করণ কারক হলো সেই কারক যা ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ক নির্দেশ করে।

• সাধারণভাবে, বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে “কী দ্বারা” বা “কী উপায়ে” প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, সেটিই করণ কারক।

উদাহরণ:

• নীরা কলম দিয়ে লেখে। (কলম → করণ কারক)

• জগতে কীর্তিমান হও সাধনায়। (সাধনা → করণ কারক)

• এ সাবানে কাপড় কাচা চলবে না। (সাবান → করণ কারক)

• মহাতেজে পৃথিবী কম্পিত হইতেছে। (মহাতেজ → করণ কারক)

করণ কারক

• সংজ্ঞা: যার দ্বারা বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদিত হয়, তাকে করণ কারক বলে।

• ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলা হয়।

• চিন্তাধারা: বাক্যস্থ ক্রিয়াপদের সঙ্গে ‘কিসের দ্বারা’ বা ‘কী উপায়ে’ প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটাই করণ কারক।

উদাহরণ:

1. ‘অহংকার পতনের মূল।’ – এখানে ‘অহংকার’ শব্দটি করণ কারক।

2. ‘এ পেন্সিলে ভালো লেখা হয়।’ – ‘কিসের দ্বারা’ প্রশ্ন করলে উত্তর হবে ‘পেন্সিলে’, তাই এটি করণ কারক।

ভেদ:

• একবচনে করণ কারক প্রায়ই ৭মী বিভক্তিতে প্রকাশ পায়: এ, য়, তে, এতে ইত্যাদি।

করণ কারক

• সংজ্ঞা: যে উপায়ে বা যার দ্বারা কর্তা কোনো ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ কারক বলে।

• চিহ্নিত করা হয় সাধারণত “দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক” ইত্যাদি অনুসর্গ দ্বারা।

উদাহরণ:

1. ভেড়া দিয়ে চাষ করা সম্ভব নয়।

2. চাষিরা ধারালো কাস্তে দিয়ে ধান কাটছে।

উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)