A
দোতলা
B
অজানা
C
আশীবিষ
D
হাতাহাতি
উত্তরের বিবরণ
বাখ্যা:
-
বহুব্রীহি সমাস হলো এমন সমাস যেখানে পূর্বপদ বা পরপদের অর্থ সরাসরি বোঝা যায় না; বরং তা অন্য কোনো অর্থ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: বউভাত → বউ + ভাত, কিন্তু পুরো মিলনে এটি বউ ভাত পরিবেশন করে যে অনুষ্ঠান বোঝায়।
-
-
ব্যতিহার বহুব্রীহি হলো বহুব্রীহি সমাসের এক ধরন, যেখানে পারস্পরিক ক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো অবস্থা বা ক্রিয়া বোঝানো হয়।
-
উদাহরণসমূহ:
-
হাতাহাতি → হাতে হাতে যে যুদ্ধ
-
কানাকানি → কানে কানে যে কথা
-
গলাগলি → গলায় গলায় যে মিলন
-
লাঠালাঠি → লাঠিতে লাঠিতে যে সংঘর্ষ
-
হাসাহাসি → হাসতে হাসতে যে ক্রিয়া
-
-
সুতরাং, বহুব্রীহি সমাস মূলত অর্থ বহন করে না সরাসরি, বরং সমগ্র শব্দগঠন থেকেই বিশেষ অর্থ বোঝায়, এবং ব্যতিহার বহুব্রীহি তার মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়ার অবস্থা বোঝায়।

0
Updated: 18 hours ago
বাংলা ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন কে?
Created: 1 month ago
A
অক্ষয় দত্ত
B
মার্শম্যান
C
ব্রাশি হ্যালহেড
D
রাজা রামমোহন
গৌড়ীয় ব্যাকরণ ও রাজা রামমোহন রায়
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
রামমোহন রায়ের লেখা ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ হলো বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ। এটি তিনি ১৮৩৩ সালে প্রকাশ করেন, যা তাঁর জীবনের শেষ রচিত গ্রন্থও। এর আগে তিনি ইংরেজিতে “Bengali Grammar in the English Language” নামে আরেকটি ব্যাকরণ গ্রন্থ লেখেন।
এই বইটিতে বাংলা ভাষার ধ্বনি (শব্দের ধ্বনিগত গঠন), বর্ণ, উচ্চারণ, শব্দ গঠন, অক্ষর ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এটি মোট ১২টি অধ্যায়ে ভাগ করা। প্রথম অধ্যায়ে মৌলিক ধ্বনি ও উচ্চারণের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে বাংলা ভাষার লিঙ্গ, প্রত্যয়, বাক্য গঠন, পদান্বয় এবং ছন্দ নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
রামমোহন রায় বাংলা ভাষার স্বতন্ত্র উচ্চারণ-পদ্ধতি নিয়ে নিজস্ব কিছু মূল্যবান মত দিয়েছেন, যা আজও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত।
এই বইতে বাংলা ভাষার ধ্বনি ও রূপ (গঠনগত দিক) এর বিশ্লেষণভিত্তিক ব্যাকরণিক আলোচনা পাওয়া যায়।
রাজা রামমোহন রায়
রাজা রামমোহন রায়কে বাংলা নবজাগরণের পথপ্রদর্শক বা আদি পুরুষ বলা হয়। তিনি ১৭৭২ সালের ২২ মে হুগলির রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৩০ সালে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে “রাজা” উপাধি দেন এবং তাঁকে ব্রিটিশ শাসক ও পার্লামেন্টে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠান।
তিনি ১৮২৮ সালের ২০ আগস্ট কলকাতায় প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহযোগিতায় ‘ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। সমাজ সংস্কারের পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। “শিব প্রসাদ রায়” নামে তিনি একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
রামমোহন রায় প্রায় ৩০টি গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
বেদান্তগ্রন্থ
-
বেদান্তসার
-
ভট্টাচার্যের সহিত বিচার
-
গোস্বামীর সহিত বিচার
-
সহমরণ বিষয়ক প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ
-
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
ক্রিয়া, সর্বনাম ও অনুসর্গের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়-
Created: 1 week ago
A
চলিত ভাষারীতিতে
B
সাধু ভাষারীতিতে
C
সমাজ উপভাষায়
D
আঞ্চলিক উপভাষায়
সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপন্ন ভাষাকে সাধু ভাষা হিসেবে অভিহিত করা হয়। সাধুরীতি ব্যাকরণের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত। এ রীতিতে সর্বনাম, ক্রিয়া, ও অনুসর্গে র পূর্ণ রূপ ব্যবহার করা হয়। যেমন: আসিয়া (সাধু > এস (চলিত); তাহাকে (সাধু) তাকে (চলিত); অপেক্ষা (সাধু) > চেয়ে (চলিত)।

0
Updated: 1 week ago
'হেসে ওঠা' কোন প্রকার ক্রিয়ার উদাহরণ?
Created: 5 days ago
A
সরল ক্রিয়া
B
সংযােগ ক্রিয়া
C
যৌগিক ক্রিয়া
D
নাম ক্রিয়া
যৌগিক ক্রিয়া
-
সংজ্ঞা: অসমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে সমাপিকা ক্রিয়া যুক্ত হয়ে যখন একটি একক ক্রিয়া গঠন করে, তখন তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলা হয়।
উদাহরণ:
-
মরে যাওয়া
-
কমে আসা
-
এগিয়ে চলা
-
হেসে ওঠা
-
উঠে পড়া
-
পেয়ে বসা
-
সরে দাঁড়ানো
-
বেঁধে দেওয়া
-
বুঝে নেওয়া
-
বলে ফেলা
-
করে তোলা
-
চেপে রাখা
উৎস: মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 5 days ago