A
রাজা রামমোহন রায়
B
গোলকনাথ শর্মা
C
রামরাম বসু
D
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
উত্তরের বিবরণ
রাজা রামমোহন রায় ও তাঁর রচিত গ্রন্থসমূহ
রাজা রামমোহন রায়কে বাংলার নবজাগরণের আদি পুরুষ বলা হয়। তিনি ১৭৭২ সালের ২২ মে হুগলীর রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৩০ সালে মুগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর (১৮০৬–১৮৩৭) তাঁকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন। এছাড়া, ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে পার্লামেন্টে ওকালতি করার জন্য তাঁকে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল।
রামমোহন রায় ২০ আগস্ট ১৮২৮ সালে কলকাতায় প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় ‘ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শিবপ্রসাদ রায় ছদ্মনামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
তিনি প্রায় ৩০টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো:
-
বেদান্তগ্রন্থ
-
বেদান্তসার
-
ভট্টাচার্যের সহিত বিচার
-
গোস্বামীর সহিত বিচার
-
সহমরন বিষয়ক প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ
-
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 17 hours ago
আমি এ কথা, এ ব্যথা, সুখব্যাকুলতা কাহার চরণতলে দিব নিছনি।'-রবীন্দ্রনাথের এ গানে 'নিছনি' কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
অপনোদন অর্থে
B
পূজা অর্থে
C
বিলানো অর্থে
D
উপহার অর্থে
‘নিছনি’ (বিশেষ্য পদ)
অর্থ— অর্ঘ্য, নিবেদন। যেমন— “যদি না দিই নিছনি সেই প্রিয় সখার পার তলে” (ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ)।
এছাড়া শব্দটি রূপ, লাবণ্য, উপহার, বেশবিন্যাস অর্থেও ব্যবহৃত হয়।
তবে প্রদত্ত পঙ্ক্তিতে ‘নিছনি’ শব্দটি পূজা বা নিবেদন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
‘অপনোদন’ (বিশেষ্য পদ)
অর্থ— দূর করা, অপসারণ বা খণ্ডন।
‘বিলানো’ (ক্রিয়াপদ)
অর্থ— বণ্টন করা, দান বা বিতরণ করা।
উৎস: অভিগম্য অভিধান, বাংলা একাডেমি

0
Updated: 1 week ago
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক প্রথম উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ কার রচনা?
Created: 1 month ago
A
দীনেশচন্দ্র সেনগুপ্ত
B
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
সুকুমার সেন
‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসবিষয়ক প্রথম গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
-
এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থটির প্রণেতা হলেন দীনেশচন্দ্র সেন।
‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ বইটিতে —
-
বঙ্গভাষা ও বঙ্গলিপির উৎস, সংস্কৃত ও প্রাকৃত ভাষার সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক, প্রাচীন বাংলা সাহিত্য, মধ্যযুগে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর কার্যকলাপ এবং তাদের সাহিত্যিক প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে সুসংবদ্ধ ও মনোগ্রাহী আলোচনা রয়েছে।
-
ইংরেজ শাসনের পূর্ববর্তী বাংলা সাহিত্য নিয়ে এতটা প্রাঞ্জল ও অনুরাগপূর্ণ ইতিহাস এর আগে কেউ রচনা করেননি।
-
এই গ্রন্থে সাহিত্যের সঙ্গে সমাজের গভীর সংযোগের দিকটি প্রথমবারের মতো বিশ্লেষণাত্মকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago
'প্রভাবতী সম্ভাষণ' কার রচনা?
Created: 1 month ago
A
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
রামমোহন রায়
D
কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রভাবতী সম্ভাষণ: বাংলা গদ্য সাহিত্যের প্রথম মৌলিক রচনা
বাংলা গদ্য সাহিত্যে এক অনন্য সংযোজন হলো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’। এটি কেবল বাংলা ভাষার প্রথম মৌলিক গদ্য রচনাই নয়, বরং একটি গভীর শোকগাথাও, যা লেখকের মনের আবেগের নিখুঁত প্রতিফলন। প্রিয় বন্ধু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা প্রভাবতীর অকাল মৃত্যু বিদ্যাসাগরের মনে যে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছিল, তারই আবেগঘন বহিঃপ্রকাশ এই রচনাটি।
ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে, প্রভাবতীর মৃত্যু বিদ্যাসাগরকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়, এবং সেই বেদনাই তাঁকে এ লেখাটি রচনার প্রেরণা দেয়।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর: বাংলা নবজাগরণের অগ্রপথিক
-
জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে।
-
মৃত্যু: ২৯ জুলাই ১৮৯১, কলকাতায়।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
-
তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ছিল ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ (১৮৪৭), যা বাংলা গদ্য রচনায় এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। এই বইতেই তিনি বাংলা ভাষায় প্রথমবারের মতো যতি বা বিরাম চিহ্নের ব্যবহার প্রবর্তন করেন।
-
‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’ তাঁর রচিত এমন এক মৌলিক গ্রন্থ, যা বাংলা গদ্যের আদিতে মানবিক আবেগ ও ভাষার সৌকর্যের মেলবন্ধন ঘটায়।
-
তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ব্রজবিলাস’ এবং ‘রত্নপরীক্ষা’।
তথ্যসূত্র:‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ - ড. সৌমিত্র শেখর, ‘বাংলাপিডিয়া’

0
Updated: 1 month ago