A
স্ট্রাটোস্ফিয়ার
B
ট্রপোস্ফিয়ার
C
আয়োনোস্ফিয়ার
D
ওজোনস্তর
উত্তরের বিবরণ
বায়ুমণ্ডলের স্তরসমূহ
পৃথিবীর চারপাশে বিস্তৃত গ্যাসীয় আবরণকে বায়ুমণ্ডল বলা হয়। এটি প্রায় ১০,০০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়ুমণ্ডল মূলত ৫টি স্তরে বিভক্ত:
১. ট্রপোমণ্ডল (Troposphere)
২. স্ট্রাটোমণ্ডল (Stratosphere)
৩. মেসোমণ্ডল (Mesosphere)
৪. তাপমণ্ডল (Thermosphere)
৫. এক্সোমণ্ডল (Exosphere)
তাপমণ্ডল (Thermosphere)
-
অবস্থান: মেসোমণ্ডলের উপরের অংশ (প্রায় ৮০ কিমি) থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৫০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা: এ স্তরে বায়ু অত্যন্ত বিরল এবং বায়ুচাপ খুব কম।
-
উষ্ণতা: ১০০–৩০০ কিমি উচ্চতায় অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন পরমাণু সূর্যের ক্ষুদ্র তরঙ্গমাপের শক্তি শোষণ করে, যার ফলে তাপমাত্রা প্রায় ১০০০° সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
আয়নমণ্ডল (Ionosphere)
-
অবস্থান: মেসোমণ্ডলের উপরের অংশ থেকে তাপমণ্ডলের নিচের অংশ (৫০–১০০ কিমি) পর্যন্ত।
-
কার্য: এই স্তরে আয়নিত কণাগুলি বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত করে পৃথিবীতে ফিরে আসতে সাহায্য করে।
-
গুরুত্ব: যোগাযোগ ব্যবস্থায়, বিশেষ করে রেডিও তরঙ্গের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 23 hours ago
সুনামীর কারণ হল-
Created: 2 weeks ago
A
আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
B
ঘূর্ণিঝড়
C
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ
D
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প
সুনামি (Tsunami)
-
সুনামি মূলত সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্টি হয়।
-
“Tsunami” শব্দটি জাপানি, যার শাব্দিক অর্থ হলো ‘পোতাশ্রয়ের ঢেউ’। এখানে ‘tsu’ মানে বন্দর বা harbour, আর ‘nami’ মানে সামুদ্রিক ঢেউ।
-
বাংলাদেশের অবস্থান ভৌগোলিকভাবে এমন যে এখানে সুনামি খুব কম ঘটে।
-
তবে ইতিহাসে কিছু ঘটনায় সুনামির প্রভাব দেখা গেছে। যেমন:
-
১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল: কক্সবাজার ও আশেপাশের এলাকায় সুনামির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
-
১৯৪১ সালে: আন্দামান সাগরে ভূমিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামি সৃষ্টি হয়। এতে ভারতের পূর্ব উপকূলে প্রায় ৫,০০০ মানুষ নিহত হন।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর: ইন্দোনেশিয়ার সিনুয়েলেউ দ্বীপে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামি সমগ্র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হয়।
-
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago
সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি?
Created: 1 month ago
A
৪ টি
B
৫ টি
C
৬ টি
D
৮ টি
সুষম খাদ্য
মানবদেহের পুষ্টির প্রয়োজন ভালোভাবে পূরণ করতে সুষম খাদ্য খাওয়া খুব জরুরি। সুষম খাদ্যে মোট ৬ ধরনের উপাদান থাকে।
সুষম খাদ্যে শর্করা, প্রোটিন (আমিষ) এবং চর্বির পরিমাণ থাকে প্রায় ৪ : ১ : ১ অনুপাতে।
সুষম খাদ্যের উপাদান:
১। শর্করা
২। প্রোটিন (আমিষ)
৩। ভিটামিন
৪। খনিজ লবণ
৫। চর্বি
৬। পানি
সূত্র: সাধারণ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটির বিদ্যুৎ পরিবাহিতা সবচেয়ে বেশি?
Created: 2 weeks ago
A
তামা
B
রূপা
C
সোনা
D
কার্বন
পরিবাহিতা
স্থির তাপমাত্রায় কোন নির্দিষ্ট পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক।
অর্থাৎ, কোনো পরিবাহীর স্থির তাপমাত্রায় দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V থাকা অবস্থায় এর ভিতর দিয়ে I পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহ হলে ও'মের সূত্রানুসারে,
I ∝ V
বা, I = GV
এখানে, G একটি সমানুপাতিক ধ্রুবক।
- একে পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা (conductance) বলে।
- পরিবাহীতায় একক সিমেন্স (Siemens)। একে সংক্ষেপে S দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
- একই বিভব পার্থক্যে যে পরিবাহীর ভিতর দিয়ে যত বেশি তড়িৎ প্রবাহিত হবে সে পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা তত বেশি।
- আবার একই বিভব পার্থক্যে যে পরিবাহীর ভিতর দিয়ে যত কম তড়িৎ প্রবাহিত হবে সে পরিবাহীর রোধ তত বেশি।
- প্রকৃতপক্ষে কোনো পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা তার রোধের মানের বিপরীত সংখ্যা।
- উপাদান, তাপমাত্রা এবং আকার আকৃতির উপর পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা নির্ভর করে।
- তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সকল পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা হ্রাস পায়।
- সকল ধাতুই উত্তম পরিবাহী কিন্তু একই আকার আকৃতির সকল ধাতুর তড়িৎ পরিবাহিতা সমান নয়।
যেমন- রূপার তড়িৎ পরিবাহিতা সবচেয়ে বেশি।
- অপরদিকে জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদির তড়িৎ পরিবাহিতা সাধারণ তাপমাত্রায় খুবই কম।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago