নিচের কোনটি সুশাসনের উপাদান নয়?
A
অংশগ্রহণ
B
স্বচ্ছতা
C
নৈতিক শাসন
D
জবাবদিহিতা
উত্তরের বিবরণ
সুশাসনের উপাদান
সাধারণভাবে সুশাসন বলতে এমন এক প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যা একটি দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বাড়ে। একই সঙ্গে সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সমাজে ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। সুশাসনের ভিত্তি হলো নৈতিকতা ও মূল্যবোধ।
সুশাসনের প্রধান উপাদানগুলো হলো
-
গণতন্ত্র
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
স্বচ্ছতা
-
বৈধতা
-
দায়িত্বশীলতা
-
জবাবদিহিতা
-
জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
-
স্বাধীন গণমাধ্যম
-
অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া
-
আইনের শাসন
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
-
জনবান্ধব প্রশাসন
-
সততা
-
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা
-
সুশীল সমাজের ভূমিকা
-
দক্ষতা
-
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
-
বিকেন্দ্রীকরণ
-
লিঙ্গ বৈষম্যের অনুপস্থিতি
-
সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি – মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 month ago
বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশে সুশাসনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
স্বজনপ্রীতি
B
দুর্নীতি
C
স্বেচ্ছাচারিতা
D
বর্ণিত সবগুলো
সুশাসন (Good Governance):
-
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা।
-
মানে হলো যথার্থরূপে শাসন বা ভালোভাবে শাসন।
-
সুশাসনের পূর্বশর্ত হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। এগুলো ছাড়া দুর্নীতি রোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
-
অংশগ্রহণ ও ই-গভর্ন্যান্স সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।
-
প্রধান অন্তরায়: স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা, স্বেচ্ছাচারিতা।
বিশ্বব্যাংকের মতে:
-
বাংলাদেশে সুশাসনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
-
দুর্নীতির কারণে গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসনের পথ বাধাপ্রাপ্ত।
-
সরকারি সুযোগ-সুবিধা সীমিত হচ্ছে; ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা সুবিধা লুটছে।
-
দুর্নীতির সংস্কৃতি লক্ষ্যণীয়: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভূমি প্রশাসন, জন প্রশাসন, ব্যাংকিং, বিদ্যুৎ, স্থানীয় সরকার, বাজার ব্যবস্থাপনা থেকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ পর্যন্ত।

0
Updated: 1 month ago
“রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সুশাসন আবশ্যক।” কে এই উক্তি করেন?
Created: 1 month ago
A
এইচ. ডি, স্টেইন
B
জন স্মিথ
C
মিশেল ক্যামডেসাস
D
এম, ডব্লিউ, পামফ্রে
সুশাসন হলো একটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রত্যাশা ও অধিকার সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যম। সুশাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয় এবং সব ধরনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে।
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP-এর মতে, সুশাসনের মাধ্যমেই নাগরিকরা তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং তাদের অধিকার ভোগ করতে পারে।
-
একটি রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
-
সব ধরনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিকাশের জন্য সুশাসন অপরিহার্য।
-
তাত্ত্বিক মিশেল ক্যামডেসাস (Michel Camdessus) বলেছেন, 'রাষ্ট্রের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক' (Good Governance is important for countries at all stages of development)।
-
জাতিসংঘের আফ্রিকা অঞ্চলের বিশেষ উপদেষ্টা ইব্রাহিম গানবারি উল্লেখ করেছেন, 'যে সমস্ত রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শুধুমাত্র সে সমস্ত দেশেই ঋণ মওকুফ করা হবে'।

0
Updated: 1 month ago
“সুশাসন চারটি স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল” - এই অভিমত কোন সংস্থা প্রকাশ করে?
Created: 1 month ago
A
জাতিসংঘ
B
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি
C
বিশ্বব্যাংক
D
এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক
বিশ্বব্যাংক এবং সুশাসনের ধারণা মূলত বিশ্বব্যাংক কর্তৃক প্রবর্তিত। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষায় প্রথমবার ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহার করা হয়। একটি রাষ্ট্রে যদি সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে সেই রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক সংজ্ঞায় উল্লেখ করে, ‘সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই হলো গভর্নেন্স।’ পরে, ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক ঘোষণা করে যে, সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন চারটি মূল স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল।
-
দায়িত্বশীলতা
-
স্বচ্ছতা
-
আইনি কাঠামো
-
অংশগ্রহণ

0
Updated: 1 month ago