A
গাজী মিঁয়ার বস্তানী
B
আলালের ঘরের দুলাল
C
হুতোম প্যাঁচার নকশা
D
কলিকাতা কমলালয়
উত্তরের বিবরণ
‘গাজী মিয়াঁর বস্তানী’
-
লেখক ও ধরন: ‘গাজী মিয়াঁর বস্তানী’ গ্রন্থটি মীর মশাররফ হোসেনের রচিত একটি আত্মজীবনীমূলক কাহিনি।
-
বিষয়বস্তু: এই গ্রন্থে লেখক ব্যঙ্গাত্মক ভাষায় সমাজের অন্যায়, দুর্নীতি, এবং মানুষের নৈতিক ও মানবিক অবক্ষয় তুলে ধরেছেন।
-
লেখকের ছদ্মনাম: তিনি নিজেকে ‘ভেড়াকান্ত’ নামে উল্লেখ করেছেন।
-
ব্যঙ্গের প্রকাশ: গ্রন্থে ব্যবহৃত চরিত্র ও স্থাননাম যেমন—আলকাতরা সান্যাল, কটা পেস্কার, জয়ঢাক, ছিড়িয়া খাতুন, অরাজকপুর, নচ্ছারপুর, জমদ্বারগ্রাম—এগুলো লেখকের তীব্র ব্যঙ্গের প্রতিফলন।
তুলনায় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ
-
প্যারীচাঁদ মিত্রের প্রথম গ্রন্থ: আলালের ঘরের দুলাল
-
কালীপ্রসন্ন সিংহের গ্রন্থ: হুতোম প্যাঁচার নকশা
-
ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রন্থ: কলিকাতা কমলালয়
মীর মশাররফ হোসেন
-
জীবনী: মীর মশাররফ হোসেন (১৩ নভেম্বর ১৮৪৭, লাহিনীপাড়া, কুষ্টিয়া) ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক।
-
সাংবাদিকতা: ছাত্রাবস্থায় তিনি সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা পত্রিকার মফঃস্বল সংবাদদাতা ছিলেন। এছাড়াও আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন।
-
সাহিত্যিক স্থান: তিনি বঙ্কিমচর্চা যুগের একজন প্রধান গদ্যশিল্পী এবং উনিশ শতকের গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিক।
রচিত সাহিত্যকর্ম
-
নাটক: বসন্তকুমারী, জমীদার দর্পণ, বেহুলা গীতাভিনয়, টালা অভিনয়
-
উপন্যাস: বিষাদ-সিন্ধু
-
আত্মজীবনীমূলক রচনা: উদাসীন পথিকের মনের কথা, গাজী মিয়াঁর বস্তানী, আমার জীবনী, কুলসুম জীবনী
উৎস:বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 17 hours ago
নিচের কোনটি মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম-মৃত্যু সাল?
Created: 1 month ago
A
১৮৪৭-১৯১১
B
১৮৫২-১৯১২
C
১৮৫৭-১৯১১
D
১৮৪৭-১৯১২
মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭–১৯১১)
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন একজন বিখ্যাত ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ই নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ছাত্রজীবনেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হন। সে সময় তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর’ এবং ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ নামক পত্রিকায় মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। এখান থেকেই তার সাহিত্যিক জীবনের সূচনা হয়। ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’র সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তার সাহিত্যজীবনের প্রথম অনুপ্রেরণা ও গুরু।
তিনি নিজেও ‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকরী’ নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
মীর মশাররফ হোসেন বঙ্কিমচন্দ্র যুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ গদ্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত। তিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথপ্রদর্শক বলেও গণ্য হন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম
✅ নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমিদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
✅ প্রহসন (হাস্যরসাত্মক নাট্যরচনা)
-
টালা অভিনয়
-
এর উপায় কী
-
ফাঁস কাগজ
-
ভাই ভাই, এই তো চাই
✅ উপন্যাস
-
বিষাদ-সিন্ধু (তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস)
✅ আত্মজীবনীমূলক রচনা
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
নোট: তার মৃত্যুর সাল অনেক বইয়ে ১৯১১ উল্লেখ করা হলেও বাংলাপিডিয়াতে এটি ১৯১২ সাল বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য

0
Updated: 1 month ago
'হিতকরী' পত্রিকা'র সম্পাদক কে?
Created: 1 week ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
শেখ আবদুর রহিম
C
আহমদ ছফা
D
কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য
‘হিতকরী’ পত্রিকা
-
‘হিতকরী’ পত্রিকা ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া থেকে মীর মশাররফ হোসেনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
-
পরবর্তীকালে এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোসলেম উদ্দীন খান।
-
এই পত্রিকায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হতো—
-
বাঙালি মুসলমানদের মাতৃভাষা বাংলাচর্চা, এবং
-
হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা।
-
অন্য উল্লেখযোগ্য পত্রিকা ও সম্পাদকগণ
-
হিতবাদী → কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য
-
সুধাকর → শেখ আবদুর রহিম
-
স্বদেশ → আহমদ ছফা
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago