আলোর বর্ণালীতে কয়টি বর্ণ থাকে?
A
৩ টি
B
৫ টি
C
৬ টি
D
৭ টি
উত্তরের বিবরণ
বর্ণালী (Spectrum) সম্পর্কে সংক্ষেপ:
-
সূর্য থেকে আগত আলোকরশ্মি একটি কাচের প্রিজমে আপতিত হলে প্রিজমের অপর পার্শ্বে একটি সাদা পর্দায় সাতটি বর্ণের আলোর স্তর দেখা যায়। এই স্তরকে বর্ণালী বলা হয়।
-
বর্ণালীতে মোট ৭টি বর্ণ থাকে:
১. লাল (Red) – উপরেরmost
২. কমলা (Orange)
৩. হলুদ (Yellow)
৪. সবুজ (Green)
৫. আকাশী (Blue)
৬. নীল (Indigo)
৭. বেগুনী (Violet) – নিচেরmost -
স্মরণ করার নিয়ম: বেগুনী থেকে শুরু করে প্রথম অক্ষরগুলো হলো “বেনীআসহকলা” বা আন্তর্জাতিকভাবে VIBGYOR।
-
আলোকের বিচ্ছুরণ (Dispersion):
বিভিন্ন বর্ণের আলো আলাদা হয়ে যাওয়াকে আলোর বিচ্ছুরণ বলা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র, এইচ.এস.সি. প্রোগ্রাম; বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
কোন রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 week ago
A
বেগুনি
B
লাল
C
সবুজ
D
আসমানী
আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য হলো পরপর দুটি তরঙ্গের শীর্ষ বা গহ্বরের মধ্যবর্তী দূরত্ব, যা আলোর রঙ ও শক্তি নির্ধারণ করে। দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০ ন্যানোমিটার (বেগুনি) থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার (লাল) পর্যন্ত বিস্তৃত। তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তারতম্যের কারণেই আমরা বিভিন্ন বর্ণ দেখতে পাই।
-
দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ক্রম হলো: বেগুনি < নীল < আসমানী < সবুজ < হলুদ < কমলা < লাল।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, আলোর বিক্ষেপণ (dispersion) তত বেশি হয়; অর্থাৎ, কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো সহজেই ভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, আলোর বিক্ষেপণ তত কম হয়।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, তাই এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি (deviation) সবচেয়ে কম।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, তাই এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি।
-
যে বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, তার প্রতিসরণ ও বিক্ষেপণ তত কম, কারণ আলো মাধ্যমের মধ্য দিয়ে কম বেঁকে যায়।
-
সূর্যের সাদা আলো যখন প্রিজমের মধ্য দিয়ে যায়, তখন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে এটি সাতটি বর্ণে বিভক্ত হয়, যা বিক্ষেপণের উদাহরণ।
-
দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সীমা সাধারণত:
বেগুনি (≈ ৪০০ nm) থেকে লাল (≈ ৭০০ nm) পর্যন্ত।

0
Updated: 1 week ago
আলোর ফ্লাক্সের একক কী?
Created: 1 month ago
A
লুমেন
B
ক্যান্ডেলা
C
লাক্স
D
স্টেরিডিয়ান
আলোর ফ্লাক্স:
- কোন আলোর উৎস থেকে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে, যে পরিমাণ আলোক শক্তি নির্গত হয় বা প্রবেশ করে, তাকে আলোর প্রবাহ বা আলোর ফ্লাক্স বলে।
- আলোর ফ্লাক্স পরিমাপের একক লুমেন।
- এক ক্যান্ডেলা দীপন ক্ষমতার কোন আলোক উৎস থেকে এক স্টেরেডিয়ান ঘনকোণে যে পরিমাণ আলোক ফ্লাক্স নির্গত হয় তাকে এক লুমেন (1 lm) বলে।
অন্যদিকে,
- দীপন মাত্রা পরিমাপের একক লাক্স। কোন পৃষ্ঠের প্রতি বর্গ মিটার ক্ষেত্রে এক লুমেন আলোক ফ্লাক্স যে দীপন মাত্রা সৃষ্টি করে তাকে এক লাক্স (1 lux) বলে।
- ক্যান্ডেলা হলো আলোর শক্তির পরিমাপের একক, যা নির্দিষ্ট দিক থেকে আলোর উজ্জ্বলতার পরিমাপ করে।
- স্টেরিডিয়ান হলো দিকের পরিমাপের একক যা আলোর উৎসের দিকে এককীয় দিকের কোণ প্রতিনিধিত্ব করে।

0
Updated: 1 month ago
আলোক রশ্মি গমন পথে বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে পূর্বের মাধ্যমে ফিরে আসার প্রক্রিয়াকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
অপবর্তন
B
ব্যতিচার
C
প্রতিফলন
D
অপসরণ
প্রতিফলন হলো আলোর সেই প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো আলোক রশ্মি কোনো স্বচ্ছ বা অস্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোনো মাধ্যমের দ্বারা বাধা পেয়ে প্রথম মাধ্যমের দিকে ফিরে আসে। আলোক প্রতিফলনের সময় যে পৃষ্ঠ থেকে আলো ফিরে আসে তাকে প্রতিফলক তল বা প্রতিফলক পৃষ্ঠ বলা হয় এবং যা ফিরে আসে তাকে প্রতিফলিত আলো বা রশ্মি বলা হয়।
-
যে পরিমাণ আলো প্রতিফলিত হবে তা নির্ভর করে:
-
মাধ্যম দুটির প্রকৃতির উপর
-
আলো প্রতিফলক তলে কত কোণে আপতিত হচ্ছে তার উপর
-
-
প্রতিফলক তল যত বেশি মসৃণ, প্রতিফলন তত বেশি হয়।
-
স্বচ্ছ প্রতিফলকে সাধারণত প্রতিফলন কম হয়, আর অস্বচ্ছ বা সাদা তলে প্রতিফলন বেশি হয়। কালো বা গা dark ় তলে আলো প্রায় প্রতিফলিত হয় না।
-
কাঁচের মতো স্বচ্ছ মাধ্যমের উপর আলো আংশিকভাবে প্রতিফলিত হয়।
-
আলোর আপতন কোণ যত বড় হয়, প্রতিফলনের পরিমাণও তত বেশি হয়।
-
প্রতিফলনের ধরন মসৃণতার উপর নির্ভর করে দু’ভাগে বিভক্ত:
-
নিয়মিত প্রতিফলন
-
ব্যাপ্ত প্রতিফলন
-
আলোর প্রতিফলনের সূত্র:
-
আপতিত রশ্মি, প্রতিফলক তলে অঙ্কিত অভিলম্ব এবং প্রতিফলিত রশ্মি একই সমতলে থাকে।
-
আপতন কোণ এবং প্রতিফলন কোণ সর্বদা সমান হয়, অর্থাৎ ।

0
Updated: 1 month ago