A
খেজুর পাম
B
সাগু পাম
C
নিপা পাম
D
তাল পাম
উত্তরের বিবরণ
ম্যানগ্রোভ
-
ম্যানগ্রোভ হলো সমুদ্র উপকূলের বিশেষ ধরনের বনভূমি, যা জোয়ার-ভাটার প্রভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত হয়।
-
এই বন সাধারণত উষ্ণমন্ডলীয় এবং উপ-উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলে দেখা যায়।
-
ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত থাকে পানি, পলি, পুষ্টি উপাদান, জৈব পদার্থ এবং বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। সব উপাদান একে অপরের সাথে সংযুক্তভাবে কাজ করে।
-
ম্যানগ্রোভ বনভূমি মূলত লবণাক্ত সমতলভূমিতে গঠিত হয়, যেখানে জোয়ার-ভাটার নিয়মিত প্রভাব থাকে।
গোলপাতা (Nipa Palm)
-
গোলপাতা হলো Nypa fruticans প্রজাতির একটি পামজাতীয় উদ্ভিদ, যা Arecaceae (Palmae) গোত্রভুক্ত।
-
এটি ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত এবং এশিয়া, ওসেনিয়া ও আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের ম্যানগ্রোভ বনগুলোতে বিস্তৃত।
-
উদ্ভিদের কান্ড স্বল্প ও অনুভূমিক, এবং এতে অসংখ্য শিকড় থাকে। পাতাগুলো লম্বা ও খাড়া, প্রায় ৩–৯ মিটার পর্যন্ত।
-
বাংলাদেশে, বিশেষ করে সুন্দরবনের স্বল্প ও মধ্য লবণাক্ত অঞ্চলে গোলপাতা বেশি জন্মায়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 23 hours ago
তাপ ইঞ্জিনের কাজ- (Heat Engine)
Created: 5 days ago
A
যান্ত্রিকশক্তিকে তাপশক্তিতে রূপান্তর
B
তাপশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তর
C
বিদ্যুৎশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তর
D
তাপশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর
তাপীয় ইঞ্জিন
তাপীয় ইঞ্জিন হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বাষ্প ইঞ্জিন, পেট্রোল ইঞ্জিন, এবং ডিজেল ইঞ্জিন।
মূল বৈশিষ্ট্যগুলো
-
তাপীয় ইঞ্জিনে দুটি প্রধান অংশ থাকে: তাপ উৎস এবং তাপগ্রাহক।
-
ইঞ্জিন কোনো উচ্চ তাপমাত্রার উৎস থেকে তাপ গ্রহণ করে, তার একটি অংশকে কাজে রূপান্তরিত করে।
-
যে অংশ তাপে কাজ হয়নি, তা পরিবেশে বা শীতল বস্তুতে ছেড়ে দেয়।
-
ইঞ্জিন সবসময় একটি চক্র পূর্ণ করে, অর্থাৎ কাজ শেষে আবার প্রাথমিক অবস্থায় ফিরে আসে।
-
তাপ উৎসের তাপমাত্রা সর্বদা তাপগ্রাহকের চেয়ে বেশি হতে হবে, যাতে তাপ স্থানান্তর সম্ভব হয়।
উদাহরণ:
-
বাষ্প ইঞ্জিন
-
পেট্রোল ইঞ্জিন
-
ডিজেল ইঞ্জিন
সূত্র: পদার্থ বিজ্ঞান, প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 5 days ago
ক্যান্সার চিকিৎসায় যে বিকিরণ ব্যবহার করা হয় তা হলো-
Created: 23 hours ago
A
আলফা রেস (Alpha rays)
B
বিটা রেস (Beta rays)
C
গামা রেস (Gama rays)
D
এক্স (এক্স) রেস (X-rays)
চিকিৎসাক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রধানত দুইভাবে ব্যবহৃত হয়:
-
রোগ নিরাময় (Therapeutic use)
-
রোগ বা রোগাক্রান্ত স্থান নির্ণয় (Diagnostic use)
নিম্নে কিছু সাধারণ উদাহরণ দেওয়া হলো:
-
ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসা:
-
শরীরে ক্যান্সার টিউমারের অবস্থান চিহ্নিত করতে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
-
চিকিৎসার জন্য কোবাল্ট-৬০ (Co-60) থেকে নির্গত গামা রশ্মি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে প্রয়োগ করা হয়।
-
-
থাইরয়েড রোগের চিকিৎসা:
-
থাইরয়েড গ্রন্থির অসামঞ্জস্য বা অতিরিক্ত বৃদ্ধি (যেমন গ্রোথ বা হাইপারথাইরয়ডিজম) চিকিৎসায় আয়োডিন-১৩১ (I-131) ব্যবহার করা হয়।
-
এই আইসোটোপ থাইরয়েড কোষে জমে তাদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
-
-
রক্তের সমস্যা (Blood Leukemia):
-
অতিরিক্ত শ্বেতকণিকা বৃদ্ধিজনিত রক্তাল্পতা চিকিৎসায় ফসফরাস-৩২ (P-32) ব্যবহার করা হয়।
-
এটি ক্ষতিগ্রস্ত বা অতিরিক্ত কোষ কমাতে সাহায্য করে।
-
-
হাড়ের সমস্যা নির্ণয়:
-
হাড় বেড়ে যাওয়া বা ব্যথার স্থান নির্ধারণের জন্য টেকনিশিয়াম-৯৯ (Tc-99) ব্যবহার করা হয়।
-
-
হৃদরোগের চিকিৎসা:
-
হার্টে পেইসমেকার বসানোর জন্য প্লুটোনিয়াম-২৩৮ (Pu-238) ব্যবহার করা হয়।
-
উৎস: নবম-দশম শ্রেণীর রসায়ন বই (উন্মুক্ত)

0
Updated: 23 hours ago
ভাইরাসজনিত রোগ নয় কোনটি?
Created: 1 week ago
A
জন্ডিস
B
এইডস
C
নিউমোনিয়া
D
চোখ ওঠা
ভাইরাসজনিত রোগ
-
ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ভাইরাসজনিত রোগ বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য কিছু ভাইরাসজনিত রোগ হলো: এইডস, জন্ডিস, কোভিড-১৯, হার্পিস, গুটি বসন্ত, জল বসন্ত, হাম, মাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, পোলিও, জলাতঙ্ক, ডেঙ্গু, ইবোলা ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ
-
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ বলা হয়।
-
এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো: যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, কলেরা, গনোরিয়া, সিফিলিস, টাইফয়েড, আমাশয়, প্লেগ, কুষ্ঠ ইত্যাদি।
নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষ মন্তব্য
নিউমোনিয়া শুধু ভাইরাস নয়, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীব দিয়েও হতে পারে। তাই অপশনভিত্তিক প্রশ্নে এটি কখনো ভাইরাসজনিত রোগের মধ্যে পড়লেও, মূলত এটি বিভিন্ন অণুজীবের সংক্রমণে ঘটতে পারে। সুতরাং পরীক্ষায় প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সঠিক উত্তর বেছে নিতে হবে।
চোখ ওঠা রোগ (Conjunctivitis)
-
চোখ ওঠা রোগের বৈজ্ঞানিক নাম কনজাংটিভাইটিস।
-
এটি চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহজনিত অসুখ।
-
এ রোগ সাধারণত ভাইরাস দ্বারা হয় এবং খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক উদ্ভিদবিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক

0
Updated: 1 week ago