A
পরাকাষ্ঠা
B
পরাক্লান্ত
C
পরায়ণ
D
পরাভব
উত্তরের বিবরণ
বিপরীত অর্থে 'পরা' উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে - পরাজয়, পরাভব৷ আতিশয্য অর্থে 'পরা' উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে - পরাকাষ্ঠ, পরায়ণ, পরাক্রান্ত৷

0
Updated: 20 hours ago
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
নিরঞ্জনের রুষ্মা
B
দোহাকোষ
C
গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস
D
ময়নামতির গান
চর্যাপদ
-
সংজ্ঞা: চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ/গানের সংকলন। এটি আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
আবিষ্কার ও প্রকাশ: ১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ আধুনিক লিপিতে এটি প্রকাশ করে।
-
সম্পাদনা: হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে পুথিটি প্রকাশিত হয়।
-
রচয়িতা ও বিষয়বস্তু: চর্যাপদের গানগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন। এতে বৌদ্ধধর্মের চিন্তা-ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে।
-
কবির সংখ্যা ও পদসংখ্যা:
-
সুকুমার সেনের মতে ২৪ জন কবির নাম পাওয়া যায় এবং পদসংখ্যা ৫১টি; তবে তিনি ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদ উল্লেখ করেছেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘Buddhist Mystic Songs’-এ ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদ উল্লেখ করেছেন।
-
-
অনুবাদ: চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র। ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
অন্যান্য সাহিত্য নিদর্শন:
-
‘নিরঞ্জনের রুষ্মা’ – অন্ধকার যুগের সাহিত্য নিদর্শন।
-
শুকুর মহম্মদের গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস ও ভবানী দাসের ময়নামতির গান – নাথ সাহিত্য তথা মধ্যযুগের সাহিত্য নিদর্শন।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
ভাবে সপ্তমীর উদাহরণ কোনটি?
Created: 20 hours ago
A
আমাদের সেনারা যুদ্ধে অপরাজেয়
B
একদা ভানুর প্রভাতে ফুটিল কমল কলি
C
চন্দ্রোদয়ে কুমুদিনি বিকশিত হয়
D
প্রভাতে উঠিল রবি লোহিত বরণ
যদি কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনোরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তবে তাকে ভাবাধিকরণ বলে৷ ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয় বলে একে ভাবে সপ্তমীও বলা হয়ে থাকে৷ যেমন - সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়, কান্নায় শোক মন্দীভূত হয়, হাসিতে মুক্তা ঝরে, জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ৷

0
Updated: 20 hours ago
'গিন্নি' কোন শ্রেণির শব্দ?
Created: 3 days ago
A
দেশি
B
বিদেশি
C
তদ্ভব
D
অর্ধ-তৎসম
অর্ধ-তৎসম শব্দ
বাংলা ভাষায় অনেক সংস্কৃত শব্দ সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের শব্দকে বলা হয় অর্ধ-তৎসম শব্দ।
-
‘তৎসম’ মানে হচ্ছে সরাসরি সংস্কৃত শব্দ।
-
আর ‘অর্ধ-তৎসম’ বলতে বোঝায় আধা সংস্কৃত বা কিছুটা পরিবর্তিত রূপ।
উদাহরণ
👉 গিন্নি একটি অর্ধ-তৎসম শব্দ।
এটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ গৃহিণী থেকে। উচ্চারণ ও রূপে সামান্য পরিবর্তন হয়ে বাংলায় গিন্নি রূপে প্রচলিত হয়েছে।
অতিরিক্ত তথ্য
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণের সর্বশেষ (২০১৯) সংস্করণে শব্দের শ্রেণিবিভাগ থেকে অর্ধ-তৎসম শব্দের আলাদা শ্রেণি রাখা হয়নি। তবে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এখনো এ বিষয় থেকে প্রশ্ন আসে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক।
উৎসঃ বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান

0
Updated: 3 days ago