NaCl-এ কোন ধরনের বন্ধন থাকে?
A
সমযোজী বন্ধন
B
আয়নিক বন্ধন
C
ধাতব বন্ধন
D
ভ্যান্ডার-ওয়ালস বন্ধন
উত্তরের বিবরণ
• NaCl (সোডিয়াম ক্লোরাইড)-এ আয়নিক বন্ধন থাকে।
• আয়নিক বন্ধন:
- ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে গঠিত ক্যাটায়ন এবং অ্যানায়নসমূহ যে আকর্ষণ বল দ্বারা যৌগের বল দ্বারা যৌগের অণুতে আবদ্ধ থাকে তাকে আয়নিক বন্ধন বলে।
• ধাতুগুলোর আয়নিকরণ শক্তির মান অনেক কম হওয়ায় এরা অতি সহজেই সর্বশেষ শক্তিস্তরের এক বা একাধিক ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট আয়ন বা ক্যাটায়নে পরিণত হয়।
- আবার অধাতুগুলোর ইলেকট্রন আসক্তির মান বেশি হওয়ায় এরা সহজেই সর্বশেষ শক্তিস্তরে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট আয়ন বা অ্যানায়নে পরিণত হয়।
- এভাবে সৃষ্ট বিপরীত আধানের ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের মধ্যে স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল বা ইলেকট্রোস্ট্যাটিক বল কাজ করে। এই আকর্ষণ বলটিই আয়নিক বন্ধন।
• NaCl (সোডিয়াম ক্লোরাইড)-এ একটি আয়নিক বন্ধন থাকে, কারণ:
- Na (সোডিয়াম) একটি ধাতু, যা ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়ন (Na+) তৈরি করে।
- Cl (ক্লোরিন) একটি অধাতু, যা সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়ন (Cl-) তৈরি করে।
- ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের মধ্যে বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বা আয়নিক বল দ্বারা গঠিত হয় আয়নিক বন্ধন।
Na → Na+ + e-
Cl + e- → Cl-
Na + Cl → Na+ + Cl- = NaCl
অন্যদিকে,
• সমযোজী বন্ধন গঠিত হয় যখন দুইটি অধাতু ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে বন্ধন তৈরি করে।
• ধাতব বন্ধন সাধারণত কেবল দুইটি ধাতব পরমাণুর মধ্যে হয়ে থাকে।
• ভ্যান্ডার-ওয়ালস বন্ধন একটি দুর্বল আন্তঃআণবিক আকর্ষণ। এটি আয়নিক বন্ধনের মত শক্তিশালী বন্ধন নয়।

0
Updated: 1 month ago
ব্যাপন প্রক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
চাকার বাতাস বেরিয়ে যাওয়া
B
রিক্সার চাকা ছিদ্র হওয়া
C
গ্যাস ভর্তি বেলুন ফেটে যাওয়া
D
অ্যারোসলের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া
ব্যাপন (Diffusion) ও নিঃসরণ (Effusion):
ব্যাপন (Diffusion):
-
সংজ্ঞা:
অসম ঘনত্ব বিশিষ্ট একটি গ্যাস বা তরল স্বতঃস্ফূর্তভাবে অপর গ্যাস বা তরলের মধ্যে প্রবেশ করলে যাকে ব্যাপন বলা হয়। -
লক্ষণীয় দিক:
-
এটি স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া।
-
উচ্চ ঘনত্বের অঞ্চল থেকে নিম্ন ঘনত্বের অঞ্চলে ঘটে।
-
-
উদাহরণ:
-
ঘরে এয়ার ফ্রেশনার ছড়ালে তার গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়া।
-
রাতের বেলা ঘরের কোনে ফুল ফুটলে তার সুগন্ধ ছড়িয়ে যাওয়া।
-
ছাতিমের ফুলের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়া।
-
মশা বা পিঁপড়া মারার অ্যারোসলের গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়া।
-
নিঃসরণ (Effusion):
-
সংজ্ঞা:
কোনো উপাদান নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়, বাহ্যিক চাপ প্রভাবে, পাত্রের সূক্ষ্ম ছিদ্রপথ দিয়ে উচ্চ চাপ অঞ্চল থেকে নিম্ন চাপ অঞ্চলে একমুখী বের হলে তাকে নিঃসরণ বলা হয়। -
লক্ষণীয় দিক:
-
এটি একমুখী, চাপের প্রভাবে ঘটে।
-
ব্যাপনের মতো স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং চাপের পার্থক্য প্রয়োজন।
-
-
উদাহরণ:
-
রিক্সার টিউবের ছিদ্র দিয়ে বাতাস বের হওয়া।
-
চাকা ফেটে টিউবের ভিতরের বাতাস বের হওয়া।
-
পাইপলাইনের ছিদ্র দিয়ে গ্যাস বের হওয়া।
-
পার্থক্য সংক্ষেপে:
বৈশিষ্ট্য | ব্যাপন (Diffusion) | নিঃসরণ (Effusion) |
---|---|---|
প্রক্রিয়া | স্বতঃস্ফূর্ত | চাপের প্রভাবে একমুখী |
দিক | উচ্চ ঘনত্ব → নিম্ন ঘনত্ব | উচ্চ চাপ → নিম্ন চাপ |
উদাহরণ | গন্ধ ছড়ানো | টিউবের বাতাস বের হওয়া |

