কোন মাধ্যমে আলোর পালস ব্যবহৃত হয়?
A
তামার তার
B
কো-এক্সিয়াল ক্যাবল
C
অপটিকাল ফাইবার
D
ওয়্যারলেস মিডিয়া
উত্তরের বিবরণ
ফাইবার অপটিক ক্যাবল
ফাইবার অপটিক ক্যাবল হলো একটি আলোক পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার দ্বারা গঠিত। এই ফাইবারগুলোতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় না, বরং ডেটা প্রেরণের জন্য আলোর পালস ব্যবহৃত হয়।
ফাইবার তৈরিতে সাধারণত সিলিকা বা মাল্টি-কমপোনেন্ট কাঁচ ব্যবহার করা হয়, যা বৈদ্যুতিকভাবে অন্তরক। অপটিক্যাল ফাইবারে ডেটা প্রেরণ হয় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন (total internal reflection) পদ্ধতির মাধ্যমে, অর্থাৎ আলোর পালস উৎস থেকে গন্তব্যে পৌঁছায় প্রায় কোনও শক্তি ক্ষয় ছাড়াই।
ফাইবার অপটিক ক্যাবলের তিনটি প্রধান অংশ
-
কোর (Core)
-
ফাইবারের ভিতরের অংশ, যা আলোর পথে থাকে।
-
ব্যাস প্রায় ৮ থেকে ১০০ মাইক্রন।
-
-
ক্ল্যাডিং (Cladding)
-
কোরকে ঘিরে থাকা বাইরের স্তর।
-
কোরের ভিতরের আলো বাইরে বের না হতে সাহায্য করে।
-
-
জ্যাকেট (Jacket)
-
পুরো ফাইবারকে আবৃত করে।
-
এটি ফাইবারকে বাহ্যিক চাপ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
-
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি output device নয়?
Created: 1 month ago
A
monitor
B
microphone
C
printer
D
speaker
মাইক্রোফোন একটি ইনপুট ডিভাইস, যা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তথ্য গ্রহণ করে কম্পিউটারে প্রেরণ করে। কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস ব্যবহৃত হয়, যেগুলোকে মূলত ইনপুট, আউটপুট এবং ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়।
ইনপুট ডিভাইস:
-
ইনপুট ডিভাইস হলো সেই হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস, যার মাধ্যমে কম্পিউটার বিভিন্ন পরিবেশ বা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ডেটা গ্রহণ করে।
-
উল্লেখযোগ্য ইনপুট ডিভাইসগুলো হলো: Keyboard, Mouse, Trackball, Joystick, Touch Screen, Barcode Reader, Point-of-sale, OMR, OCR, Scanner, Digitizer, Lightpen, Graphics pad, Digital Camera ইত্যাদি।
আউটপুট ডিভাইস:
-
আউটপুট ডিভাইস হলো সেই হার্ডওয়্যার, যা কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকৃত তথ্য বা ফলাফল প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উল্লেখযোগ্য আউটপুট ডিভাইসগুলো হলো: Monitor, Printer, Plotter, Speaker, Multimedia Projector, Image setter, Film Recorder, Headphone ইত্যাদি।
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস:
-
এমন ডিভাইসগুলো, যা একইসাথে ইনপুট ও আউটপুট হিসেবে কাজ করে, তাদেরকে ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য ইনপুট-আউটপুট ডিভাইসগুলো হলো: Hard Disk, CD/DVD, Touch screen, Pendrive, Modem ইত্যাদি।

0
Updated: 1 month ago
