A
তেল
B
সমুদ্রের ঢেউ
C
গ্যাস
D
কয়লা
উত্তরের বিবরণ
শক্তির উৎস দুটি প্রকারে বিভক্ত
-
নবায়নযোগ্য শক্তি (Renewable Energy)
-
এটি এমন শক্তি যা বারবার ব্যবহার করা যায়।
-
পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় এটিকে গ্রীন শক্তিও বলা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
সৌরশক্তি (সূর্যের আলো থেকে)
-
বায়ু শক্তি (হাওয়ার প্রবাহ থেকে)
-
জলবিদ্যুৎ (নদী ও জলপ্রবাহ থেকে)
-
জোয়ার-ভাটা শক্তি
-
ভূ-তাপীয় শক্তি
-
সমুদ্রের ঢেউ থেকে শক্তি ইত্যাদি।
-
-
-
অনবায়নযোগ্য শক্তি (Non-Renewable Energy)
-
এটি এমন শক্তি যা পুনরায় ব্যবহার করা যায় না।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
কয়লা
-
খনিজ তেল (পেট্রোলিয়াম)
-
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
নিউক্লিয়ার শক্তি ইত্যাদি।
-
-
উৎস: পদার্থ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 23 hours ago
এক গ্রাম পানির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি হতে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বৃদ্ধির জন্যে কত তাপের প্রয়োজন?
Created: 1 month ago
A
১০ ক্যালরি
B
২ ক্যালরি
C
৩ ক্যালরি
D
৪ ক্যালরি
তাপ
-
তাপ হলো এমন একটি শক্তি যা কোনো বস্তুর বা পদার্থের ভেতরের অণুগুলোর গতি থেকে তৈরি হয়। এই তাপই আমাদের কাছে ঠাণ্ডা বা গরম লাগার অনুভূতি দেয়।
-
তাপ হলো শক্তির একটি ধরনের রূপ।
-
তাই, তাপের পরিমাপের এককও শক্তির এককের মতোই হয়।
-
আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী, তাপের SI একক হলো জুল (J)।
-
আগে তাপ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হতো ক্যালরি নামের একক।
-
১ গ্রাম পানির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়াতে বা কমাতে যে পরিমাণ তাপ লাগে, তাকে ১ ক্যালরি বলা হয়।
-
আর ১ ক্যালরি তাপ শক্তি প্রায় ৪.২ জুল শক্তির সমান।
-
অর্থাৎ,
১ ক্যালরি = ৪.২ জুল -
উদাহরণস্বরূপ, ১ গ্রাম পানি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম করতে ৪.২ জুল তাপ দরকার।
-
আবার, যদি পানি ২০ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গরম হয়, অর্থাৎ ১০ ডিগ্রি বেড়ে যায়, তখন মোট ১০ ক্যালরি তাপ দরকার হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
কীসের স্রোতে নদীখাত গভীর হয়?
Created: 1 week ago
A
সমুদ্রস্রোত
B
নদীস্রোত
C
বানের স্রোত
D
জোয়ার-ভাঁটার স্রোত
নদীখাত (Channel)
-
নদীখাত হচ্ছে এমন একটি প্রাকৃতিক পথ, যেটি প্রবাহিত পানির চাপ ও শক্তির কারণে তৈরি হয়। এই পথে পানি কখনো ধীরে, কখনো প্রবলবেগে সারা বছর বা নির্দিষ্ট সময়ে প্রবাহিত হয়। নদীখাত সরু বা চওড়া, গভীর বা অগভীর, সোজা বা বাঁকা হতে পারে।
-
জোয়ার-ভাঁটার কারণে পানির স্রোত শক্তিশালী হয় এবং এতে নদীখাত আরও গভীর হয়।
-
গঠনগত দিক থেকে নদীখাত বা প্রণালীকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
১) নদী গর্ভ,
২) সমুদ্রের দুই অংশকে যুক্ত করা সরু পথ,
৩) উপসাগরের নৌচলাচলযোগ্য গভীর অংশ (যেখানে পোতাশ্রয় থাকে)। -
বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে প্রথম ধরনের প্রণালী (নদী গর্ভ) সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
-
বিভিন্ন উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের নদী প্রণালীকে নানা দিক থেকে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। যেমন— নদীখাত ও তীরের বৈশিষ্ট্য, নদীর জালিকার ধরণ, পাললিক পদার্থ ও প্রবাহের প্রভাব, নদীর ধারা বা স্থিতিশীলতা ইত্যাদি।
-
নদীখাতের ধরন অনুযায়ী বাংলাদেশের নদীগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে—
-
সর্পিল নদী: যেমন পদ্মা ও মেঘনা, যেগুলো আঁকাবাঁকা বা বাঁকানো পথে প্রবাহিত।
-
চরোৎপাদী নদী: যেমন যমুনা, যেগুলোর মাঝে চর সৃষ্টি হয়।
-
বিন্ধনি নদী: বদ্বীপ সৃষ্টিকারী নদীর মোহনা, যেখানে নদী বিভাজিত হয়।
-
-
বাংলাদেশের উপকূলবর্তী কিছু গুরুত্বপূর্ণ নদীখাত হলো— মহেশখালী, কুতুবদিয়া, হাতিয়া, তেঁতুলিয়া ও সন্দ্বীপ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, জাগোনিউজ

0
Updated: 1 week ago
হৃৎপিণ্ড কোন ধরনের পেশি দ্বারা গঠিত?
Created: 1 week ago
A
ঐচ্ছিক
B
অনৈচ্ছিক
C
বিশেষ ধরনের ঐচ্ছিক
D
বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক
হৃৎপিণ্ডের গঠন
হৃৎপিণ্ড মানুষের দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এটি বক্ষগহ্বরের বাম দিকে, দুই ফুসফুসের মাঝখানে অবস্থিত এবং দেখতে কিছুটা ত্রিকোণাকার ও ফাঁপা।
-
হৃৎপিণ্ড হৃৎপেশি (cardiac muscle) নামের এক ধরনের বিশেষ অনৈচ্ছিক পেশি দিয়ে তৈরি।
-
পুরো হৃৎপিণ্ডকে বাইরের দিকে পেরিকার্ডিয়াম নামে পাতলা আবরণ ঢেকে রাখে।
-
এর প্রাচীর তিনটি স্তর দ্বারা গঠিত—
বহিঃস্তর (এপিকার্ডিয়াম)
-
এটি বাইরের স্তর, যোজক কলা দিয়ে তৈরি।
-
স্তরে কিছুটা চর্বি থাকে।
-
আবরণী কলা দিয়ে এটি আবৃত থাকে।
মধ্যস্তর (মায়োকার্ডিয়াম)
-
বহিঃস্তর ও অন্তঃস্তরের মাঝখানে অবস্থান করে।
-
এটি শক্ত ও অনৈচ্ছিক হৃৎপেশি দিয়ে গঠিত।
-
হৃৎপিণ্ডের সংকোচন-প্রসারণ মূলত এই স্তরের কাজের মাধ্যমেই ঘটে।
অন্তঃস্তর (এন্ডোকার্ডিয়াম)
-
এটি ভেতরের স্তর।
-
হৃৎপিণ্ডের সব প্রকোষ্ঠ ও কপাটিকা এই স্তর দিয়ে আবৃত থাকে।
-
এ স্তর হৃৎপিণ্ডকে ভেতরে থেকে মসৃণ রাখে এবং চারটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago