বিপরীতার্থে ‘পরা’ উপসর্গ যুক্ত শব্দ কোনটি?
A
পরাকাষ্ঠা
B
পরাক্লান্ত
C
পরায়ণ
D
পরাভব
উত্তরের বিবরণ
বিপরীত অর্থে 'পরা' উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে - পরাজয়, পরাভব৷ আতিশয্য অর্থে 'পরা' উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে - পরাকাষ্ঠ, পরায়ণ, পরাক্রান্ত৷

0
Updated: 1 month ago
’রুখের তেন্তুলি কুম্ভীরে খাঅ।’- চর্যাপদের এ চরণটির রচিতা কে?
Created: 1 month ago
A
ভুসুকুপা
B
কুক্কুরীপা
C
লুইপা
D
কাহ্নাপা
কুক্কুরীপা ছিলেন চর্যাপদ রচয়িতাদের একজন। তিনি মোট তিনটি পদ রচনা করেছিলেন। এর মধ্যে দুটি পাওয়া গেলেও একটি পদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার রচিত পদগুলোর বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলোঃ
-
কুক্কুরীপা ২, ২০ ও ৪৮ নং পদ রচনা করেছিলেন।
-
এর মধ্যে ৪৮ নং পদটি পাওয়া যায়নি।
-
চর্যাপদের ২ নং পদের রচয়িতা কুক্কুরীপা।
-
পদটি হলো:
"দুলি দুহি পিটা ধরণ ন জাই।
রুখের তেন্তুলি কুম্ভীরে খাঅ।।"
উৎস:

0
Updated: 1 month ago
অর্ধ-সংবৃত স্বরধ্বনি কোনটি?
Created: 1 week ago
A
উ
B
ই
C
এ
D
অ্যা
স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট কতটুকু খোলা বা বন্ধ থাকে, তার ওপর ভিত্তি করে স্বরধ্বনিকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। ঠোঁটের এই উন্মুক্ততার পার্থক্যের মাধ্যমে ধ্বনির প্রকৃতি নির্ধারিত হয়।
১. সংবৃত স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় ঠোঁট খুব সামান্য খোলে। এই শ্রেণিতে পড়ে [ই] ও [উ]।
২. অর্ধ-সংবৃত স্বরধ্বনি: ঠোঁট সংবৃত অবস্থার তুলনায় কিছুটা বেশি খোলে। এতে অন্তর্ভুক্ত [এ] ও [ও]।
৩. বিবৃত স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় ঠোঁট সবচেয়ে বেশি খোলে। এই শ্রেণিতে রয়েছে [আ]।
৪. অর্ধ-বিবৃত স্বরধ্বনি: ঠোঁট বিবৃত অবস্থার তুলনায় কিছুটা কম খোলে। এতে রয়েছে [অ্যা] ও [অ]।
সংবৃত স্বরধ্বনি উচ্চারণে ঠোঁট কম খোলে, আর বিবৃত স্বরধ্বনি উচ্চারণে ঠোঁট সবচেয়ে বেশি খোলে।

0
Updated: 1 week ago
মধ্যস্বর লোপ পেয়েছে নিচের কোন উদাহরণে?
Created: 2 months ago
A
আশা > আশ
B
আজি > আজ
C
অগুরু > অগ্র
D
উদ্ধার > উধার > ধার
সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ
যখন কোনো শব্দ দ্রুত উচ্চারণ করার কারণে তার শুরু, মাঝখান বা শেষে থাকা কোনো স্বরধ্বনি (অ, আ, ই ইত্যাদি) হারিয়ে যায়, তখন তাকে সম্পরকর্ষ বা স্বরলোপ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
বসতি → বস্তি,
-
জানালা → জান্লা।
• আদি স্বরলোপ:
শব্দের শুরুর স্বর যদি বাদ যায়, তখন তাকে আদি স্বরলোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অলাবু → লাবু → লাউ,
-
উদ্ধার → উধার → ধার।
• মধ্যস্বর লোপ:
শব্দের মাঝখানে থাকা স্বর বাদ গেলে তাকে মধ্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অগুরু → অগ্র,
-
সুবর্ণ → স্বর্ণ।
• অন্ত্যস্বর লোপ:
শব্দের শেষের স্বর বাদ পড়লে তাকে অন্ত্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
আশা → আশ,
-
আজি → আজ,
-
চারি → চার,
-
সন্ধ্যা → সঞঝা → সাঁঝ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 2 months ago