কোনটি ধরনবাচক ক্রিয়া বিশেষণ?
A
যথাসময়ে
B
সামনে
C
টিপ টিপ
D
না
উত্তরের বিবরণ
ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ
— যখন কোনো ক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হচ্ছে তা বোঝায়, তখন সেই বিশেষণকে ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ বলা হয়।
উদাহরণ:
— টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে।
— ঠিকভাবে চললে কেউ কিছু বলবে না।
এর বিপরীতে, অন্যান্য ধরণের ক্রিয়াবিশেষণ হলো:
-
কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: যথাসময়ে সে হাজির হয়।
-
স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়।
-
নেতিবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: তিনি আর এখন ক্রিকেট খেলেন না।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)।

0
Updated: 3 months ago
’চলন্ত গাড়ি’-এখানে ’চলন্ত’ কোন ধরনের বিশেষণ?
Created: 2 days ago
A
অবস্থাবাচক
B
গুণবাচক
C
উপাদানবাচক
D
বর্ণবাচক
বিশেষণের শ্রেণিবিভাগ
বর্ণবাচক বিশেষণ:
যে বিশেষণ দিয়ে রং নির্দেশ করা হয়।
উদাহরণ: নীল আকাশ, সবুজ মাঠ, লাল ফিতা।
এখানে নীল, সবুজ, লাল হলো বর্ণবাচক বিশেষণ।
গুণবাচক বিশেষণ:
যে বিশেষণ দিয়ে গুণ বা বৈশিষ্ট্য বোঝানো হয়।
উদাহরণ: চালাক ছেলে, ঠান্ডা পানি।
এখানে চালাক, ঠান্ডা গুণবাচক বিশেষণ।
অবস্থাবাচক বিশেষণ:
যে বিশেষণ দিয়ে অবস্থা বোঝানো হয়।
উদাহরণ: চলন্ত ট্রেন, তরল পদার্থ।
এখানে চলন্ত, তরল অবস্থাবাচক বিশেষণ।
ক্রমবাচক বিশেষণ:
যে বিশেষণ দিয়ে ক্রমসংখ্যা বোঝানো হয়।
উদাহরণ: এক টাকা, আট দিন।
এখানে এক, আট ক্রমবাচক বিশেষণ।
পূর্ণবাচক বিশেষণ:
যে বিশেষণ দিয়ে পূর্ণসংখ্যা বোঝানো হয়।
উদাহরণ: তৃতীয় প্রজন্ম, ৩৪তম অনুষ্ঠান।
এখানে তৃতীয়, ৩৪তম পূর্ণবাচক বিশেষণ।
পরিমাণবাচক বিশেষণ:
যে বিশেষণ দিয়ে পরিমাণ বা আয়তন বোঝানো হয়।
উদাহরণ: আধা কেজি চাল, অনেক লোক।
এখানে আধা কেজি, অনেক পরিমাণবাচক বিশেষণ।
উপাদানবাচক বিশেষণ:
যে বিশেষণ দিয়ে উপাদান বোঝানো হয়।
উদাহরণ: বেলে মাটি, পাথুরে মূর্তি।
এখানে বেলে, পাথুরে উপাদানবাচক বিশেষণ।
প্রশ্নবাচক বিশেষণ:
যে বিশেষণ দিয়ে প্রশ্ন বোঝানো হয়।
উদাহরণ: কেমন গান? কতক্ষণ সময়?
এখানে কেমন, কতক্ষণ প্রশ্নবাচক বিশেষণ।
নির্দিষ্টতাবাচক বিশেষণ:
যে বিশেষণ দিয়ে বিশেষিত শব্দকে নির্দিষ্ট করা হয়।
উদাহরণ: এই দিনে, সেই সময়।
এখানে এই, সেই নির্দিষ্টতাবাচক বিশেষণ।
ভাববাচক বিশেষণ:
যেসব বিশেষণ অন্য বিশেষণকে বিশেষিত করে।
উদাহরণ: খুব ভালো খবর, গাড়িটা বেশ জোরে চলছে।
এখানে খুব, বেশ ভাববাচক বিশেষণ।

0
Updated: 2 days ago