A
দুঃ + অবস্থা
B
দুর + বস্থা
C
দূর + বস্থা
D
দূর + অবস্থা
উত্তরের বিবরণ
বিসর্গ সন্ধি
বিসর্গ সন্ধি হলো সেই সন্ধি যেখানে বিসর্গ (ঃ) বা র্/স্-এর সাথে পরবর্তী শব্দের স্বর বা ব্যঞ্জনধ্বনি যুক্ত হয়ে নতুন রূপ গঠন করে।
বিসর্গ সন্ধি দুই ধরনের হয়:
-
বিসর্গ + স্বর
-
বিসর্গ + ব্যঞ্জন
বিসর্গ + স্বর সন্ধি
যদি পূর্বপদের শেষে অ/আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনির আগে বিসর্গ থাকে এবং পরপদের শুরুতে স্বরধ্বনি থাকে, তাহলে বিসর্গ রূপান্তরিত হয়ে পরবর্তী স্বরের সঙ্গে যুক্ত হয়।
নিয়ম ও উদাহরণ:
-
ইঃ + অ → ই + র্
-
নিঃ + অন্ন = নিরন্ন
-
বহিঃ + অঙ্গ = বহিরঙ্গ
-
-
ইঃ + আ → ই + রা
-
নিঃ + আকার = নিরাকার
-
নিঃ + আশা = নিরাশা
-
-
উঃ + অ → উ + র
-
দুঃ + অবস্থা = দুরবস্থা
-
চতুঃ + অঙ্গ = চতুরঙ্গ
-
-
উঃ + আ → উ + রা
-
দুঃ + আত্মা = দুরাত্মা
-
দুঃ + আশা = দুরাশা
-
উৎস: ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষা শিক্ষা

0
Updated: 17 hours ago
সন্ধির প্রধান সুবিধা কী?
Created: 2 months ago
A
পড়ার সুবিধা
B
লেখার সুবিধা
C
উচ্চারণের সুবিধা
D
শোনার সুবিধা
সন্ধি:
- পাশাপাশি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে।
- অন্য কথায়, সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে।
- সন্ধির প্রধান উদ্দেশ্য স্বাভাবিক উচ্চারণের সহজপ্রবণতা এবং ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন।
- সন্ধি শব্দ গঠনেরও একটি উপায়।
- তবে সন্ধির প্রধান সুবিধা হলো উচ্চারণের সুবিধা।
- তবে বাংলা ভাষায় উপসর্গ, প্রত্যয় ও সমাস প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে সন্ধির সূত্র কাজে লাগে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago
‘দ্যুলোক’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 21 hours ago
A
দু: + লোক
B
দুই + লোক
C
দ্বি + লোক
D
দিব্ + লোক
‘দ্যুলোক’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ দিব্ + লোক। এটি নিপাতনে সিদ্ধ ব্যাঞ্জন সন্ধি। ব্যাকরণের সাধারণ বা বিশেষ কোনো নিয়মানুসারেই যখন কোনো কর্ম ব্যাখ্যা করা যায় না। অথচ তা সংঘটিত হয়, তখন সেই ব্যতিক্রমকে বৈধতা দেয়ার নাম নিপাতনে সিদ্ধ। কয়েকটি নিপাতনে সিদ্ধ ব্যাঞ্জন সন্ধির উদাহরণ- আশ্চর্য = আ + চর্য, ষোড়শ = ষট্ + দশ, পতঞ্জলি = পতৎ + অঞ্জলি, একাদশ = এক + দশ, বৃহস্পতি = বৃহৎ + পতি, গোষ্পদ = গো + পদ, বনস্পতি = বন্ + পতি, পরস্পর = পর্ + পর ইত্যাদি।

0
Updated: 21 hours ago
‘ষষ্ঠ’– এর সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
ষট্+থ
B
ষষ্ঠ+থ
C
ষষ্+থ
D
ষষ্+ঠ
‘ষষ্ঠ’ শব্দটির সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ = ষষ্ + থ। এটি ব্যঞ্জণসন্ধির উদাহরণ। ‘ষ’ এর পর যথাক্রমে ‘ত’ বা ‘থ’ থাকলে তার স্থানে যথাক্রমে ‘ট’ বা ‘ঠ’ হয়ে যায়। যেমন- কৃষ = তি-কৃষ্টি।

0
Updated: 2 weeks ago