মুদ্রিত লেখা সরাসরি ইনপুট নেয়ার জন্য নিচের কোনটি ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
OMR
B
OCR
C
MICR
D
Scanner
ওসিআর (OCR)
-
পূর্ণরূপ: Optical Character Reader বা Optical Character Recognition।
-
OCR মূলত একটি ইনপুট ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি মুদ্রিত লেখা এবং অনেক ক্ষেত্রে হাতের লেখাও পড়তে সক্ষম।
-
OCR ব্যবহার করে যেকোনো আকারের দাগ, চিহ্ন এবং আলফানিউমেরিক ক্যারেক্টার সরাসরি কম্পিউটারে ইনপুট করা যায়।
অন্যান্য ইনপুট ডিভাইস
১. স্ক্যানার (Scanner)
-
স্ক্যানার হলো একটি আধুনিক ইনপুট ডিভাইস যা ব্যবহার করে ছবি, লেখা বা যেকোনো ধরনের ইমেজ কম্পিউটারে নেওয়া যায়।
-
স্ক্যানারের মাধ্যমে ইনপুট করা ইমেজে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, রঙ পরিবর্তন, বা একাধিক ছবি সংযুক্ত করার মতো কাজ করা যায়।
-
তবে এ ধরনের সম্পাদনার জন্য প্রায়শই বিশেষ সফটওয়্যার যেমন অ্যাডোব ফটোশপ ব্যবহৃত হয়।
২. ওএমআর (OMR)
-
পূর্ণরূপ: Optical Mark Reader।
-
OMR হলো একটি আলোক-সংবেদনশীল স্ক্যানার, যা কাগজে পেনসিল বা কলম দিয়ে করা বিশেষ চিহ্ন (যেমন গোল বা বর্গাকার মার্ক) পড়ে।
-
এই চিহ্ন অনুযায়ী তথ্য কম্পিউটারে প্রেরণ করা হয়।
৩. এমআইসিআর (MICR)
-
পূর্ণরূপ: Magnetic Ink Character Recognition।
-
MICR লেখা হয় চৌম্বক কালি বা ফেরোসোফেরিক অক্সাইড যুক্ত কালি ব্যবহার করে।
-
এটি ব্যাংক চেক লেনদেনের জন্য নিরাপদ এবং দ্রুত।
উৎস: মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে OSI মডেমের স্তর কয়টি?
Created: 1 month ago
A
৭
B
৫
C
- ৯
D
৮
OSI (Open System Interconnection) মডেল হলো একটি ওপেন স্ট্যান্ডার্ড যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ডিভাইস এবং সিস্টেমগুলিকে একসাথে কাজ করার জন্য গাইডলাইন প্রদান করে। এটি নেটওয়ার্কিং এর বিভিন্ন কার্যক্রমকে ৭টি স্তরে ভাগ করে।
OSI মডেলের স্তরসমূহ
-
Upper Layers (উপরের ৩টি স্তর): ব্যবহারকারীর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত এবং সফটওয়্যার/অ্যাপ্লিকেশন লেভেলের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
-
Application Layer (Layer 7) – ব্যবহারকারীর জন্য নেটওয়ার্ক সেবা প্রদান।
-
Presentation Layer (Layer 6) – ডেটাকে ফরম্যাটিং, এনক্রিপশন ও কম্প্রেশন করে।
-
Session Layer (Layer 5) – দুটি সিস্টেমের মধ্যে সংযোগ স্থাপন ও পরিচালনা করে।
-
-
Lower Layers (নিচের ৪টি স্তর): ডেটা ট্রান্সমিশন এবং হার্ডওয়্যার যোগাযোগের জন্য দায়ী।
4. Transport Layer (Layer 4) – ডেটার নির্ভুল প্রেরণ নিশ্চিত করে।
5. Network Layer (Layer 3) – ডেটার পথ নির্ধারণ এবং রাউটিং করে।
6. Data Link Layer (Layer 2) – ডেটাকে ফ্রেমে ভাগ করে এবং ত্রুটি সনাক্ত করে।
7. Physical Layer (Layer 1) – বিট হিসেবে ডেটা ফিজিক্যাল মাধ্যমে প্রেরণ করে।
উৎস: Amazon

0
Updated: 1 month ago