0
Updated: 1 month ago
বয়েল ও চার্লসের সমন্বয় সূত্রের মাধ্যমে গ্যাসের কোন সমীকরণ পাওয়া যায়?
Created: 2 weeks ago
A
V ∝ T
B
V ∝ 1/P
C
PV/T = ধ্রুবক
D
PT = V
বয়েল ও চার্লসের সূত্রের সমন্বয় গ্যাসের আয়তন, চাপ এবং তাপমাত্রার মধ্যে সম্পর্ক বোঝায়। বয়েলের সূত্র অনুযায়ী, স্থির তাপমাত্রায় কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন এর উপর প্রযুক্ত চাপের বিপরীতভাবে নির্ভরশীল। চার্লসের সূত্র অনুযায়ী, স্থির চাপের নিচে নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন তার উপর আরোপিত তাপমাত্রার সরাসরি সমানুপাতিক।
-
ধরা যাক, নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের আয়তন V, চাপ P এবং কেলভিন তাপমাত্রা T।
• বয়েলের সূত্র: V ∝ 1/P (তাপমাত্রা স্থির)
• চার্লসের সূত্র: V ∝ T (চাপ স্থির) -
এই দুটি সম্পর্ক একত্র করলে পাওয়া যায়:
V ∝ (T/P) যখন তাপমাত্রা ও চাপ উভয়ই পরিবর্তনশীল। -
সমানুপাতিক ধ্রুবক K নিয়ে লেখা যায়:
V = K × T / P
অথবা
P V = K T
যা আবার লেখা যায় P V / T = K
সুতরাং, PV/T = ধ্রুবক হলো বয়েল ও চার্লসের সূত্রের সমন্বয় সূত্র, যা কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের জন্য চাপ, আয়তন এবং তাপমাত্রার সম্পর্ক নির্ধারণ করে।

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোনটি বিজারক পদার্থ নয়?
Created: 3 weeks ago
A
ফ্লোরিন
B
লিথিয়াম
C
পটাশিয়াম
D
ম্যাগনেসিয়াম
লিথিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম ইলেকট্রন দান করার ক্ষমতা রাখে, তাই এগুলো বিজারক পদার্থ হিসেবে কাজ করে। অপরদিকে ফ্লোরিন ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তাই এটি জারক পদার্থ।
বিজারক পদার্থ
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে বিক্রিয়ক ইলেকট্রন দান করে তাকে বিজারক বলে, অর্থাৎ এটি মূলত ইলেকট্রন দাতা।
-
ইলেকট্রন দান করার পর পদার্থটি নিজে জারিত হয়।
-
যে পদার্থের ইলেকট্রন দান করার প্রবণতা যত বেশি, সেটি তত বেশি বিজারকধর্মী।
-
উদাহরণ: হাইড্রোজেন (H), লিথিয়াম (Li), সোডিয়াম (Na), পটাশিয়াম (K), রুবিডিয়াম (Rb)—এরা সবাই শক্তিশালী বিজারক।
-
এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম (Mg), ক্যালসিয়াম (Ca), H2S, H2O2, SO2 প্রভৃতি পদার্থ বিজারক হিসেবে কাজ করতে পারে।
জারক পদার্থ
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে বিক্রিয়ক ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে জারক বলা হয়, অর্থাৎ এটি ইলেকট্রন গ্রহীতা।
-
ইলেকট্রন গ্রহণের পর পদার্থটি নিজে বিজারিত হয়।
-
যে পদার্থের ইলেকট্রন গ্রহণের প্রবণতা যত বেশি, সেটি তত বেশি জারকধর্মী।
-
উদাহরণ: অক্সিজেন (O2), ক্লোরিন (Cl2), ফ্লোরিন (F2), H2SO4, HNO3, H2O2, SO2 প্রভৃতি।
উল্লেখযোগ্য তথ্য
H2O2 সাধারণত জারক হলেও অম্লীয় বা ক্ষারীয় মাধ্যমে বিজারক হিসেবেও কাজ করে।
SO2 একই সাথে জারক এবং বিজারক—দুই ভূমিকাতেই অংশ নিতে পারে।

0
Updated: 3 weeks ago