A
সুশাসনের শিক্ষা থেকে
B
আইনের শিক্ষা থেকে
C
মূল্যবোধের শিক্ষা থেকে
D
কর্তব্যবোধ থেকে
উত্তরের বিবরণ
সহনশীলতা
সহনশীলতা একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের অন্যতম প্রধান গুণ। এটি শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো সহনশীলতা, কারণ গণতন্ত্র টিকে থাকতে হলে ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করার মানসিকতা থাকতে হয়।
অন্যের মতামত বা আচরণ আমাদের সাথে না মিললেও সেটিকে সম্মান করার মধ্যেই প্রকৃত সহিষ্ণুতা প্রকাশ পায়। সহনশীলতা থাকলে সমাজে অশান্তি ও উত্তেজনা কমে যায় এবং সুখী ও সুন্দর সমাজ গড়ে ওঠে।
ব্যক্তির নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা থেকেই সহনশীলতার মানস গড়ে ওঠে। তাই ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন—সব ক্ষেত্রেই সহনশীলতা অপরিহার্য।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 18 hours ago
নিচের কোন রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করেছে?
Created: 18 hours ago
A
শাসন প্রক্রিয়া ও মানব উন্নয়ন
B
শাসন প্রক্রিয়া এবং সুশাসন
C
শাসন প্রক্রিয়া এবং নৈতিক শাসন প্রক্রিয়া
D
শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
‘সুশাসন’ বা Good Governance ধারণাটি প্রথম আলোচনায় আনে বিশ্বব্যাংক।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবারের মতো সুশাসন শব্দটি ব্যবহার করা হয়। সেখানে বলা হয়— উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনুন্নয়নের মূল কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP মনে করে, সুশাসনের মাধ্যমে একটি দেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারে।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা
-
১৯৯২ সালে প্রকাশিত "Governance and Development" রিপোর্টে বলা হয়—
“Governance is the manner in which power is exercised in the management of a country’s economic and social resources for development.”
অর্থাৎ, একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় ক্ষমতা প্রয়োগের ধরনই হলো Governance বা শাসন প্রক্রিয়া। -
আবার ১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক গভর্নেন্সকে ব্যাখ্যা করে—
“সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের প্রক্রিয়াই হলো Governance।” -
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক জানায় যে, সুশাসন মূলত চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 18 hours ago
নৈতিকতাকে বলা হয় মানবজীবনের -
Created: 1 week ago
A
নৈতিক শক্তি
B
নৈতিক বিধি
C
নৈতিক আদর্শ
D
সবগুলোই
নৈতিকতা
নৈতিকতা হলো মানবজীবনের নৈতিক আদর্শ বা ন্যায়বোধ। এটি মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি। নৈতিকতা মানসিক বা মানসিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় এবং মানুষের আচরণ, বিবেক ও মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হয়।
এটি কেবল ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মানুষের মানসিক আচরণ ও সমাজে চলাচলের নিয়ম নির্ধারণ করে।
মূল বিষয়:
-
নৈতিকতা হলো মানুষের ভিতরে থাকা ন্যায়ের ধারণা।
-
এটি মানুষের মানসিক বা অন্তর্নিহিত বিষয়।
-
নৈতিকতা বিবেক ও মূল্যবোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
এটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago
মানুষের কোন ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়?
Created: 1 week ago
A
ঐচ্ছিক ক্রিয়া
B
অনৈচ্ছিক ক্রিয়া
C
ইচ্ছা নিরপেক্ষ ক্রিয়া
D
ক ও গ নামক ক্রিয়া
নীতিবিদ্যা (Ethics)
নীতিবিদ্যা বা Ethics শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ “আচরণের ধরন” বা “ঐচ্ছিক আচরণ”। নীতিবিদ্যার মূল কাজ হলো মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্যায়ন করা এবং তার আদর্শ নির্ধারণ করা। এটি মানুষের আচরণের নিয়ম-কানুন বা রীতিনীতি সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞান।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। ঐচ্ছিক আচরণ বলতে সেই আচরণকে বোঝায়, যা মানুষ নিজের ইচ্ছায়, সচেতনভাবে করে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, উইলিয়াম লিলি তাঁর বই An Introduction to Ethics-এ নীতিবিদ্যার সংজ্ঞা দিয়েছেন:
“নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।”
সংক্ষেপে বলা যায়,
নীতিবিদ্যা হলো এমন একটি জ্ঞানশাখা যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত, যথার্থতা-অযথার্থতা নির্ধারণ করে, আচরণের মানদণ্ড ও নিয়মাবলী নির্ধারণ করে এবং এগুলোর প্রয়োগ বিশ্লেষণ করে।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, Britannica.

0
Updated: 1 week ago