মুনীর চৌধুরীর 'কবর' নাটকের পটভূমি-
A
দেশভাগ
B
পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ
C
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ
D
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
উত্তরের বিবরণ
বাখ্যা:
-
‘কবর’ নাটকটি মুনীর চৌধুরী রচিত এবং ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছে। তিনি এই নাটক জেলে থাকা অবস্থায় রচনা করেন, যা ১৯৫৩ সালে জেলের রাজবন্দিদের দ্বারা প্রথম অভিনীত হয় এবং ১৯৬৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
নাটকের কাহিনী আংশিকভাবে মার্কিন নাট্যকার Irwin Shaw-এর Bury The Dead (১৯৩৬) নাটকের অনুকরণে নির্মিত হলেও এদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও আন্দোলন কেন্দ্রিক।
-
কাহিনী সংক্ষেপে: আন্দোলনকারীদের লাশ শহরে পুলিশের দ্বারা গুম করতে গভীর রাতে কবরস্থানে নেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ ইন্সপেক্টর হাফিজ ও নেতা ধর্মীয় প্রথা অনুসারে লাশগুলো একত্রে মাটিচাপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। স্বজনহারা পাগল মুর্দা ফকির ও গোর-খোদক বাধা দেয়। লাশগুলোও উঠে দাঁড়ায় এবং বলে, “আমরা কবরে যাবো না।” মদ্যপ ইন্সপেক্টর ও নেতা ভয় পায়।
-
‘কবর’ একুশের পটভূমিতে রচিত প্রথম বাংলা নাটক।
মুনীর চৌধুরী:
-
তিনি বাংলাদেশের একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
-
জন্ম: ২৭ নভেম্বর ১৯২৫, মানিকগঞ্জ।
-
শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মৌলিক নাটক:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
অনুবাদ নাটক:
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
সুতরাং ‘কবর’ নাটকটি বাংলা নাট্য সাহিত্যে রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিফলন।

0
Updated: 1 month ago
‘শকুন্তলা’ গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
Created: 1 month ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
‘শকুন্তলা’ (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত)
-
১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রাচীন সংস্কৃত মহাকবি কালিদাস রচিত অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ নাটক অবলম্বনে বিদ্যাসাগর একটি আখ্যান/উপন্যাসোপম কাহিনি রচনা করেন।
-
এর নাম দেন ‘শকুন্তলা’।
-
কাহিনি নির্মাণ ও ভাষাব্যবহারে বিদ্যাসাগর যথেষ্ট স্বাধীনতা নিয়েছেন।
-
এতে তাঁর সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি, আধুনিক মনোভাব, শিল্পবোধ ও পরিমিতি প্রকাশ পেয়েছে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৮২০ খ্রি., পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে।
-
১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ থেকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। (মূল নাম: ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা)।
-
তাঁকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়।
-
তিনি প্রথম বাংলা গদ্যে যতিচিহ্ন/বিরামচিহ্ন ব্যবহার করেন।
-
তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: বেতাল পঞ্চবিংশতি (১৮৪৭)—এ গ্রন্থেই প্রথমবার বিরামচিহ্নের ব্যবহার দেখা যায়।

0
Updated: 1 month ago
কবি আলাওলের জন্মস্থান কোথায়?
Created: 1 month ago
A
চট্টগ্রাম
B
কক্সবাজার
C
বরিশাল
D
ময়মনসিংহ
• আলাওল:
- তিনি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ছিলেন।
- আলাওলের জন্ম আনুমানিক ১৬০৭ খ্রিস্টাব্দে (জোবরা গ্রাম, হাটহাজারি, চট্টগ্রাম) মতান্বরে (ফতেহাবাদ পরগনা, ফরিদপুর)।
- আরাকান রাজসভা তথা সপ্তদশ শতকের শ্রেষ্ঠ কবি আলাওল।
- পদ্মাবতী তার প্রথম ও শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য, মাগন ঠাকুরের উৎসাহে তিনি এই কাব্য রচনা করেন।
সৈয়দ আলাওল রচিত বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম:
- পদ্মাবতী,
- হপ্তপয়কর,
- সিকান্দারনামা,
- তোহফা,
- সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামান ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
"এসো যুগ-সারথি নিঃশঙ্ক নির্ভয়।
এসো চির-সুন্দর অভেদ অসংশয়।" - কবিতাংশটুকুর রচয়িতা কে?
Created: 3 weeks ago
A
আল মাহমুদ
B
সুকান্ত ভট্টাচার্য
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
ফররুখ আহমদ
• স্বরসন্ধির নিয়ম (ও-কারের রূপান্তর):
বাংলা ভাষায় দুটি স্বরের সংযোগে বিশেষ ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে। সাধারণভাবে, প্রথম পদের শেষ অ/আ ধ্বনি এবং দ্বিতীয় পদের প্রথম উ/ঊ ধ্বনির সংযোগে ও-কার (ও-ধ্বনি) তৈরি হয়।
নিয়ম ও উদাহরণ:
-
অ + উ = ও
-
সর্ব + উচ্চ → সর্বোচ্চ
-
সূর্য + উদয় → সূর্যোদয়
-
দীর্ঘ + উচ্চারণ → দীর্ঘোচ্চারণ
-
প্রশ্ন + উত্তর → প্রশ্নোত্তর
-
অ + ঊ = ও
-
নব + ঊঢ়া → নবোঢ়া
-
সর্ব + ঊর্ধ্ব → সর্বোর্ধ্ব
-
আ + উ = ও
-
যথা + উচিত → যথোচিত
-
কথা + উপকথন → কথোপকথন
-
যথা + উপযুক্ত → যথোপযুক্ত
-
আ + ঊ = ও
-
গঙ্গা + ঊর্মি → গঙ্গোর্মি
-
মহা + ঊর্মি → মহোর্মি
-
মহা + ঊর্ধ্ব → মহোর্ধ্ব
সংক্ষেপে: প্রথম পদের অ/আ + দ্বিতীয় পদের উ/ঊ = ও-কার।
এটি বাংলা শব্দসংযোগে স্বরসন্ধির অন্যতম নিয়ম।

0
Updated: 3 weeks ago