মূল্যবোধ পরীক্ষা করে -
A
ভাল ও মন্দ
B
ন্যায় ও অন্যায়
C
নৈতিকতা ও অনৈতিকতা
D
উপরের সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ
-
ইংরেজি প্রতিশব্দ: Value
-
সংজ্ঞা: মূল্যবোধ হলো এমন নীতি ও মানদণ্ড যা মানুষের আচরণ ও সিদ্ধান্তকে পরিচালনা করে।
-
উৎস: পরিবার হলো মূল্যবোধের প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র, আর শিক্ষালয় হলো প্রাতিষ্ঠানিক উৎস।
-
ব্যাখ্যা: মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষ তার চিন্তাভাবনা, আশা-আকাঙ্খা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী কাজ করে। এটি মানুষকে তার আচরণ ও কার্যকলাপে সঠিক দিশা দেখায়।
-
প্রকৃতি: মূল্যবোধ স্থায়ী নয়; সময় ও পরিবেশ অনুযায়ী এটি পরিবর্তিত হতে পারে।
-
উদাহরণ: শিষ্টাচার, সততা, ন্যায়বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলাবোধ ও মানবিক আচরণ—all এগুলো মূল্যবোধের অংশ।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
-
যে সমস্ত চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শ মানুষের আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের সমষ্টিই মূল্যবোধ।
-
মূল্যবোধের সাহায্যে মানুষ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিকতা-অনৈতিকতা ইত্যাদি বিচার করে।
-
চিরন্তন মূল্যবোধ হলো সত্য ও ন্যায়, আর এর বিপরীতে দাঁড়ায় সার্থকতা, শঠতা, অসহিষ্ণুতা।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 month ago
“রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সুশাসন আবশ্যক।” কে এই উক্তি করেন?
Created: 1 month ago
A
এইচ. ডি, স্টেইন
B
জন স্মিথ
C
মিশেল ক্যামডেসাস
D
এম, ডব্লিউ, পামফ্রে
সুশাসন হলো একটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রত্যাশা ও অধিকার সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যম। সুশাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয় এবং সব ধরনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে।
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP-এর মতে, সুশাসনের মাধ্যমেই নাগরিকরা তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং তাদের অধিকার ভোগ করতে পারে।
-
একটি রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
-
সব ধরনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিকাশের জন্য সুশাসন অপরিহার্য।
-
তাত্ত্বিক মিশেল ক্যামডেসাস (Michel Camdessus) বলেছেন, 'রাষ্ট্রের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক' (Good Governance is important for countries at all stages of development)।
-
জাতিসংঘের আফ্রিকা অঞ্চলের বিশেষ উপদেষ্টা ইব্রাহিম গানবারি উল্লেখ করেছেন, 'যে সমস্ত রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শুধুমাত্র সে সমস্ত দেশেই ঋণ মওকুফ করা হবে'।

0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে-
Created: 1 month ago
A
মত প্রকাশের স্বাধীনতা
B
প্রশাসনের নিরপেক্ষতা
C
নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
D
নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
সুশাসন এবং এর পূর্বশর্ত
সুশাসন বলতে বোঝায় একটি দেশের প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার এমন অবস্থা যেখানে সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ন্যায়নিষ্ঠভাবে, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধভাবে পরিচালিত হয়। সুশাসনের মূল লক্ষ্য হলো জনকল্যাণ নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি ও কুশাসন কমানো।
-
ইংরেজিতে: Good Governance
-
ধারণার উৎস: বিশ্বব্যাংক
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথম সুশাসনের ধারণা প্রদান করে।
-
১৯৯২ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথম সুশাসনের সংজ্ঞা দেয়।
-
সুশাসনের গুরুত্ব:
-
দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক।
-
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য।
-
সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সুশাসনের মূল নীতি:
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
সুশাসনের পূর্বশর্তসমূহ:
-
আইনের শাসন – দেশের সকল নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠান আইনের প্রতি সম্মান দেখায়।
-
স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা – প্রশাসন খোলামেলা এবং নাগরিকদের জন্য বোঝার উপযোগী হয়।
-
দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব প্রশাসন – সেবা জনগণের কল্যাণমুখী হয়।
-
অংশগ্রহণমূলক সরকার ব্যবস্থা – জনগণ নীতি প্রণয়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিতে পারে।
-
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা স্বাধীন প্রচারমাধ্যম – জনগণ তথ্য পায় এবং নিজের মত প্রকাশ করতে পারে।
-
দায়বদ্ধতা (Responsibility) – কর্মকর্তারা তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি থাকে।
-
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ – কেন্দ্রীয় শক্তি সীমিত করে স্থানীয় ও নিম্নতর স্তরে ক্ষমতা প্রদান।
-
রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুরক্ষা – রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা এবং স্বাধীন নির্বাচন।
-
বাকস্বাধীনতা – জনগণ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে।
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও বৈধতা – আইন প্রয়োগে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি, পৌরনীতি ও সুশাসন; প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধ শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে -
Created: 1 month ago
A
দুর্নীতি রোধ করা
B
সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা
C
রাজনৈতিক অবক্ষয় রোধ করা
D
সাংস্কৃতিক অবরোধ রক্ষণ করা
মূল্যবোধ শিক্ষার লক্ষ্য ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ
মূল্যবোধ শিক্ষা আমাদের সমাজে সঠিক আচরণ ও শিষ্টাচার রক্ষা করতে সহায়তা করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করা।
সামাজিক মূল্যবোধ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষ এবং সমাজের আচরণ নিয়ন্ত্রণের নিয়ম।
-
এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
-
সামাজিক মূল্যবোধের মধ্যে থাকে: শিষ্টাচার, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়-বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শ্রমের মর্যাদা, শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা, দানশীলতা, উদারতা ইত্যাদি।
-
সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়।
সামাজিক অবক্ষয়:
-
সামাজিক অবক্ষয় হলো মূল্যবোধের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি।
-
সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব ও অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। যখন এই মূল্যবোধগুলো দুর্বল হয় বা নষ্ট হয়, তখন সমাজে অবক্ষয় দেখা দেয়।
-
সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে:
-
আইন শৃঙ্খলার দুর্বলতা
-
মানুষের সহনশীলতার অভাব
-
বিশৃঙ্খল পরিবেশ
-
ধর্মীয় বা নৈতিক ভুল ব্যাখ্যা, যেমন: কোনো বিষয়ে ভুল ফতোয়া বা নির্দেশের মাধ্যমে মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করা।
-
-
তাই, আইনের শাসন ও সামাজিক নীতি মানার শিক্ষা সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১মপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago