A
বাংলা
B
ফারসি
C
তৎসম
D
আরবি
উত্তরের বিবরণ
তৎসম উপসর্গের সংখ্যা বিশটি।
এই উপসর্গগুলো হলো:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।
তৎসম উপসর্গ যেমন তৎসম (সংস্কৃত) শব্দের পূর্বে বসে অর্থ গঠন করে, তেমনি বাংলা উপসর্গও বাংলা শব্দের আগে বসে নতুন অর্থযুক্ত শব্দ গঠন করে।
তবে, কিছু উপসর্গ যেমন—আ, সু, বি, নি—এগুলো বাংলা উপসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও তৎসম শব্দের সঙ্গেও যুক্ত হয়ে তৎসম উপসর্গ হিসেবে কাজ করে।
বাংলা ও তৎসম উপসর্গের প্রধান পার্থক্য হলো:
যে শব্দের সঙ্গে উপসর্গ যুক্ত হয়, যদি তা বাংলা শব্দ হয়, তবে উপসর্গটি বাংলা; আর যদি তৎসম (সংস্কৃত) শব্দ হয়, তবে উপসর্গটিও তৎসম হিসেবে গণ্য হয়।
উদাহরণস্বরূপ:
আকণ্ঠ, সুতীক্ষ্ণ, বিপক্ষ, নিদাঘ — এই সবগুলোই তৎসম শব্দ। তাই, এখানে ব্যবহৃত আ, সু, বি, নি — উপসর্গগুলোও তৎসম উপসর্গ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 2 months ago
‘অবমূল্যায়ন’ ও ‘অবদান’ শব্দ দুটিতে ‘অব’ উপসর্গটি সম্পর্কে কোন মন্তব্যটি ঠিক?
Created: 2 months ago
A
শব্দ দুটিতে উপসর্গটি মোটামুটি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে
B
শব্দ দুটিতে উপসর্গটি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে
C
দুটি শব্দে উপসর্গটির অর্থ দুই রকম
D
দুটি শব্দে উপসর্গটির অর্থ আপাত-বিচারে ভিন্ন হলেও আসলে এক
• ‘অবমূল্যায়ন’ শব্দে ‘অব’ উপসর্গটি ‘হীনতা’ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে, আবার ‘অবদান’ শব্দে একই ‘অব’ উপসর্গটি ‘উৎকর্ষ’ অর্থ প্রকাশ করেছে।
• অর্থাৎ, একই তৎসম উপসর্গ দুটি ভিন্ন শব্দে ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যে শব্দাংশ বা খণ্ড ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে উপসর্গ বলা হয়।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গ তিনটি ভাগে বিভক্ত:
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
২. তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ
৩. বিদেশি উপসর্গ
খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গসমূহকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। মোট খাঁটি বাংলা উপসর্গের সংখ্যা ২১টি।
যেমন: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
লক্ষ্যণীয়: এদের মধ্যে আ, সু, বি, নি — এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও দেখা যায়।
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ:
যেসব উপসর্গ সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলায় এসেছে এবং ব্যবহৃত হচ্ছে, সেগুলো তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ নামে পরিচিত। মোট ২০টি তৎসম উপসর্গ বাংলায় ব্যবহৃত হয়।
যেমন: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
বিদেশি উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় দীর্ঘদিন ধরে আরবি, ফারসি, উর্দু, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষার বহু শব্দ চালু রয়েছে। এদের সঙ্গে কিছু বিদেশি উপসর্গও ব্যবহৃত হয়, তবে এসব উপসর্গের নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই।
উদাহরণ:
-
আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
-
উর্দু উপসর্গ: হর
-
ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ
তথ্যসূত্র:
-
প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ

0
Updated: 2 months ago
নিচের কোন দুটি বাংলা উপসর্গ?
Created: 2 months ago
A
অজ, অতি
B
আন, অনা
C
অতি, অভি
D
অনা, অতি
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
-
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত যেসব উপসর্গ সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ও দেশজ, তাদের খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়।
-
এ ধরনের উপসর্গ মোট ২১টি।
এই উপসর্গগুলো হলো:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
অপরদিকে,
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ হিসেবে গণ্য হয়:
অতি, অভি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago
প্র, পরা, অপ-
Created: 1 week ago
A
বাংলা উপসর্গ
B
সংস্কৃত উপসর্গ
C
বিদেশী উপসর্গ
D
উপসর্গ স্থানীয় অব্যয়
প্র,পরা, অপ ইত্যাদি সংস্কৃত উপসর্গ।
• উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যেসব শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে বলে উপসর্গ।
• বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. খাটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
৩. বিদেশি উপসর্গ।
• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যে সকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
• খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
[বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
• বিদেশি উপসর্গ:
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
• বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
- আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
- ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- উর্দু উপসর্গ: হর।
- ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 1 week ago