রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ কোনটি?
A
জীবনের কথা
B
জীবনকথা
C
জীবনস্মৃতি
D
অতীতের দিনগুলি
উত্তরের বিবরণ
‘জীবনস্মৃতি’
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।
-
প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১২ সালে।
-
বাল্মীকি প্রতিভা রচনার সময় থেকে রবীন্দ্রনাথ সম্পূর্ণভাবে গান ও কাব্য রচনায় মনোনিবেশ করেন।
-
তিনি রচনা করেন সন্ধ্যাসংগীত (১৮৮২) ও প্রভাতসংগীত (১৮৮৩)।
-
এই সময়কার অনুভূতিই কবির জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা তিনি ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে ব্যক্ত করেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'সিরাজাম মুনীরা'- কোন ভাষায় রচিত গ্রন্থ?
Created: 3 weeks ago
A
বাংলা
B
আরবি
C
ফারসি
D
হিন্দি
সিরাজাম মুনীরা' হলো ফররুখ আহমদের বাংলা ভাষায় রচিত একটি বিখ্যাত কাব্য। তিনি আধুনিক বাংলা কাব্যে ইসলামী চেতনা, আধ্যাত্মিকতা ও মানবতার আদর্শ তুলে ধরেছেন। কবিতার মাধ্যমে তিনি শুধু সাহিত্যেই নয়, সমাজেও বিশেষ অবদান রেখেছেন।
-
ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
১৯৪৪ সালে কলকাতার দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে রচিত ‘লাশ’ কবিতা তাঁকে প্রথম খ্যাতি এনে দেয়।
-
হাতেমতায়ী তাঁর একটি কাহিনিকাব্য।
-
নৌফেল ও হাতেম তাঁর রচিত একটি কাব্যনাট্য।
-
সাত সাগরের মাঝি হলো তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্য।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যের মধ্যে রয়েছে: সাত সাগরের মাঝি, সিরাজাম মুনিরা, নৌফেল ও হাতেম, মুহূর্তের কবিতা, হাতেমতায়ী, হাবেদা মরুর কাহিনী ইত্যাদি।
এ ছাড়া শিশুদের জন্যও তিনি অসাধারণ রচনা করেছেন। তাঁর শিশুতোষ রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: পাখির বাসা, হরফের ছড়া, ছড়ার আসর ইত্যাদি।

0
Updated: 3 weeks ago
মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত ধ্বনিবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান
B
আধুনিক বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান
C
ধ্বনিবিজ্ঞানের কথা
D
ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব
মুহম্মদ আবদুল হাই ও তাঁর ধ্বনিবিজ্ঞান সংক্রান্ত গ্রন্থ
ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব:
-
গ্রন্থের পরিচিতি: মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
বিষয়বস্তু: বইটি বাংলা ভাষার ধ্বনি, তার গঠন, উচ্চারণ এবং ব্যবহার সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদান করে।
-
গবেষণার গুরুত্ব: এটি বাংলার ভাষাতত্ত্বের মৌলিক বিষয় নিয়ে উচ্চমানের গবেষণাগ্রন্থ, যা পাঠকের জন্যও সহজ ও আকর্ষণীয়ভাবে লেখা।
-
বিশ্বখ্যাতি: গ্রন্থটির কারণে মুহম্মদ আবদুল হাই ধ্বনিবিজ্ঞানী হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন।
-
লেখার ধরন: বইটির ভাষা এবং রচনাশৈলী বিজ্ঞানমুখী হলেও রসপূর্ণ, ফলে তত্ত্বকথা স্বভাবতই পাঠকের কাছে সহজবোধ্য হয়।
মুহম্মদ আবদুল হাই:
-
তিনি একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, গবেষক ও ভাষাবিজ্ঞানী।
-
জন্ম: ২৬ নভেম্বর ১৯১৯, মুর্শিদাবাদ, রাণীনগর থানার মরিচা গ্রাম।
-
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
সাহিত্য ও সংস্কৃতি
-
তোষামোদ ও রাজনীতির ভাষা
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
-
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
B
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
C
বাংলা সাহিত্যের কথা
D
বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ গ্রন্থটি ১৮৯৬ সালে দীনেশচন্দ্র সেন রচিত, যা বাংলা সাহিত্যের ধারাবাহিক ও তথ্যবহুল প্রথম ঐতিহাসিক ইতিহাসগ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
এই বইয়ে বঙ্গভাষা ও বঙ্গলিপির উৎপত্তি, সংস্কৃত ও প্রাকৃত ভাষার সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক, প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের বিবরণ এবং মধ্যযুগের ধর্মীয় সম্প্রদায় ও তাদের সাহিত্য সংক্রান্ত আলোচনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বিশেষ স্থান অধিকার করেছে কারণ এখানে সাহিত্য ও সমাজের গভীর আন্তঃসম্পর্ককে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়েছে।
দীনেশচন্দ্র সেন
দীনেশচন্দ্র সেন ১৮৬৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার বগজুড়ি গ্রামের মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি পল্লী অঞ্চলে ভ্রমণ করে প্রাচীন বাংলা পুঁথি ও লোককথা সংগ্রহের মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
সংগ্রহীত পুঁথি থেকে উপকরণ নিয়ে তিনি ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ রচনা করেন, যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম সুশৃঙ্খল ও বিশদ ইতিহাসগ্রন্থ।
তার আরও একটি বিশিষ্ট গবেষণামূলক রচনা হলো ‘বঙ্গসাহিত্য পরিচয়’ (১৯১৪)।
তিনি ‘মৈমনসিংহ-গীতিকা’ (১৯২৩) ও ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ (১৯২৬) সম্পাদনা করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিও অর্জন করেন।
দীনেশচন্দ্র সেনের মৃত্যু হয় ১৯৩৯ সালের ২০ নভেম্বর বেহালায়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago