A
আইন
B
প্রতীক
C
ভাষা
D
মূল্যবোধ
উত্তরের বিবরণ
সংস্কৃতি
-
Culture শব্দটির ইংরেজি অর্থ এসেছে to cultivate অর্থাৎ "চাষ করা" বা "কৃষিকাজ করা" থেকে।
-
মানুষ তার জীবনকে আরামদায়ক ও উন্নত করার জন্য এবং চারপাশের পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে যে সমস্ত কাজ বা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, তাই হলো সংস্কৃতি।
সংস্কৃতির ধরন
সংস্কৃতি সাধারণভাবে দুই ভাগে বিভক্ত—
-
বস্তুগত সংস্কৃতি – যেসব সংস্কৃতি চোখে দেখা যায় ও স্পর্শ করা যায়। যেমন—বস্তু, শিল্পকর্ম, পোশাক ইত্যাদি।
-
অবস্তুগত সংস্কৃতি – যেসব সংস্কৃতি অনুভব করা যায় কিন্তু দেখা বা স্পর্শ করা যায় না। যেমন—ভাষা, বিশ্বাস, আচরণবিধি ইত্যাদি।
সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য
-
এক সমাজে যা সংস্কৃতি হিসেবে গ্রহণযোগ্য, অন্য সমাজে তা অপসংস্কৃতি বলে বিবেচিত হতে পারে।
-
রাষ্ট্রভেদে সংস্কৃতি ভিন্ন হয়।
-
সংস্কৃতিতে সর্বজনীন (Universal) কিছু নেই। তবে কয়েকটি সাধারণ উপাদান সব দেশে পাওয়া যায়।
সংস্কৃতির সাধারণ উপাদান
-
ভাষা
-
প্রতীক
-
আচরণবিধি
-
হস্তশিল্প
-
নৈতিকতা
-
মূল্যবোধ
-
পরিবর্তিত আচরণ ও বিশ্বাস
-
আচার-অনুষ্ঠান
তবে মনে রাখতে হবে—আইন সংস্কৃতির উপাদান নয়।
উৎস: সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 18 hours ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে-
Created: 1 week ago
A
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
B
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন
C
সামাজিক উন্নয়ন
D
সবগুলোই
সুশাসনের ধারণা ও এর পূর্বশর্ত
সুশাসনের মূল পূর্বশর্ত হলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন। সহজভাবে বলতে গেলে, সুশাসন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শাসন ও সুশাসন:
-
শাসন বলতে বোঝায় ক্ষমতার প্রয়োগ, জনগণের চাহিদা-দাবির প্রতি সাড়া দেওয়া এবং একটি জনসমষ্টি পরিচালনার প্রক্রিয়া।
-
এটি কোনো নতুন বিষয় নয়; শাসন ধারণা মানব সভ্যতার শুরু থেকেই বিদ্যমান।
-
বিশ্বজুড়ে শাসনের অর্থ ও সীমা নিয়ে নানা আলোচনা ও বিতর্ক রয়েছে।
সুশাসন কীভাবে বোঝা যায়
-
এটি শুধুমাত্র সরকারের কার্যক্রম নয়, বরং জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক ন্যায্যতা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া।
-
সুশাসনের মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ রক্ষা পায়।
-
সুশাসন বহুমাত্রিক ধারণা; সাধারণত এটি চারটি অংশে বিভক্ত হয়:
-
রাজনৈতিক সুশাসন
-
সামাজিক সুশাসন
-
অর্থনৈতিক সুশাসন
-
সাংস্কৃতিক সুশাসন
-
ব্যবহারের ক্ষেত্র
সুশাসন শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা যায়, যেমন: আন্তর্জাতিক শাসন, জাতীয় শাসন, স্থানীয় শাসন এবং যৌথ শাসন। আজকের দিনে সুশাসনকে দেশের উন্নয়নের দিকনির্দেশনা হিসেবে দেখা হয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago
ব্যক্তি সহনশীলতার শিক্ষা লাভ করে -
Created: 18 hours ago
A
সুশাসনের শিক্ষা থেকে
B
আইনের শিক্ষা থেকে
C
মূল্যবোধের শিক্ষা থেকে
D
কর্তব্যবোধ থেকে
সহনশীলতা
সহনশীলতা একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের অন্যতম প্রধান গুণ। এটি শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো সহনশীলতা, কারণ গণতন্ত্র টিকে থাকতে হলে ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করার মানসিকতা থাকতে হয়।
অন্যের মতামত বা আচরণ আমাদের সাথে না মিললেও সেটিকে সম্মান করার মধ্যেই প্রকৃত সহিষ্ণুতা প্রকাশ পায়। সহনশীলতা থাকলে সমাজে অশান্তি ও উত্তেজনা কমে যায় এবং সুখী ও সুন্দর সমাজ গড়ে ওঠে।
ব্যক্তির নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা থেকেই সহনশীলতার মানস গড়ে ওঠে। তাই ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন—সব ক্ষেত্রেই সহনশীলতা অপরিহার্য।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 18 hours ago
নৈতিকতাকে বলা হয় মানবজীবনের -
Created: 1 week ago
A
নৈতিক শক্তি
B
নৈতিক বিধি
C
নৈতিক আদর্শ
D
সবগুলোই
নৈতিকতা
নৈতিকতা হলো মানবজীবনের নৈতিক আদর্শ বা ন্যায়বোধ। এটি মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি। নৈতিকতা মানসিক বা মানসিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় এবং মানুষের আচরণ, বিবেক ও মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হয়।
এটি কেবল ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মানুষের মানসিক আচরণ ও সমাজে চলাচলের নিয়ম নির্ধারণ করে।
মূল বিষয়:
-
নৈতিকতা হলো মানুষের ভিতরে থাকা ন্যায়ের ধারণা।
-
এটি মানুষের মানসিক বা অন্তর্নিহিত বিষয়।
-
নৈতিকতা বিবেক ও মূল্যবোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
এটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago