কম্পিউটার ডেটা বাসের কাজ কোনটি?
A
গাণিতিক কাজ করা
B
তথ্য আদান প্রদান
C
প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণ
D
মেমোরি সংরক্ষণ
উত্তরের বিবরণ
• কম্পিউটার ডেটা বাসের কাজ হলো বিভিন্ন চিপের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করা।
• ডেটা বাস:
- ডেটা বাস (Data Bus) কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা তথ্য বা ডেটা এক অংশ থেকে অন্য অংশে বহন করে। এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন চিপের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করা।
- এই বাসের মাধ্যমে ডাটা উভয় দিকেই যাতায়াত করতে পারে তাই এটিকে Bi-directional বাস বলে।
- একটি বাসের মধ্যে যে কয়টি তার এই আদান প্রদান করতে পারে তাকে তত বিটের বাস বলা হয়।
- ডাটা বাস ৮-বিট , ১৬-বিট, ৩২-বিট ও ৬৪-বিটের হতে পারে।
- বেশি বিটের ডাটা বাস দ্রূত ও বেশি পরিমাণ ডাটা ট্রান্সফার করতে পারবে।
- এটি CPU, RAM, মেমোরি এবং ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসগুলোর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান নিশ্চিত করে।
উদাহরণ:
- যখন CPU RAM থেকে কিছু তথ্য চায়, তখন ডেটা বাস সেই তথ্য এনে CPU-তে পৌঁছে দেয়।
তথ্যসূত্র:
- মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
- "Computer Organization and Architecture" by William Stallings.

0
Updated: 1 month ago
OCR প্রযুক্তিতে ডাটা রূপান্তর কোন ফরম্যাটে হয়?
Created: 1 month ago
A
এনক্রিপটেড
B
টেক্সট
C
গ্রাফিক
D
ডাটাবেজ
OCR (Optical Character Recognition / Reader)
সংজ্ঞা:
OCR হলো একটি ইনপুট ডিভাইস, যা মুদ্রিত বা হাতের লেখা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে টেক্সট ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারে।
মূল বৈশিষ্ট্য ও কার্যপ্রণালী:
-
OCR বিভিন্ন আকারের দাগ, চিহ্ন এবং সব ধরনের আলফানিউমেরিক ক্যারেক্টার পড়তে পারে।
-
প্রিন্ট করা লেখা সরাসরি ইনপুট নেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
OCR সফটওয়্যার ব্যবহার করে কার্য সম্পাদিত হয়।
-
প্রক্রিয়া:
-
OCR যন্ত্র ডকুমেন্টের বিটম্যাপ ইমেজ তৈরি করে।
-
OCR সফটওয়্যার সেগুলোকে ASCII টেক্সটে রূপান্তর করে।
-
ফলে কম্পিউটার বিভিন্ন অক্ষর, সংখ্যা ও বিশেষ ক্যারেক্টার চিনতে পারে।
-

0
Updated: 1 month ago
কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় ব্যবহৃত POST এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 3 weeks ago
A
Power On System Test
B
Power On Self Test
C
Program Operating Software Test
D
Primary OS Test
POST (Power On Self Test) হলো একটি স্বয়ংক্রিয় ডায়াগনস্টিক প্রক্রিয়া, যা প্রতিবার কম্পিউটার চালু হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুরু হয়। বুটিং (Booting) হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কম্পিউটার চালু হওয়ার পর অপারেটিং সিস্টেম মেমোরিতে লোড হয় এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয়।
-
এতে যাচাই করা হয় কী-বোর্ড, মাউস, মনিটর এবং অন্যান্য হার্ডওয়্যার সঠিকভাবে যুক্ত আছে কিনা।
-
যদি হার্ডওয়্যার সঠিকভাবে কাজ করে, CPU স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপারেটিং সিস্টেমকে হার্ডডিস্ক থেকে র্যামে লোড করে এবং কম্পিউটারকে ব্যবহারকারীর জন্য প্রস্তুত করে।
-
বুটিং হলো একটি স্বয়ক্রিয় প্রক্রিয়া, যা সম্পন্ন হওয়ার পরই কম্পিউটার ব্যবহার করা যায়।
Booting-এর ধাপগুলো:
-
Power On → কম্পিউটার চালু হলে BIOS/UEFI লোড হয়।
-
POST (Power-On Self Test) → হার্ডওয়্যার ঠিকমতো কাজ করছে কিনা যাচাই করা হয়।
-
Boot Loader Execution → অপারেটিং সিস্টেমের boot manager (যেমন Windows Boot Manager বা GRUB) চালু হয়।
-
OS Loading → Windows, Linux বা অন্য OS মেমোরিতে লোড হয়।
-
User Interface Ready → ব্যবহারকারী লগইন করতে পারে এবং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে।

0
Updated: 3 weeks ago
"Distributed Computing"-এর প্রধান উদ্দেশ্য কী?
Created: 3 weeks ago
A
একাধিক কম্পিউটার ব্যবহার করে সমস্যা দ্রুত সমাধান
B
একটি মেশিনের মেমোরি ব্যবহার কমানো
C
সিপিইউ ক্লক স্পিড বাড়ানো
D
সব ক্লাউড সার্ভারকে একটি কম্পিউটারে প্রতিস্থাপন করা
Distributed Computing বা বিতরণকৃত কম্পিউটিং হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে জটিল সমস্যা সমাধান বা বড় ডেটা প্রসেসিং-এর কাজকে একাধিক কম্পিউটারে ভাগ করে সমান্তরালভাবে সম্পন্ন করা হয়। এর ফলে কাজ দ্রুত ও কার্যকরভাবে শেষ করা সম্ভব হয় এবং একটি একক কম্পিউটারের সীমাবদ্ধতা যেমন কম মেমোরি বা সীমিত প্রসেসিং ক্ষমতা এড়ানো যায়। এছাড়া, এই সিস্টেমের নির্ভরযোগ্যতা ও scalability বেড়ে যায়, কারণ কোনো একটি কম্পিউটার ব্যর্থ হলেও অন্যগুলো কাজ চালিয়ে যেতে পারে।
সঠিক উত্তর: ক) একাধিক কম্পিউটার ব্যবহার করে সমস্যা দ্রুত সমাধান
-
Cloud Computing:
-
ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে ইন্টারনেট ও কেন্দ্রীয় রিমোট সার্ভারের মাধ্যমে ডেটা ও অ্যাপ্লিকেশন নিয়ন্ত্রণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের NIST (National Institute of Standards and Technology) অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং হলো একটি মডেল, যেখানে ক্রেতার তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশনকে সেবাদাতার সিস্টেমে আউটসোর্স করা হয় এবং এতে ৩টি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে—
১. Resource Flexibility/Scalability → গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সেবার পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো যায়।
২. On Demand → গ্রাহক যখন চাইবে তখনই সেবা পাবে এবং নিজের প্রয়োজন মতো ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
৩. Pay as you go → গ্রাহক শুধুমাত্র ব্যবহৃত সেবার জন্য মূল্য প্রদান করবে; আগে থেকে কোনো রিজার্ভেশন করতে হবে না।
-
-
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য থেকে বোঝা যায় যে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী utility-ভিত্তিক কম্পিউটিং পরিষেবা প্রদানকারী প্রযুক্তি হলো Cloud Computing, যা আসলে Distributed Computing-এর একটি দৃষ্টান্ত।

0
Updated: 3 weeks ago