A
ভাল ও মন্দ
B
ন্যায় ও অন্যায়
C
নৈতিকতা ও অনৈতিকতা
D
উপরের সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ
-
ইংরেজি প্রতিশব্দ: Value
-
সংজ্ঞা: মূল্যবোধ হলো এমন নীতি ও মানদণ্ড যা মানুষের আচরণ ও সিদ্ধান্তকে পরিচালনা করে।
-
উৎস: পরিবার হলো মূল্যবোধের প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র, আর শিক্ষালয় হলো প্রাতিষ্ঠানিক উৎস।
-
ব্যাখ্যা: মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষ তার চিন্তাভাবনা, আশা-আকাঙ্খা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী কাজ করে। এটি মানুষকে তার আচরণ ও কার্যকলাপে সঠিক দিশা দেখায়।
-
প্রকৃতি: মূল্যবোধ স্থায়ী নয়; সময় ও পরিবেশ অনুযায়ী এটি পরিবর্তিত হতে পারে।
-
উদাহরণ: শিষ্টাচার, সততা, ন্যায়বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলাবোধ ও মানবিক আচরণ—all এগুলো মূল্যবোধের অংশ।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
-
যে সমস্ত চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শ মানুষের আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের সমষ্টিই মূল্যবোধ।
-
মূল্যবোধের সাহায্যে মানুষ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিকতা-অনৈতিকতা ইত্যাদি বিচার করে।
-
চিরন্তন মূল্যবোধ হলো সত্য ও ন্যায়, আর এর বিপরীতে দাঁড়ায় সার্থকতা, শঠতা, অসহিষ্ণুতা।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 18 hours ago
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ কাকে বলা হয়?
Created: 6 days ago
A
রাজনীতি
B
বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়
C
সংবাদ মাধ্যম
D
যুবশক্তি
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমকে “চতুর্থ স্তম্ভ” বলা হয়। কারণ, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্র ও সমাজে সত্য ঘটনা তুলে ধরে জনগণকে সচেতন করে তোলে।
তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না হয়, কিংবা যদি কোনো স্বার্থে অসত্য বা ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানো হয়, তবে তা জাতি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতামত:
-
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা থমাস জেফারসন একবার বলেছিলেন—
“আমাকে যদি বিকল্প দেওয়া হয়— সংবাদপত্রবিহীন সরকার, নাকি সরকারবিহীন সংবাদপত্র— তবে আমি দ্বিতীয়টিই বেছে নেব।” -
ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন—
“চারটি আক্রমণাত্মক সংবাদপত্র হাজার বেয়নেটের চেয়েও ভয়ংকর।” -
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, যেখানে স্বাধীন গণমাধ্যম থাকে, সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার সুযোগ থাকে না।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধান স্তম্ভসমূহ:
সংবাদমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও, মূলত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। এগুলো হলো—
১. আইন বিভাগ
২. শাসন বিভাগ
৩. বিচার বিভাগ
এই তিনটি স্তম্ভ একে অপরকে ভারসাম্য বজায় রেখে শাসনকার্য পরিচালনায় সহায়তা করে।
উৎস: কালের কণ্ঠ, ১০ জানুয়ারি ২০১৮, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 6 days ago
সুশাসনের কোন নীতি সংগঠনের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করে?
Created: 18 hours ago
A
অংশগ্রহণ
B
জবাবদিহিতা
C
স্বচ্ছতা
D
সাম্য ও সমতা
সুশাসনের নীতি
সুশাসনে বেশ কয়েকটি নীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেমন— অংশগ্রহণ, জবাবদিহিতা, সাম্য ও সমতা, স্বচ্ছতা ইত্যাদি। এর মধ্যে অংশগ্রহণের নীতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সংগঠনের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করে।
অংশগ্রহণের নীতির গুরুত্ব
অংশগ্রহণ মানে হলো— সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক স্তরের মানুষকে যুক্ত করা। এর মাধ্যমে:
-
সদস্যদের মতামত ও উদ্বেগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, ফলে তারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ পায়।
-
সংস্থার ভেতরের প্রত্যেক সদস্য সক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে, যা তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়।
-
অংশগ্রহণ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যেখানে অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। এতে সংগঠন আরও স্বচ্ছ ও স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়।
যদিও জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, সাম্য ইত্যাদি অন্য নীতিগুলোও সুশাসনে গুরুত্বপূর্ণ, তবে অংশগ্রহণ সরাসরি স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে বেশি কার্যকর।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 18 hours ago
কোন বছর ইউএনডিপি (UNDP) সুশাসনের সংজ্ঞা প্রবর্তন করে?
Created: 18 hours ago
A
১৯৯৫
B
১৯৯৭
C
১৯৯৮
D
১৯৯৯
UNDP ও সুশাসন
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) ১৯৯৭ সালে প্রথমবার উন্নয়নশীল দেশগুলোর শাসনব্যবস্থা ও নীতি নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু করে। তখনই তারা সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
🔹 UNDP-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী:
“একটি দেশের সামগ্রিক কার্যাবলি পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তৃত্ব যে পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হয়, তাকেই সুশাসন বলা হয়।”
(Good Governance is the exercise of economic, political and administrative authority to manage a country’s affairs at all levels – UNDP, 1997)
UNDP-এর মতে সুশাসনের ৯টি মূল উপাদান
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
আইনের শাসন (Rule of Law)
-
সকলের অংশগ্রহণ (Participation)
-
সংবেদনশীলতা (Responsiveness)
-
সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের প্রাধান্য (Consensus Oriented)
-
সমতা (Equity)
-
ন্যায্যতা (Fairness/Effectiveness)
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
-
কৌশলগত লক্ষ্য/দূরদৃষ্টি (Strategic Vision)
উৎস: UNDP অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (1997, Governance Policy Paper)

0
Updated: 18 hours ago