বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রা, অর্ধমাত্রা ও মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা যথাক্রমে –
A
৩২, ৮, ১০
B
৩২, ৭, ১১
C
৩০, ৮, ১২
D
৩২, ৭, ৯
উত্তরের বিবরণ
বাংলা বর্ণমালায় বর্ণসংখ্যা ( স্বরবর্ণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯ টি) - ৫০টি। তন্মধ্যে মাত্রাহীন বর্ণ ১০ টি ( স্বরবর্ণ ৪ টি - এ, ঐ, ও, ঔ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৬ টি - ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঁ)। অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮ টি ( স্বরবর্ণ ১টি - ঋ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৭ টি - খ, গ, ণ, থ, প, শ)। পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২ টি ( স্বরবর্ণ ৬ টি ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬ টি)।

0
Updated: 1 month ago
বাংলা বর্ণমালা কয়টি?
Created: 23 hours ago
A
৪৮টি
B
৪৯টি
C
৫০টি
D
৫২টি
বাংলা ভাষা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ ভাষা। এর লেখার পদ্ধতি বাংলা লিপি নামে পরিচিত। বাংলা লিপির নিজস্ব বর্ণমালা আছে, যা ধ্বনিভিত্তিক এবং উচ্চারণ অনুযায়ী গঠিত। বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০টি বর্ণ রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি স্বরবর্ণ এবং ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ। নিচে বাংলা বর্ণমালা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
স্বরবর্ণ (১১টি):
বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ হলো সেই বর্ণসমূহ, যেগুলো উচ্চারণের সময় বায়ুপ্রবাহ বাধা ছাড়াই মুখ দিয়ে বের হয়।
স্বরবর্ণগুলো হলো: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
এই বর্ণগুলো একা উচ্চারিত হয় এবং অন্য বর্ণের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে।
দ্রষ্টব্য: “ঐ” ও “ঔ” হলো যৌগিক বা দ্বিস্বর স্বরবর্ণ, যেমন — অ + ই = ঐ, অ + উ = ঔ।
ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৯টি):
যে বর্ণ উচ্চারণের সময় বায়ুপ্রবাহ কিছুটা বাধা পায়, সেগুলোকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণগুলো ক্রমানুসারে হলো:
ক, খ, গ, ঘ, ঙ
চ, ছ, জ, ঝ, ঞ
ট, ঠ, ড, ঢ, ণ
ত, থ, দ, ধ, ন
প, ফ, ব, ভ, ম
য, র, ল
শ, ষ, স, হ
ড়, ঢ়, য়, ৎ
এই বর্ণগুলো মিলিয়ে মোট ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ গঠিত হয়েছে।
মোট সংখ্যা: স্বরবর্ণ (১১) + ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৯) = ৫০টি বর্ণ।
বিশেষ তথ্য:
-
বাংলা বর্ণমালা প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত।
-
বাংলা লিপি ধ্বনিভিত্তিক হওয়ায় একে "ধ্বনিমূলক লিপি" বলা হয়।
-
বাংলা ভাষায় বর্ণের সাহায্যে শব্দ গঠন হয়, আর শব্দের মাধ্যমে বাক্য তৈরি হয়।
-
বাংলা লিপি ব্যবহারের সূচনা প্রায় এক হাজার বছর আগে থেকেই দেখা যায়।
বাংলা বর্ণমালার গুরুত্ব:
বাংলা বর্ণমালা শুধু ভাষার প্রতীক নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও পরিচয়ের অংশ। এই বর্ণমালার মাধ্যমে সাহিত্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান, ইতিহাসসহ সমাজের সব ক্ষেত্রে ভাষার বিকাশ ঘটেছে।
সারসংক্ষেপে: বাংলা বর্ণমালা ৫০টি বর্ণ নিয়ে গঠিত — এর মধ্যে ১১টি স্বরবর্ণ ও ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ। এটি বাংলা ভাষার ভিত্তি, যা আমাদের কথা, লেখা ও চিন্তাকে প্রকাশের প্রধান মাধ্যম।

0
Updated: 23 hours ago
বাংলা বর্ণমালায় পরাশ্রয়ী বর্ণ কয়টি?
Created: 1 month ago
A
৫টি
B
৩টি
C
৪টি
D
১টি
পরাশ্রয়ী ধ্বনি: – ং, ঃ, ঁ এ তিনটি স্বাধীন ভাবে স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে ভাষায় ব্যবহৃত হয় না। তাই এ বর্ণগুলােকে বলা হয় পরাশ্রয়ী বর্ণ। ং এর উচ্চারণ ঙ-এর উচ্চারণের মতো। যেমন- রং (রঙ), বাংলা (বাংলা) ইত্যাদি। উচ্চারণে অভিন্ন হয়ে যাওয়ায় ং-এর বদলে ঙ এবং ঙ-এর বদলে ং-এর ব্যবহার খুবই সাধারণ। ং ঃ ‘-এ তিনটি বর্ণ স্বাধীনভাবে স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে ভাষায় ব্যবহৃত হয় না। এ বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি অন্য ধ্বনির সঙ্গে মিলিত হয়ে একত্রে উচ্চারিত হয়। তাই এ বর্ণগুলোকে বলা হয় পরাশ্রয়ী বর্ণ।

0
Updated: 1 month ago
ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য কোথায়?
Created: 1 week ago
A
লেখার ধরনে
B
উচ্চারনের বিশিষ্টতায়
C
সংখ্যাগত পরিমানে
D
ইন্দ্রিয় গ্রাহ্যে
ধ্বনি ও বর্ণ বাংলা ব্যাকরণে দুটি স্বতন্ত্র ধারণা, যাদের মূল পার্থক্য তাদের প্রকৃতি এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতার মধ্যে নিহিত। ধ্বনি শ্রুতিগ্রাহ্য, আর বর্ণ দৃষ্টিগ্রাহ্য। নিচে এই পার্থক্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
ধ্বনি:
-
এটি মুখ থেকে উচ্চারিত শব্দ বা কথনের একক।
-
কান দিয়ে শোনা যায়, অর্থাৎ এটি শ্রুতিগ্রাহ্য।
-
ভাষার মৌখিক রূপের অংশ এবং উচ্চারণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
-
উদাহরণ: ‘ক’ বা ‘আ’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্রুতিগোচর হয়।
-
ভাষাভেদে ধ্বনির সংখ্যা ও প্রকৃতি ভিন্ন হতে পারে।
বর্ণ:
-
এটি ধ্বনির লিখিত প্রতীক বা চিহ্ন।
-
চোখ দিয়ে দেখা যায়, অর্থাৎ এটি দৃষ্টিগ্রাহ্য।
-
বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ (অ, আ, ই) ও ব্যঞ্জনবর্ণ (ক, খ, গ) উভয়ই রয়েছে, যা ধ্বনিকে লিখিত রূপে প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: আমরা যখন ‘ক’ উচ্চারণ করি, তখন তা ধ্বনি; কিন্তু লিখলে ‘ক’ তখন তা বর্ণ।
এই বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্যের মূল ভিত্তি হলো ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা, অর্থাৎ একটির উৎস শ্রবণেন্দ্রিয় আর অন্যটির দৃষ্টিেন্দ্রিয়।

0
Updated: 1 week ago