কারক নির্ধারিত হয়। কর্তা কারকে সাধারণত কোনও বিভক্তি যোগ হয় না।
উদাহরণ
-
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে, খাজনা দেব কিসে?
-
সপ্তপুরুষ যেথায় মানুষ।
-
শ্রদ্ধাবান লভে জ্ঞান, অন্যে কভু নয়।
উৎস
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি – নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২১ সংস্করণ)
বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি – সপ্তম শ্রেণি

0
Updated: 3 months ago
অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ আছে কোন বাক্যটিতে?
Created: 1 month ago
A
ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল
B
কাজের পরিচয় ফলে বোঝা যায়
C
ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা একলা জেগে রই
D
আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস
• অধিকরণ কারক:
- ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বােঝায়।
- অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
- বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনাে বিষয় বােঝাতে অধিকরণ কারক হয়।
• অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
যেমন:
- আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই।
- কাল (সময়): সকালে সূর্য উঠবে।
প্রশ্নে প্রদত্ত,
''আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস'' এই বাক্যে ''আকাশে'' শব্দ দ্বারা স্থানকে বুঝিয়েছে এবং এতে সপ্তমী বিভক্তি (এ) আছে। তাই ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ।
আবার,
- বাক্যের ক্রিয়াকে কোথায় দ্বারা প্রশ্ন করলেও ‘আকাশে’ উত্তর পাওয়া যায়। সুতরাং ‘আকাশ’ শব্দটি এ বিভক্তিযোগে অধিকরণে সপ্তমী কারক।
অন্যদিকে,
• 'ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা'- এখানে 'ফুলের' সম্বন্ধ কারকের উদাহরণ।
• কাজের পরিচয় ফলে বোঝা যায়।- কাজের পরিচয় কী দ্বারা বোঝা যায় ফল দ্বারা। সুতরাং ‘ফলে’ করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

0
Updated: 1 month ago
বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক তাকে কী বলে?
Created: 1 week ago
A
বিভক্তি
B
কারক
C
প্রত্যয়
D
অনুসর্গ
কারক, বিভক্তি, প্রত্যয় ও অনুসর্গ
কারক:
কারক হলো বাক্যে ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্পর্ক। সহজভাবে বলতে গেলে, কোনো বাক্যে ক্রিয়া (যেমন: খাওয়া, যাওয়া) ও নামপদ (বিশেষ্য বা সর্বনাম) যেভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে, সেই সম্পর্ককে কারক বলা হয়।
-
কারক বোঝাতে সাধারণত বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে বিভক্তি বা অনুসর্গ যুক্ত হয়।
-
মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০২১ সংস্করণ) অনুযায়ী, কারকের ছয়টি ধরন রয়েছে:
-
কর্তা কারক
-
কর্ম কারক
-
করণ কারক
-
অপাদান কারক
-
অধিকরণ কারক
-
সম্বন্ধ কারক
-
২. বিভক্তি:
বিভক্তি হলো সেই বর্ণ, বর্ণসমষ্টি বা চিহ্ন যা বাক্যের এক পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ক নির্ধারণ করে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি নামপদকে বাক্যে ক্রিয়ার সাথে যুক্ত করতে সাহায্য করে।
৩. প্রত্যয়:
প্রত্যয় হলো ধাতু বা শব্দের পরে যুক্ত অর্থহীন অংশ, যা দিয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয়। উদাহরণ: “খেলা + ওয়া = খেলাওয়া”।
৪. অনুসর্গ:
অনুসর্গ হলো এমন অব্যয় শব্দ, যা কখনো স্বাধীনভাবে, আবার কখনো নামপদ বা ক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে। অন্য কথায়, এটি বাক্যের অর্থ নিখুঁত করতে ব্যবহৃত হয়।
উৎস:মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০১৯ ও ২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 1 week ago
ব্যাকরণের কোন অংশে কারক সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
ধ্বনিতত্ত্বে
B
অর্থতত্ত্বে
C
বাক্যতত্ত্বে
D
রূপতত্ত্বে
এক ধরনের বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে রূপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি ইত্যাদি বাক্যতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়। কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন প্রভৃতিও বাক্যতত্ত্বে আলোচিত হয়ে থাকে।

0
Updated: 1 week ago