A
অংশগ্রহণ
B
জবাবদিহিতা
C
স্বচ্ছতা
D
সাম্য ও সমতা
উত্তরের বিবরণ
সুশাসনের নীতি
সুশাসনে বেশ কয়েকটি নীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেমন— অংশগ্রহণ, জবাবদিহিতা, সাম্য ও সমতা, স্বচ্ছতা ইত্যাদি। এর মধ্যে অংশগ্রহণের নীতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সংগঠনের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করে।
অংশগ্রহণের নীতির গুরুত্ব
অংশগ্রহণ মানে হলো— সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক স্তরের মানুষকে যুক্ত করা। এর মাধ্যমে:
-
সদস্যদের মতামত ও উদ্বেগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, ফলে তারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ পায়।
-
সংস্থার ভেতরের প্রত্যেক সদস্য সক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে, যা তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়।
-
অংশগ্রহণ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যেখানে অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। এতে সংগঠন আরও স্বচ্ছ ও স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়।
যদিও জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, সাম্য ইত্যাদি অন্য নীতিগুলোও সুশাসনে গুরুত্বপূর্ণ, তবে অংশগ্রহণ সরাসরি স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে বেশি কার্যকর।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 18 hours ago
Johannesburg Plan of Implementation সুশাসনের সঙ্গে নিচের কোন বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়?
Created: 1 week ago
A
টেকসই উন্নয়ন
B
সাংস্কৃতিক উন্নয়ন
C
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন
D
উপরের কোনোটিই নয়
Johannesburg Plan of Implementation এবং টেকসই উন্নয়ন
-
Johannesburg Plan of Implementation কে সাধারণত জোহান্সবার্গ ঘোষণা নামেও জানা যায়।
-
এটি গৃহীত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গ শহরে ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনে।
-
এই পরিকল্পনা মূলত সুশাসনের সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন (Sustainable Development) এর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি।
মূল তথ্য:
-
জোহান্সবার্গ প্ল্যান হলো জাতিসংঘের একটি কর্মপরিকল্পনা, যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারী প্রতিনিধি, এনজিও, ব্যবসা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার নেতাদের অংশগ্রহণে গৃহীত।
-
এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সঙ্গে খাদ্য, পানি, আশ্রয়, স্যানিটেশন, জ্বালানি, স্বাস্থ্য সেবা এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পাশাপাশি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি করা।
-
মূলত, এটি সুশাসনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার দিকে জোর দেয়।
উৎস: UN ওয়েবসাইট, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচীর ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago
নৈতিকতাকে বলা হয় মানবজীবনের -
Created: 1 week ago
A
নৈতিক শক্তি
B
নৈতিক বিধি
C
নৈতিক আদর্শ
D
সবগুলোই
নৈতিকতা
নৈতিকতা হলো মানবজীবনের নৈতিক আদর্শ বা ন্যায়বোধ। এটি মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি। নৈতিকতা মানসিক বা মানসিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় এবং মানুষের আচরণ, বিবেক ও মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হয়।
এটি কেবল ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মানুষের মানসিক আচরণ ও সমাজে চলাচলের নিয়ম নির্ধারণ করে।
মূল বিষয়:
-
নৈতিকতা হলো মানুষের ভিতরে থাকা ন্যায়ের ধারণা।
-
এটি মানুষের মানসিক বা অন্তর্নিহিত বিষয়।
-
নৈতিকতা বিবেক ও মূল্যবোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
এটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago
'সুশাসন' শব্দটি সর্বপ্রথম কোন সংস্থা সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে?
Created: 1 week ago
A
জাতিসংঘ
B
ইউএনডিপি
C
বিশ্বব্যাংক
D
আইএমএফ
সুশাসন (Good Governance) এবং বিশ্বব্যাংক
-
সুশাসন শব্দটি প্রথমবারের মতো ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষায় ব্যবহার করা হয়।
-
বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, সুশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি দেশ তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে দক্ষভাবে ব্যবস্থাপনা ও ক্ষমতার প্রয়োগ করে।
-
বিশ্বব্যাংক একটি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথমবার উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে সুশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরে।
-
১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘শাসন প্রক্রিয়া ও উন্নয়ন’ রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক আরও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে যে, অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন অবহেলা বা ব্যর্থতার পেছনে মূল কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন : একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী : প্রথমপত্র, মো. মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 week ago