A
অ
B
য
C
য্য
D
ষ্ণ
উত্তরের বিবরণ
তদ্ধিত ‘য’ প্রত্যয়
নিয়ম:
যখন তদ্ধিত ‘য’ প্রত্যয় যুক্ত হয়, তখন প্রাতিপদিকের অ, আ, ই, ঈ ইত্যাদি স্বরধ্বনি লোপ পায়।
উদাহরণ:
-
সম্ + য → সাম্য
-
কবি + য → কাব্য
-
মধুর + য → মাধুর্য
-
প্রাচী + য → প্রাচ্য
-
প্রচুর + য → প্রাচুর্য
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 20 hours ago
উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
Created: 2 months ago
A
অব্যয় ও শব্দাংশে
B
নতুন শব্দ গঠনে
C
উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পেছনে
D
ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উপসর্গ
উপসর্গ হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা অন্য শব্দের শুরুর দিকে বসে নতুন শব্দ তৈরি করে। নিজের কোনো স্বাধীন অর্থ না থাকলেও, উপসর্গ নতুন শব্দ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উদাহরণ:
-
অ + জানা = অজানা
-
অভি + যোগ = অভিযোগ
-
বে + তার = বেতার
এখানে “অ”, “অভি”, “বে” – এগুলো উপসর্গ।
বৈশিষ্ট্য:
-
উপসর্গ শব্দের আগে বসে।
-
এগুলোর নিজস্ব অর্থ নেই, তবে এগুলো অর্থ সৃষ্টি করে এমন শব্দ গঠনে সাহায্য করে।
-
বাংলা ভাষায় প্রায় ৫০টির মতো উপসর্গ ব্যবহার হয়।
ধরন:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলো তিনটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
-
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ
-
বিদেশি উপসর্গ
প্রত্যয়
প্রত্যয় হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা শব্দ বা ধাতুর পরে বসে নতুন শব্দ তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
বাঘ + আ = বাঘা
-
দিন + ইক = দৈনিক
বৈশিষ্ট্য:
-
প্রত্যয় শেষে বসে।
-
এগুলো স্বাধীন অর্থ বহন করে না তবে শব্দের রূপ ও অর্থ পরিবর্তনে সাহায্য করে।
প্রকারভেদ:
প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার:
১. কৃৎ প্রত্যয়
-
যে প্রত্যয় ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।
উদাহরণ: -
চল (ধাতু) + অন্ত = চলন্ত
-
কৃ (ধাতু) + তব্য = কর্তব্য
👉 কৃৎ প্রত্যয় হতে পারে:
-
বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
-
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
২. তদ্ধিত প্রত্যয়
-
যে প্রত্যয় শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।
উদাহরণ: -
চোর + আ = চোরা
-
কেষ্ট + আ = কেষ্টা
-
ডিঙি + আ = ডিঙা
-
বাঘ্ + আ = বাঘা
-
হাত্ + আ = হাতা
তথ্যসূত্র:
"বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি" – নবম-দশম শ্রেণি, ২০২২ সংস্করণ।

0
Updated: 2 months ago
”দোলনা” শব্দের সঠিক প্রকৃত-প্রত্যয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
√দুল্ + অন
B
√দুল্ + অনা
C
√দল্ + ওনা
D
√দুল্ + আন
• ”অনা”- কৃৎ প্রত্যয় যোগে বাংলা শব্দ গঠন:
- √দুল্ + অনা= দুলনা> দোলনা।
- √খেল্ + অনা =খেলনা।
উল্লেখ্য,
- ধাতুর সঙ্গে যখন কোনো ধ্বনি বা ধ্বনি-সমষ্টি যুক্ত হয়ে বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ তৈরি হয়, তখন ক্রিয়ামূল বা ধাতুকে বলা হয় ক্রিয়া প্রকৃতি বা প্রকৃতি, আর ক্রিয়া প্রকৃতির সঙ্গে যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি যুক্ত হয়, তাকে বলে কৃৎ-প্রত্যয়।
যেমন-
- চল্ (ক্রিয়া প্রকৃতি)+ অন (কৃৎ-প্রত্যয়) = চলন (বিশেষ্য পদ)।
- চল (ক্রিয়া প্রকৃতি) + অন্ত (কৃৎ-প্রত্যয়) = চলন্ত (বিশেষণ পদ)।

0
Updated: 1 month ago
"প্রত্যয়, বিভক্তি" - কোন অংশের আলোচ্য বিষয়?
Created: 2 weeks ago
A
ধ্বনিতত্ত্বে
B
বাক্যতত্ত্বে
C
রূপতত্ত্বে
D
অর্থতত্ত্বে
রূপতত্ত্ব (Morphology)
সংজ্ঞা:
-
এক বা একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক সম্মিলনে শব্দ তৈরি হয়।
-
ভাষার ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ একককে রূপমূল (Morpheme) বলা হয়।
-
রূপমূলগুলো মিলিত হয়ে শব্দ তৈরি করে।
-
তাই, শব্দতত্ত্বকে রূপতত্ত্ব বলা হয়।
রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়সমূহ
রূপতত্ত্ব ব্যাকরণের সেই অংশ যেখানে শব্দ ও পদের গঠন ও ব্যুৎপত্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উদাহরণ:
-
বচন
-
লিঙ্গ
-
উপসর্গ
-
প্রত্যয়
-
বিভক্তি
-
সমাস
-
ধাতুরূপ
-
কাল (সময়)

0
Updated: 2 weeks ago